সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ০৪:১৩ অপরাহ্ন
বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় ২নং উত্তর পশ্চিম ইউনিয়নের মিনাট গ্রামে দুই মেম্বারের আধিপত্যকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় মহিলা, শিশুসহ প্রায় ২৫ জন আহত হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ১১টায় মিনাট গ্রামে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বর্তমান ও সাবেক দুই মেম্বারসহ ১০ জনকে আটক করেন। পরে তাদেরকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে কারাদন্ড দেয়া হয়।
ঘন্টাব্যাপী ওই সংঘর্ষে সাজেদা, মিয়া হোসেন, ৩ মাসের শিশু রাকিবা, অরুনা, মাহমুদা বিবি, এশা বিবি, শিবলু মিয়া, তুলনা বেগম আহত হয়। এর মধ্যে শিশু রাকিবাকে আশংকাজনবস্থায় সিলেট প্রেরন করা হয়েছে। বাকী আহতদের বানিয়াচং উপজেলঅ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আধিপত্যকে কেন্দ্র করে বর্তমান ইউপি সদস্য ইনছাব আলী ও সাবেক ইউপি সদস্য হাফিজ মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। সম্প্রতি মিনাট গ্রামের আজিজুল এর দোকানে আগুন দেয়া এবং তার পুকুরে বিষ ঢেলে মাছ মেরে ফেলাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।
এর জের ধরেই রবিবার দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দু’পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে বানিয়াচং থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাশেদ মোবারক এর নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ সময় মিনাট গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে এবং সংঘর্ষে জড়িত থাকার দায়ে দেশীয় অস্ত্রসহ ১০জনকে আটক করা হয়।
রোববার দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আটকৃত দাঙ্গাবাজদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছাব্বির আহমেদ আকুঞ্জি এ সাজা প্রদান করেন। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে বর্তমান ইউপি সদস্য ইনছাব আলী ও সাবেক ইউপি সদস্য হাফিজ মিয়াকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং নুরুল হক, সাদ্দাম হোসেন, আঃ বারিক, মন্নান মিয়া, কাজল মিয়া, জুয়েল মিয়াকে ১৫ দিনের কারাদন্ড, নাঈম খান এবং শিশু মিয়াকে ১ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড প্রদান করে ছেড়ে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে ওসি রাশেদ মোবারক জানান, দাঙ্গা দমনে পুলিশ জিরো ট্রলারেন্স নীতি অবলম্বন করছে। মিনাট গ্রামের হাফিজ উদ্দিন ও ইনছাব আলীকে গত ২ দিন আগেও দাঙ্গার প্রস্তুতির সময় আটক করা হয়। পরে দাঙ্গায় না জড়ানোর লিখিত মুছলেকায় তাদেরকে ছাড়া হয়। কিন্তু তার পরেও ওই দাঙ্গবাজরা আবারো দাঙ্গার শুরু করে। খবর পেয়ে অআমরা ঘটনাস্থল থেকে দুই পক্ষের সর্দারসহ ১০জনকে আটক করি। পরে তাদেরকে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করলে আদালত তাদের বিভিন্ন মেয়াধে সাজা প্রদান করেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় ঘটনাস্থলে পুলিশের টহল অব্যাহত আছে।