• Youtube
  • English Version
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩৭ অপরাহ্ন

করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

মোহাম্মদ ইলিয়াছ এমপি’র ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: বুধবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৮

॥ পিন্টু দেবনাথ ॥ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর কিংবদন্তী রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ ইলিয়াছ এমপি’র ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৮৭ সালের ২১ নভেম্বর তিনি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাবেক এই প্রেসিডিয়াম সদস্য তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে প্রশ্নাতিরিক্ত সৎ, নির্লোভ ও ত্যাগী হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন।

ঢাকা বিশ্বদ্যিালয় ছাত্র ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াছ ছাত্র জীবনে অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। তিনি ১৯২৯ সালে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার এক নিভৃত পল্লী খুশালপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ভবিষ্যতে বাঙালীর স্বাধিকার আন্দোলনে সক্রিয় সম্পৃক্ত থেকে গোটা জাতির উজ্জ্বল নক্ষত্রে পরিণত হয়েছিলেন মোঃ তাহির ও জুবেদা খাতুনের আট সন্তানের মধ্যে সবার বড় ইলু মিয়া অর্থাৎ মোহাম্মদ ইলিয়াছ তৎকালীন কমলগঞ্জ এম.ই. স্কুলে নবম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়ার পর ১৯৪৭ সালে মৌলভীবাজার গর্ভণমেন্ট স্কুল থেকে মেট্রিক (এসএসসি) পরীক্ষায় ১ম বিভাগে ৪র্থ স্থান লাভ করেন।

রাষ্ট্রভাষা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা ও সংগঠক ছি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ঢাকা কলেজ থেকে ১ম বিভাগে ৬ষ্ঠ স্থানে আইএসসিতে উর্ত্তীণ হন। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিতে অনার্স নিয়ে ১ম বিভাগে এমএসসি পাশ করে স্বর্ণপদক লাভ করেন। সে সময় থেকেই চা শ্রমিকসহ মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনে শহীদ রফিক, বরকত, জব্বারের সহযোদ্ধা মোহাম্মদ ইলিয়াছ ছেষট্টির ছয় দফা, উনসত্তরের গণ আন্দোলনে সক্রিয় সাহসী ভূমিকা রাখেন।

বঙ্গবন্ধুর আহবানে আওয়ামীলীগে যোগ দিয়ে সত্তরের সাধারণ নির্বাচনে বিপুল ভোটে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য (এমএনএ) নির্বাচিত হন। পরে একাধিকবার কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল নির্বাচনী এলাকায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৭ সালে সারাদেশে যখন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোরনে তিনি যখন সারা দেশ চষে বেড়াচ্ছেন ঠিক সে বছরের নভেম্বর মাসের এদিন রাত পৌণে দশটায় ঢাকা এমপি হোস্টেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী,এক পূত্র ও পাঁচ কন্যা ছাড়া সহায় সম্পদ কিছুই রেখে যেতে পারেন নি। আজ কেউ ভূলে, কেউ ভূলেনি ক্ষণ জন্মা এ মহা পুরুষকে। যদিও স্থানীয় আওয়ামীলীগের কোন কোন সভা-সমাবেশে নেতাকর্মীরা তাঁকে মূহুর্তকাল স্মরণ করে। অথচ আজ কিংবদন্তী এ জননেতার ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামীলীগ বা কোন সংগঠন কোন আয়োজন করছে না। শুধু মাত্র একান্ত পারিবারিক উদ্যোগে শ্রীমঙ্গলস্থ বাসভবনে মিলাদ-মাহফিল, কাঙালীভোজের আয়োজন করা হয়। আর এভাবে হয়তো বাঙালীর স্বাধিকার আদায়ের এ অগ্রজ পথিক ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে যাবেন। এভাবেই আমরা নিজেদের অস্তিত্বকেই হয়তো কোনদিন হারিয়ে ফেলবো। তবু জয়তু মোহাম্মদ ইলিয়াছ।

লেখক : পিন্টু দেবনাথ, সভাপতি কমলগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটি, কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ