• Youtube
  • English Version
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:৫৭ অপরাহ্ন

করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

সকালে এক বিকেলে আরেকজনের মনোনয়ন: তীব্র আলোচনা: নির্ভার শেখ সুজাত

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: বুধবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৮

নিজস্ব প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের-১ (বাহুবল-নবীগঞ্জ) নির্বাচনী এলাকায় ভোট নিয়ে উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে উঠেছে। আসনটি থেকে কে মনোননয়ন পাচ্ছেন-প্রশ্নটি নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা চলছে। এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও গুজবে ভেসে যাচ্ছে বাহুবল-নবীগঞ্জ। মনোনয়ন নিয়ে হচ্ছেটা কি?

সমর্থকদের মধ্যে সকালে যদি কেউ বলছেন, কেয়া চৌধুরী মনোননয়ন পেয়েছেন তবে বিকেলেই আরেকপক্ষ বলছে এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু মনোনয়ন নিয়ে এসেছেন। সন্ধ্যায় হিসেবটি পাল্টে গিয়ে হয়ে যাচ্ছে শাহনেওয়াজ মিলাদ গাজী। রাতে আবার বলা হচ্ছে বাহুবল-নবীগঞ্জে মনোনয়ন পাচ্ছেন আতিকুর রহমান। সবমিলিয়ে ভোটের আগেই মনোননয়ন পর্ব নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষের আলোচনায় সরগরম।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সমর্থকদের চেয়ে প্রার্থীরাই মনোনয়ন নিয়ে আলোচনায় থাকতে বেশ আগ্রহী। মনোনয়ন নিয়ে তীব্র লড়াই হচ্ছে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মধ্যে। মহাজোটের প্রার্থী কে হচ্ছেন? এনিয়ে নানা আলোচনা হচ্ছে। পাশাপাশি দিনভর বিভিন্নজন ফেসবুকে ষ্ট্যাটাস দিয়ে বলেছেন, নৌকা না হলে তারা ভোটকেন্দ্রেই যাবেন না। তারা নৌকা মানে কেয়া চৌধুরীর প্রার্থীতার বিষয়টি বুঝিয়েছেন। অনেকেই আবার কেয়া চৌধুরীর পুরুনো ছবি ফেসবুকে আপলোড করে বলেছেন, কেয়া চৌধুরীর বিকল্প নেই। কিন্তু কেয়া চৌধুরী এখন পর্যন্ত মনোনয়ন পাননি। উপরন্তু তিনি ফেসবুকে মনোনয়ন নিয়ে ষড়যন্ত্রের আভাস দিয়ে একটি ষ্ট্যাটাস দিয়েছেন। এতে নানামুখী বিশ্লেষণ হচ্ছে। অন্যদিকে, বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে কোনো আলোচনা নেই। কারণ শেখ সুজাত মিয়া এখানে একক প্রার্থী।

অবশ্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বর্তমান মহিলা এমপি কেয়া চৌধুরী বেশ আত্মবিশ^াসী। অবশ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভোট জরিপে কেয়া চৌধুরী এগিয়েও রয়েছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের গ্রুপিংয়ের কারণে তিনি পিছিয়ে। তবু তিনি মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ^াসী। মনোনয়ন না পেলেও ভোট করার জন্য এরইমধ্যে তিনি বেশ কিছু কমিটি করেছেন।

পিছিয়ে নেই দেওয়ান শাহনেওয়াজ মিলাদ গাজীও। তিনি তার কর্মীদের বারবার বলে আসছেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে জোটের প্রার্থীর জন্য তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। কাজেই এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে তিনিই একমাত্র যিনি মনোনয়ন পাবেন। তার এমন বক্তব্যে তার সমর্থকরা বেশ চাঙ্গা। রয়েছেন নবীগঞ্জের উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর চৌধুরী। সুদর্শন এই রাজনীতিবিদ মনোনয়ন কিনেছেন এবং বিশ^াস করছেন, বাহুবল-নবীগঞ্জে নৌকা জেতাতে হলে তার বিকল্প নেই। আছেন বাহুবলের পুটিজুরি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মুদ্দত আলী। কথা নেই বার্তা নেই তিনিও ঢাকায় গিয়ে নৌকার অফিস থেকে একখান মনোনয়ন কিনে জমা দিয়েছেন। তিনিও দাবি করছেন তার দ্বারাই মনোনয়ন পাওয়া সম্ভব এবং ভোটে জেতাও সম্ভব। তার কথামত তার কিছু কর্মী তা বিশ^াস করে স্বপ্ন দেখাও শুরু করেছেন।

এই যখন পরিস্থিতি তখন মাঠে হাজির হয়েছেন আতিকুর রহমান আতিক। তিনি এই আসনে ভোট করার জন্য জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন পত্র কিনে সোজা বাহুবলের মাঠে আবির্ভূত। শুধু আবির্ভূতই নয়, ইতিমধ্যেই তিনি উপজেলার জাতীয় পার্টির কর্মীদের ফোন করা শুরু করেছেন। তিনি তার কর্মীদের বলেছেন, জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের নির্দেশে তিনি হবিগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়ন কিনেছেন এবং নিশ্চিত তিনি মনোনয়ন পাচ্ছেন। আগে থেকেই রয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু। তিনিও কর্মীদের বলছেন, এ আসনে তার মনোনয়ন নিশ্চিত।

আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টির এই মনোনয়ন যুদ্ধে অনেকটাই নিরাপদে রয়েছেন বিএনপির শেখ সুজাত মিয়া। তিনি অনেকটা নির্ভার সময় কাটাচ্ছেন। ইতিমধ্যে তিনি তার কর্মীদের মধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি মনোনয়ন পাচ্ছেন এবং ভোটে জিততে চলেছেন। কিন্তু ভোটাররা বলছেন অন্য কথা।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ