রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ১১:০৩ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি, হবিগঞ্জ: বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ জি কে গউছ বলেছেন- আওয়ামীলীগ প্রশাসনের শক্তিতে বলিয়ান, আর বিএনপি জনগণের শক্তিতে বলিয়ান। জনশক্তির সামনে কোন শক্তিই দাড়াতে পারে না, ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগও পারবে না। তাই জনগণের বাক-স্বাধীনতা, মানুষের ভোটাধিকার, দেশের গণতন্ত্র হরণ করে আওয়ামীলীগ একদলীয় শাসন কায়েম করেছে। কিন্তু আওয়ামীলীগের জানা নেই এর পরিণাম কত ভয়াবহ। জনগণের কাটগড়ায় আওয়ামীলীগকে
একদিন দাঁড়াতেই হবে। ইতিহাস তাদের ক্ষমা করবে না।
তিনি শনিবার রাতে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।
জি কে গউছ বলেন- মধ্যরাতের আওয়ামীলীগ সরকার বংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। দেশের মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা নেই, আইনের শাসন নেই। লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে দেশের মানুষ আজ অতিষ্ঠ। কিন্তু জনগণের চিন্তা আওয়ামীলীগের নেই। কারণ জনগণের ভোটের প্রয়োজন তাদের নেই। এই সরকার সকল ক্ষেত্রে দলীয়করণ করেছে। ফলশ্রুতিতে দেশের সন্ত্রাস, দুর্নীতি, ধর্ষণ, খুন, ঘুম আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু সেই দিকে সরকার নজর না দিয়ে রাজপথের বিরোধীদল বিএনপিকে দমনে মরিয়া হয়ে কাজ করছে।
সীমাহীন দূর্নীতি আর দুঃশাসনের কারণে আওয়ামীলীগ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পুলিশ নির্ভর হয়ে পড়েছে। এভাবে একটি রাষ্ট্রকে চলতে পারে না।
তিনি বলেন- ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি তাৎপর্য্যপূর্ন দিন। এই দিন সিপাহী জনতার বিপ-ব ও সংহতি না হলে বাংলাদেশের ইতিহাস পাল্টে যেত। এই বিপ-বের মাধ্যমেই বাকশালী শক্তির সকল ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত নস্যাৎ করে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা হয়েছিল। এই দিন তৎকালীন সেনাপ্রধান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশকে এক অচলাবস্থা থেকে রক্ষা করেছিলেন বলেই আজ বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে মাথা উচুঁ করে দাড়িয়েছে। শুরু হয়েছিল বহুদলীয় রাজনীতির ধারা।
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেই গণতন্ত্র আজ দেশে নেই। সেই বাকশালী আওয়ামীলীগ সরকার আবারও দেশের গণতন্ত্র হরণ করেছে। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। তাই আবারও ৭ নভেম্বরের চেতনায় উদ্ভুদ্ধ হয়ে দেশের গণতন্ত্র ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সরকারের কবল থেকে মুক্ত করতে হলে সকলকে রাজপথে নামতে হবে, ঐক্যবদ্ধভাবে ইশপাত কঠিন আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য দলকে সংগঠিত করতে হবে, নতুন প্রজন্মের নিকট ৭ নভেম্বরের ইতিহাস তুলে ধরতে হবে।
বিএনপি নেতা আলহাজ জি কে গউছের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সফিকুর রহমান ফারছু, সাবেক সহ সভাপতি এডভোকেট শামছু মিয়া চৌধুরী, এডভোকেট মঞ্জুর উদ্দিন আহমেদ শাহীন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হাজী নুরুল ইসলাম, এম জি মুহিত, জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এস এম বজলুররহমান, সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুর রহমান কাজল, পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম নানু, জেলা বিএনপির সদস্য মহিবুল ইসলাম শাহীন, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ, জেলা যুবদলের সভাপতি মিয়া মোঃ ইলিয়াছ, সাধারণ সম্পাদক জালাল আহমেদ, জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব মফিজুর রহমান বাচ্চু, গিরেন্ড চন্দ্র রায়, নাজমুল হোসেন বাচ্চু, এডভোকেট আফজাল হোসেন, এস এম আওয়াল,হাবিবুর রহমান হাবিব, মর্তুজা আহমেদ রিপন, এডভোকেট মোঃ ইলিয়াছ, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সফিকুর রহমান সিতু, জেলা মৎস্যজীবি দলের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ, জেলাস্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জহিরুল হক শরীফ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মুশফিক আহমেদ, জেলা জাসাসের সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শাহ ফারুক আহমেদ,জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সভাপতি জিললুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ রাজীব আহমেদ রিংগন প্রমুখ।