• Youtube
  • English Version
  • শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:২৬ অপরাহ্ন

করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

ত্যাগী কর্মীদের মূল্যায়ন নেই ছাত্রলীগে

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: বৃহস্পতিবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৮

মোহাম্মদ ফুলমিয়া খন্দকার মায়াঃ ইতিহাসের শ্রেষ্ট সন্তান,বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়তে আগাছা মুক্ত ছাত্রলীগ চাই। চোখ খুলে চেয়ে দেখুন।

আজ ওতপেতে থাকা বিশ্বাস ঘাতকরা আবারও ঘুনো পোকার মত ঘীরে ধরেছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রিয় সংগঠন ছাত্রলীগ কে।তাতে প্রতীয়মান হচ্ছে যে ক্রমানয়ে ছাত্রলীগ রক্ষা নয় ধ্বংশের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা জানি ছাত্রলীগের প্রধান মূলনীতি ৩টি, শিক্ষা,শান্তি,প্রগতি। যার একটিকে ছাড়া অন্যটি টিকে থাকতে পারে না।ছাত্রলীগের এ মূলনীতি সমূহকে একসঙ্গে রেখেই আমরা ছাত্রলীগ পরিবার। ছাত্রলীগের যেকোনো একটি মূলনীতির অপব্যবহার হলে বঙ্গবন্ধু’র আদর্শে আঘাত পরে।

বঙ্গবন্ধু’র নিজ হাতেগড়া ছাত্রলীগের সবচেয়ে বড় উপাদান হচ্ছে কর্মী।কিন্ত উক্ত কর্মীদের নেতা দ্বারাই আবার কেন্দ্র থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ে ছাত্রলীগ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।কর্মী বান্ধব নেতার অভাবে ও তার অজ্ঞতায় ছাত্রলীগের মূলনীতিগুলোর অপব্যবহার হচ্ছে এবং ক্রমশই ছাত্রলীগ ক্ষীন ও দূর্বল হচ্ছে। এমনকি অন্যান্য স্বার্থ ছাত্রলীগ-কে ক্ষতিগ্রস্থ করছে। আমরা জানি যে শিক্ষা,শান্তি,প্রগতি ছাত্রলীগের মূলনীতি ।

আসলে কথাটি ভুল হয়ে যাচ্ছে,কেন্দ্র থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ে ছাত্রলীগের অন্যতম নীতি হয়ে যাচ্ছে ভাই,শান্তি,প্রগতি। আর এই ভাই শান্তি প্রগতি মূলনীতি নিয়ে আমাদের ছাত্রলীগ গঠিত হতে চলছে ক্রমানয়ে। কিন্ত নেতা ভুলে যাচ্ছেন ছাত্রলীগের প্রত্যেকটি নীতি একে অন্যের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।বঙ্গবন্ধুর কথা মতে প্রতিটা নীতি অন্য নীতির উপর নির্ভরশীল। তাই নীতির যে কোনো একটি অংশের পরিবর্তন মানে অশনি সংকেত। ছাত্রলীগের রাজনীতি স্বাচ্ছন্দময় করে রাখার জন্য আমাদের প্রতিটা নীতি মনে রাখতে হবে ও ভাই শান্তি প্রগতি নীতি বিপদমুক্ত রাখতে হবে। কিন্তু তা না করে নিজেরাই ধীরেধীরে রাজাকার,বিএনপি জামাত,শিবির শত্রুু নিয়ে প্রিয় সংঘটন তৈরি করছি।এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি ৭৫এর কালো রাত্রীর মত ঘুরোও অমানিশার অন্ধকারে ও ধ্বংশের দিকে।

প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ ত্যাগী কর্মীদের মূল্যায়ন না করে ,ওতপেতে থাকা শত্রুকে নিয়ে ক্রমশ প্রিয় সংঘটন ছাত্রলীগ কে বিষিয়ে তোলছি। প্রতিদিন যে পরিমান বিশ্বাস ঘাতক শির্ষ্য আমরা সৃষ্টি করছি তাতে মনে হয় পুরো ছাত্রলীগটা যেন একটা রাজাকারের কুন্ডুলি। যা আমাদের ছাত্রলীগকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে। কী ক্ষতি হচ্ছে তা শৃঙ্খলা,গ্রুপিং,অপমূল্যায়নের দিকে তাকালেই অনুমান করা যাবে। প্রতিদিনই আমার মতে প্রকৃত ছাত্রনেতার সংকট দেখা দিচ্ছে। তাতেই আমরা বুঝতে পারি যে,
ছাত্রলীগের অবস্থা কী হবে।

সাম্প্রতিক সময়ের কিছু সংবাদ নেতৃীর নজর পড়েছে। তাই শুরু হয়েছে ছাত্রলীগের বিপর্যয় রক্ষা করা ও ত্যাগী নেতার মূল্যায়ন করা। কোটি কোটি নেতা তৈরি হচ্ছে টিকই কিন্তু ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে পারছেনা। তবে অতীতের ত্যাগী নেতাদের মতে যোগ্য ও কর্মী বান্ধব নেতৃত্ব বের করে না দিলে তা সম্ভব হবে না । এমনকি ছাত্রলীগের ভিতরে ওতপেতে থাকা শত্রুু মুক্ত না করলে আবারও ৭৫ পরিনত হবে। এতেই বোঝা যায় যে ছাত্রলীগের জায়গা হবে কোথায় ।ছাত্রলীগের নীতিগুলোর সাথে নেতিবাচক নীতিগুলোও অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত।

মানুষ যেমন আহার না পেলে তার শরীরের প্রতিটা অঙ্গ নিস্তেজ হয়ে পড়ে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায় তেমনি ছাত্রলীগের ত্যাগী কর্মীদের মূল্যায়ন না করে ভাই প্রগতি চালু করলে নীতিগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হবে।ফলে শত্রু গুলো মাথাছাড়া দিয়ে উঠবেই।কিন্ত আমারা এর ব্যাথা একটুও অনুভব করিনা।ক্রমান্বয়ে ধ্বংশ করছি ছাত্রলীগ ও ত্যাগী কর্মী গুলোকে।শেষে ভোগতে হয় পরাজয়ের সীমাহীন যন্ত্রনা। আমাদের চারপাশের পরাজিত নৌকাপ্রার্থী গুলো দেখলে বোঝা যাবে আমাদের অবস্থা কেমন হচ্ছে। কিন্তু কেন হচ্ছে এমন।যে ছাত্রলীগ মায়ের কথা বলে,যে ছাত্রলীগ সভ্যতার কথা বলে,যে ছাত্রলীগ দেশের কথা বলে সে ছাত্রলীগের বুকে কেন স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে আশ্রয়,প্রশ্রয় দিয়ে ধ্বংশের দিকে টেলে দিচ্ছি। এগুলো কী কেউ দেখেছে না?মনে হয় দেখছে না।তাই লেখতে বাধ্য হচ্ছি।

একটু ভাবুন,
ছাত্রলীগ মানে বিজয়।

ত্যাগী কর্মীদের মূল্যায়ন নেই,
মানে ছাত্রলীগ নেই।আছে শুধু বিশ্বাস ঘাতকতা ও পরাজয়। সর্বোপরি ছাত্রলীগ কে বাঁচাতে হবে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন“ত্যাগী কর্মীদের নিয়ে অবশ্যই চিন্তা ভাবনার উন্মেষ ঘটাতে হবে যাতে করে ছাত্রলীগ ধ্বংস না হয়” তাই ছাত্রলীগের এ ঘোর সংকটে আমাদের নিরন্তর ভাবা উচিত যে, ছাত্রলীগ আমার এবং রেখে যাই আমার পরবর্তী প্রজন্মের। যেখানে কোন বিশ্বাস ঘাতক
,বিএনপি,জামাত,শিবির,রাজাকার থাকবে না।

থাকবেনা কোনো ত্যাগী কর্মীদের অপমূল্যায়ন।

পাখির কলরবের মত সর্বদাই থাকবে জয়বাংলা,জয়বঙ্গবন্ধুর স্রোগান।কোনো ঘাটতি হবে না বঙ্গবন্ধুর আদর্শের। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ শোভায় শোভিত হবে আমার প্রিয় সংগঠন ছাত্রলীগ।

লেখক
যুগ্ম আহবায়ক
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ,
চুনারুঘাট উপজেলা শাখা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ