• Youtube
  • English Version
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:৫৭ অপরাহ্ন

করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

বাহুবলে কলেজ ছাত্রের হাত-পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন, আটক ২

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: সোমবার, ২ নভেম্বর, ২০২০

দিদার এলাহী সাজু: হবিগঞ্জের বাহুবলের এক কলেজ ছাত্রকে খুঁটিতে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় তাকে প্রথমে হবিগঞ্জ ও পরে সিলেট হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার লামাতাসী ইউনিয়নের দ্বিমুড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

রবিবার (০১ নভেম্বর) সকালে ঘটনাটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে জেলাজুড়ে শুরু হয় তোলপাড়।

এদিকে, এ ঘটনায়  রবিবার (০১ নভেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে দুই ব্যক্তিকে আটক করে বাহুবল মডেল থানা পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাহুবল মডেল থানার পরিদর্শক আলমগীর কবির জানান, এ ঘটনায় এখনো (এ রিপোর্ট লিখার সময় পর্যন্ত) কোন মামলা হয়নি। তবে দুই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

আটককৃত দুজন হলো বাহুবল উপজেলার দ্বিমুড়া গ্রামের মূল অভিযুক্ত সালাউদ্দিন (৫২) ও মঈন উদ্দিন (৪০)।

ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন লোক ফয়সল মিয়া নামে ওই কলেজ ছাত্রকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করছে। এ সময় ফয়সল বাঁচার জন্য আকুতি এবং বার বার আল্লাহ অল্লাহ বলে চিৎকার করছিল। কিন্তু এরপরও চলে বর্বর নির্যাতন।

ফয়সল চুনারুঘাট উপজেলার হাসেরগাঁও গ্রামের আহসান উল্ল্যার ছেলে। সে হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজের অনার্স (গণিত বিভাগ) চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ও কোরআনের হাফেজ।

স্থানীয় সূত্র জানায়, দ্বিমুড়া গ্রামের আব্দুল হাইয়ের মেয়ে মাহফুজা আক্তার লিজার সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ফয়সল মিয়ার। শুক্রবার দিবাগত রাতে দেখা করার জন্য লিজার বাড়ীতে যায় ফয়সল। এ সময় ফয়সলকে চোর আখ্যা দিয়ে আটক করে লিজার স্বজনরা। পরে খুঁটিতে হাত-পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় তার ওপর নির্যাতন চলানো হয়। পরদিন শনিবার সকালে খবর পেয়ে বাহুবল মডেল থানা পুলিশ ফয়সলকে উদ্ধার করে স্বজনের জিম্মায় দেয়। স্বজনরা তাকে প্রথমে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল ও পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে সিলেট সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

এ ব্যাপারে নির্যাতনের শিকার ফয়সলের বাবা আহসান উল্ল্যার বলেন, ‘লিজা আমার ছেলেকে মোবাইল ফোনে তাদের বাড়ির পাশে নিয়ে যায়। পরে তার স্বজনরা আমার ছেলেকে বেঁধে এমন বর্ববর নির্যাতন করে। ফয়সলের বোন মোছা. হানিফা আক্তার বলেন- ‘বর্তমানে সে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে। কাউকে চিনতে পারছে না। প্রতিনিয়ত তার অবস্থার অবনতি হচ্ছে।’

বাহুবল থানার ওসি তদন্ত আলমগীর কবির বলেন- ‘আমরা প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি ছেলেটি মেয়েটিকে পছন্দ করত। কিন্তু মেয়েটি ছেলেটিকে পছন্দ করত না। ঘটনার দুইদিন আগে নির্যাতনের শিকার ছেলেটি মিষ্টি নিয়ে মেয়ের বাড়িতে যায়। এ সময় মেয়ের পরিবারের লোকজন তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। কিন্তু এরপরও ছেলেটি মেয়েকে উত্ত্যক্ত করত। ঘটনার দিন ছেলেটি মেয়ের বাড়ির সামন দিয়ে হাটাহাটি করছিল। এ সময় মেয়ের স্বজনরা তাকে ধরে হাত-পা বেঁধে মারপিট করে।’

তিনি বলেন- ‘এ ঘটনায় এখন নির্যাতিত পরিবারের পক্ষ থেকে কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ