সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ১২:৩০ পূর্বাহ্ন
ডা: জানে আলম সুজন: শুদ্ধ রাজনীতির চর্চাও একটি দেশের উন্নত সংস্কৃতির অংশ। সংস্কৃতি শব্দের সাথে সংস্কার শব্দটা উতপ্রোত ভাবে জড়িত। সজ্ঞায়িত করলে বলা যায় “প্রতিনিয়ত সংস্কার আর নিরন্তর চর্চার মাধ্যমে রাজনৈতিক বিশ্বাস, মূল্যবোধ কিংবা দৃষ্টিভঙ্গির বিকাশকে রাজনৈতিক সংস্কৃতি বলে”।
আমার দেশের প্রেক্ষাপটে সহজভাবে যদি বলি, তাহলে : রাজনীতির মঞ্চে একজন রাজনীতিবিদ বিরোধী দলীয় আরেকজনকে কোন ভাষায় আক্রমন করছেন, সরকারী চাল-ডাল, ইট-পাথর চুরি করে বছরে বছরে উমরাহ করতে যাচ্ছেন কিনা, নির্বাচনের সময় ফেন্সিডিল আসক্ত গুন্ডা পান্ডাদের দিয়ে বিরোধী পক্ষকে পিঠিয়ে কেন্দ্র ছাড়া করছেন কিনা, রাষ্ট্রীয় কোষাগারকে বাপের সম্পত্তি মনে করে প্রতিনিয়ত পুকুরচুরি করে যাচ্ছেন কিনা, অপরিণত তরুনদের ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে অস্হিতিশীল রাজনীতির ঘুঁটি হিসেবে ব্যাবহার করছেন কি না আরো অন্যান্য।
তর্কের খাতিরে উক্ত বিষয়গুলোকে যদি রাজনৈতিক সংস্কৃতির মাপকাঠি হিসেবে ধরি তাহলে আমার দেশের মানুষ চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারবে আমরা উক্ত বিষয়গুলোর প্রতিনিয়ত চর্চা করে উন্নত রাজনৈতিক সংস্কৃতি চর্চার তলানিতেই অবস্হান করছি!! ক্রমাগত আমাদের আরো অবনতি হচ্ছে।
কথায় কথায় হয়তো আমরা ইউরোপ আমেরিকার সুস্হরাজনৈতিক চর্চার উদাহরণ টানি।সত্য বলতে কি যে কোন উন্নত সংস্কৃতি আপনি চট করে গিলে ফেলতে পারবেন না, এর জন্য জিনিসটাকে ভালো করে জানতে হবে, বুঝতে হবে সর্বোপরি সেটাকে নিয়ে ভাবতে হবে।
এখনকার উঠতি রাজনীতিবিদদের সেই ভাবনার কিংবা জানার সময় বা সুযোগ কোথায় ?
দেশ, নীতি, আদর্শ, জনগন, তাদের কতজনের মস্তিষ্কে বাসা বাঁধতে পেরেছে সেটা গবেষনার বিষয় হতে পারে।
আর যে গুটিকয়েকজন শুদ্ধ বিষয়গুলোকে ধারন করে আছেন তাদেরকে সাংগঠনিক চর্চার সুযোগ না দিয়ে সভা সমিতিতে বক্তৃতায়ই সীমাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
দেশে কথিত সাংস্কৃতিক বিকাশের জন্য মন্ত্রনালয়, মন্ত্রী-উজির রয়েছে, কিন্তু এই উন্নত কিংবা শুদ্ধ রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিকাশের সুযোগ কি কোথাও রয়েছে???
(এই লেখা কারো পক্ষে বা বিপক্ষে মনে করলে পত্রিকা কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না, এটি লেখকের মতামত)।
লেখক: চিকিৎসক, লন্ডন, যুক্তরাজ্যে বসবাসরত।