• Youtube
  • English Version
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:১৩ পূর্বাহ্ন

করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

নিজের শরীরের হক নষ্টকারীরা জালেম হিসাবে বিচারের মুখোমুখি হবে

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

নিজস্ব প্রতিনিধি:  হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রাজিউড়া ইউনিয়নের কাটাখালি মাদ্রাসা মসজিদে জুমার খুৎবায় মাওলানা আলমগীর হুসাইন বলেছেন- একজন ব্যক্তির নিজের শরীরের প্রতি গুরুত্বপূর্ণ হক রয়েছে। সেই হক নষ্ট করা যাবে না। শরীরের হক নষ্টকারীরা জালেম হিসাবে কিয়ামতের দিন বিচারের মুখোমুখি হবে। ইসলাম নির্দেশিত পন্থা ব্যতীত নিজের শরীরের কোনো অঙ্গকে কষ্ট দেয়া হচ্ছে শরীরের প্রতি হক নষ্ট করা।

অবৈধ ভালবাসার নামে বর্তমানে অনেক যুবক যুবতী নিজের হাত পাসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ কেটে রক্তাক্ত করে, ব্লেড দিয়ে কেটে কেটে একে অন্যের নাম লিখে, অনেক সময় খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেয়, আত্বহত্যার পথও বেছে নেয়। এই যে শরীরের একেকটি অঙ্গকে অপ্রয়োজনে কষ্ট দেয়া হচ্ছে, তার জন্য তাকে জালিম হিসাবে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

তিনি বলেন- অনেকের টাকা পয়সা আছে, কিন্তু নিজের বা নিজের সন্তানদের খাবারের জন্য সে অনুযায়ী ব্যয় করে না, ফল খায় না, ভাল খাবার খায় না। এ জাতীয় কৃপণরা নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের শরীরকে কষ্ট দিচ্ছে, শরীরের হক নষ্ট করছে, সেই কৃপণদেরকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

মাওলানা আলমগীর হুসাইন বলেন- অনেক সময় আমরা বাজারে গেলে খেলার ছলে বিক্রেতাদের কাছ থেকে বুট, বাদাম, বড়ই ইত্যাদি খেয়ে ফেলি। আমরা মনে করি এটা খুব সাধারণ ব্যাপার এবং সামান্য বিষয়। বিক্রেতা হয়তো লজ্জা করে কিছু বলে না, কিন্তু তার মনে কষ্ট থাকে ঠিকই। তাতে বিক্রেতার প্রতি হক নষ্ট করা হল। এ জাতীয় অপরাধীরা গুনাহগার হবে এবং তাদের আমল থেকে সওয়াব কেটে নিয়ে যাওয়া হবে। এ অপরাধের জন্য একজন ব্যক্তিকে দোযকের আগুনে জলতে হবে।

তিনি একজন আরব দেশের এক বাদশার উদাহরণ দিয়ে বলেন- একজন বাদশা খেজুর কিনে যাওয়ার সময় দেখলেন একটি খেজুর মাটিতে পড়ে আছে। তিনি ভাবলেন খেজুরটি মনে হয় আমার কেনা খেজুর থেকেই পড়েছে এবং সেটি তিনি খেয়ে ফেললেন। এক বছর ইবাদত বন্দেগী করার পর তিনি স্বপ্নে দেখলেন- খেজুরটি আসলে তার না, বিক্রেতার। না বলে বিক্রেতার একটি খেজুর খাওয়ার জন্য তার এক বছরের আমল নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি পুনরায় মালিকের খুজে বের হলেন। ইতিমধ্যে বিক্রেতা মালিক মারা গেছেন। তার সন্তানদের কাছ থেকে তিনি ওই একটি খেজুর খাওয়ার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করলেন। জীবনে চলার পথে কোনো অপরাধকে ছোট করে না দেখার আহবান জানান তিনি।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ