শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ০৪:২২ অপরাহ্ন
বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: সার্টিফিকেট জালিয়াতির অভিযোগে বাহুবল পাবলিক লাইব্রেরীর সাধারন সদস্য পদ গেল দৈনিক বাংলাদেশ খবর পত্রিকার হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল প্রতিনিধি সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম শামীমের বিরুদ্ধ।
তার বিরুদ্ধে এইচএসসি’র জাল সার্টিফিকেট দেয়ার অভিযোগ থাকায় তদন্তে জাল প্রমানিত হয়।
সোমবার (১৫ অক্টোবর) রাত ৯টায় বাহুবল পাবলিক লাইব্রেরীর কার্যকরি কমিটির মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রফিকুল ইসলাম জাল সার্টিফিকেট প্রমানিত হওয়ায় তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছেন।
মনিরুল ইসলাম শামীম এইচএসসির ভুয়া সার্টিফিকেট দাখিল করে বাহুবল পাবলিক লাইব্রেরীর সদস্য নির্বাচিত হন এবং কার্যকরি কমিটির নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন মর্মে অভিযোগ উঠলে লাইব্রেরীর সদস্য মো: জসীম উদ্দিন নির্বাচনে পরাজয়ের কারন মনে করে তার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত পহেলা অক্টোবর তদন্তকারী কর্মকর্তা বাহুবল পাবলিক লাইব্রেরীর সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: জসীম উদ্দিনের কার্যালয়ে জমা দেন।
রিপোর্টে তিনি লিখেন, উপযুক্ত বিষয়ে বাহুবল পাবলিক লাইব্রেরীর সদস্য মো: জসীম উদ্দিন সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম শামীমের এইচএসসি এর জাল সনদ দিয়ে জালিয়াতি করেছেন মর্মে অভিযোগ করেন। তার দাখিলকৃত আবেদনের সংযুক্তিতে যে সার্টিফিকেট (এইসএসসি) ছিল তা বাহুবল ডিগ্রি কলেজ থেকে যাচাই করা হলে জানা যায় তা সঠিক নয়।
শুনানীতে অংশগ্রহন করে অভিযুক্ত ব্যক্তি (মনিরুল ইসলাম শামীম) লিখিত বক্তব্য দাখিল করে বলেন যে, তিনি বাহুবল পাবলিক লাইব্রেরীর সাধারন সদস্য পদে আবেদন পত্রে এইচএসসি পাশ উল্লেখ করেছেন, কপি সার্টিফিকেটের কপি জমা দেননি।
শুনানীতে লাইব্রেরীর সাধারন সম্পাদক (সোহেল আহমদ) জানান, গঠনতন্ত্র অনুসারে সাধারন সদস্য হতে সর্বনিন্ম অষ্টম শ্রেনী পাশ হতে হবে, নতুবা পাঠক সদস্য হতে পারবে। অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রথমে সনদ ছাড়া আবেদন পত্র জমা দেন। যখন সনদ না থাকার কারনে তাকে সাধারন পরিষদের সদস্য করা হবে না মর্মে জানানো হয়, তখন পরর্তীতে সে, এইসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সনদ জমা দেন এবং এরই প্রেক্ষিতে তাকে সাধারন সদস্য হিসাবে গ্রহন করা হয়।
সার্বিক পর্যালোচনা করে দেখা যায়, অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম শামীম যেহেতু সাধারন সদস্য হিসাবে তালিকাভূক্ত হয়েছেন, সেহেতু তার শর্ত পূরণে সনদ দেয়াই যুক্তিযুক্ত। অধিকিন্তু তিনি আবেদন পত্রে এইচএসসি পাশের যোগ্যতাও উল্লেখ করেছেন। এবং এর বিকল্প কোন সনদও জমা দিয়ে মনিরুল ইসলাম শামীমের অবস্থান সঠিক প্রমান করতে পারেননি।
এসময় শামীমের কাছে মেট্রিক পাশের সার্টিফিকেট চাওয়া হলেও তিনি দেখাতে পারেননি।
তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, আমি উভয়দেরকে ডেকে শুনানী করেছি, শুনানীতে মনিরুল ইসলাম শামীম সঠিক জবাব দিতে পারেননি।
বাহুবল পাবলিক লাইব্রেরীর সভাপতি ও বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: জসীম উদ্দিন বলেন, তদন্তে জালিয়াতির প্রমান পাওয়া গেছে। অচিরেই লাইব্রেরীর কার্যকরি কমিটি বসে সিদ্ধান্ত নিবে।
প্রসঙ্গত, অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছিল মো: জসিম উদ্দিন বাহুবল পাবলিক লাইব্রেরীর একজন সদস্য, ভোটার নং ৪১। তিনি গত ১১ আগস্ট কার্যকরি কমিটিতে নির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচন করেছেন। কিন্তু মনিরুল ইসলাম শামীম ভোটার নং ১২৩ সে এইএসসির জাল সনদ দিয়ে সাধারন সদস্য পদ গ্রহন করে উক্ত নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। তিনি মনে করছেন এহেন জালিয়াতির ফলে তার নির্বাচনে পরাজয়ের ব্যাপারে প্রভাব বিস্তার করে।