• Youtube
  • English Version
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:৩৪ অপরাহ্ন

করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

আমরা দেশের মানুষ ভালো থাকতে চাই

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: মঙ্গলবার, ২ জুন, ২০২০

শরদিন্দু ভট্টাচার্য্য টুটুল: আমাদের দেশের এক শ্রেণীর রাজনীতিবিদদের কথা শুনলে আমাদের মত সাধারণ মানুষের দল মুখের ভাষা হারিয়ে ফেলি। কথায় বলে না অল্প শোকে কাতর, অধিক শোকে পাথর। আমাদের অবস্থাটাও এরকমই। সারা পৃথিবীর মানুষ এখন করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে ভুগছে। চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, ইরান সহ পৃথিবীর ২১৩টি দেশে আমার জানা মতে করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে। তাতে অনেক লোকের প্রাণ হানি ঘটছে। পরিসংখ্যানমতে সারাবিশ্বে ৩ লক্ষ ৬৯ হাজারেরও অধিক মানুষ মারা গেছে এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ২৫ লক্ষ ৬৪ হাজারেরও বেশি। যদিও বলা হচ্ছে যে, এই করোনা ভাইরাস তাদেরকেই বেশী আক্রান্ত করছে যারা শিশু কিংবা যাদের বয়স বেশী। আর যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এই প্রকৃতির মানুষেরাও করোনা ভাইরাসের লক্ষ্যতে পরিণত হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার সংবাদ সমূহ পাঠ করলে বুঝা যায় যে, এই করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে যেভাবে পৃথিবীর মানুষ কাতর হচ্ছে, সেই অনুপাতে মৃত্যুর হার খুবই কম।

এক সংবাদ ভাষ্যে বলা হয় যে, করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর হার এখন পর্যন্ত শতকরা ২% শতাংশ। আবার বলা হচ্ছে যে, এই ভাইরাসের এমন অনেক রোগী হয়ত আছে, যারা হাসপাতালে যান নি। যাদের হিসাব হয়ত যথাযথ কর্তৃপক্ষ রাখেননি। সেই সব রোগীরা বাড়িতেই প্রাণ হারিয়েছেন। সেই হিসাবে অর্থাৎ বাড়িতে যারা করোনা ভাইরাসের ছোবলে প্রাণ হারিয়েছেন তাদের সংখ্যা হবে শতকরা ১.৪% শতাংশ। এই পরিসংখ্যান অনুযায়ী বলা যায় করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর হার হবে শতকরা ৩.৪% শতাংশ। কেন জানি মনে হয় একটি মহল সচেতন ভাবেই করোনা ভাইরাসের ভয়ঙ্কর আতঙ্ক সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিচ্ছে। চীন থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগ থাকলেও, চীন কিন্তু আপদকালীন সময়ের জন্য করোনা ভাইরাসের রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য যেসব হাসপাতাল তৈরি করেছিল, সে সব হাসপাতাল এখন তুলে নিচ্ছে। চীনে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। অর্থাৎ তাদের দেশে ক্রমান্বয়ে রোগ নিরাময় হয়ে যাচ্ছে। আমরা যদি বিভিন্ন সংবাদপত্র এবং মেডিকেল জার্নালগুলোর হিসাব মিলিয়ে দেখি, দেখা যাবে আক্রান্ত রোগী অনুযায়ী সারা পৃথিবীতে অনেক কম মানুষ মারা যাচ্ছে। আমরা সাধারণ মানুষ যেসব বিষয়ে জ্ঞান রাখি না, সেসব বিষয় নিয়ে আতঙ্কিত কথাবার্তা উঠলে যাব কোথায়। আমরাতো সাধারণ মানুষের দল “কোবিড-১৯” এর ভয়াবহ রূপ পত্র-পত্রিকায় দেখলে আতঙ্কিত হবোই।

এবার আসা যাক আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের অদ্ভুত আচার-আচরণ নিয়ে কিছু কথা বার্তায়। আমাদের দেশের একশ্রেণীর রাজনীতিবিদরা আজকের দিনে যে একেবারে দেউলিয়া হয়ে গেছেন তা বুঝা যায়, তাদের করোনা ভাইরাস নিয়ে নিয়ন্ত্রণহীন অদ্ভুত কথাবার্তা শুনে। যারা দেউলিয়া তারা যখন সব হারিয়ে একেবারে নিঃস্ব হয়ে যায়, তখন সে যা হাতের কাছে পায় তা নিয়েই তার বাকী জীবনট চালিয়ে নিতে চায়। মনে করে কিছু করার এবং কিছু বলার যেমন তেমন কিছুই নেই, হাতের কাছে যা পাই কিংবা যা সামনে দেখি তা নিয়েই কথা বলে সমাজে টিকে থাকার চেষ্টা করাই ভালো।

যারা সংবাদপত্র পাঠ করেন, তারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করছেন যে, দেশের মানুষ যখন করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে আতঙ্কিত, যখন দেশের আতঙ্কিত মানুষ করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়ে পাঁচ টাকার মাক্স চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ টাকায় ক্রয় করছে, তখন আমাদের দেশের একশ্রেণীর অতিদেউলিয়া রাজনীতিবিদরা দেশের মানুষকে আাশার বাণী না শুনিয়ে, তারা এই জীবনঘাতি করোনা ভাইরাস নিয়েও বিভিন্ন রাজনীতি শুরু করেছেন। ভাবখানা এমন সবইতো গেল, এবার দেখি করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে রাজনীতিতে টিকে থাকা যায় কিনা। কোথায় তারা দেশের মানুষকে সচেতন করার জন্য জীবনমুখী আশাবাদের কথা শুনিয়ে মানুষকে আতঙ্কমুক্ত করে নিজেদের দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় তারা তার উল্টোটা করছেন। তারাতো অর্থাৎ দেউলিয়া নেতারা তাদের দায়িত্ব পালন করছেনইনা।

উপরন্ত অর্থহীন কথাবার্তা বলে দেশের মানুষকে আরো বেশী করে মৃত্যু যন্ত্রণার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। দেশের মানুষ এখনও বুঝতে পারছে না আমাদের দেশের এক শ্রেণীর রাজনীতিবিদরা আমাদের মতো সাধারণ মানুষকে কি মনে করেন। তারা কি ভাবেন এদেশের মানুষ এত বোকা যে, তারা তাদের নিজের ভালো মন্দ বুঝবে না। আমাদের দেশের হীনস্বার্থ উদ্বারকারী রাজনীতিবিদদের একটা কথা মনে রাখা উচিত পৃথিবী এখন শাসন করছে নতুন নতুন প্রযুক্তি। মানুষ সেই প্রযুক্তির আর্শিবাদে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে পাঁচ মিনিট আগে ঘটে যাওয়া শুভ ও অশুভ ঘটনাগুলোর আদ্যপান্ত জেনে যাচ্ছে। মানুষকে এখনো আগের মত বোকা ভাবা ঠিক হবে না। মানুষ আগের মত আর সহজ নয়। আর বেশী দিন দূরে যেতে হবে না মানুষের রাজত্ব মানুষ ঠিকই কায়েম করবে। মানুষ ঠিকই তার ভাগ্য নিজের আপন গতিতে গড়ে তুলবে। তাদের ভাগ্য নিয়ে তারা দেশের দেউলিয়া রাজনীতিবিদদেরকে আর ফুটবল খেলতে দিবে না।

এদেশের জনগণ কিছুটা হলেও দেশের কিছু সংখ্যক দেউলিয়া রাজনীতিবিদের নোংরা কদাকার মুখচ্ছবি দেখে বুঝে নিতে পারে নীতিহীন রাজনীতিবিদরা দেশের মানুষের বন্ধু নয়। তারা গণশত্রু। এই শ্রেণীর রাজনীতিবিদরা কেবল ব্যাস্ত থাকেন নিজেদের লাভ লোকসানের হিসাব নিয়ে। আমাদের সমাজ এবং রাষ্ট্রের নোংরা রাজনীতিবিদদের মনে রাখতে হবে, মানুষ এখন তাদেরকে যতটা ভয় পায়, তার চেয়ে অনেক কম শ্রদ্ধা করে। আমরাতো দেখেছি আগে সুশীল ও দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদরা রাজনীতি করতে গিয়ে তাদের ঘর-বাড়ি, জমি-জমা হারিয়েছেন। সুশীল রাজনীতিবিদরা রাজনীতি করতে গিয়ে তাদের নিজেদের জায়গা-জমি দেশের সাধারণ মানুষকে কিংবা সাধারণ মানুষের কল্যানে স্বার্থহীনভাবে বিলিয়ে দিয়েছেন।

কিন্তু বর্তমান সময়ে দেখা যায়, একশ্রেণীর নীতি বিহীন হীনস্বার্থ উদ্বারকারী রাজনীতিবিদরা রাজনীতি করে অনেক সম্পদের মালিক হয়ে যান। যাদের সুন্দর ঘর-বাড়ি ছিল না তাদের সুন্দর ঘর-বাড়ি হয়। যাদের গাড়ী-ঘোড়া ছিল না তারা গাড়ী-ঘোড়ার মালিক হয়ে যান। দেশের অনেক মানুষই মনে করে রাজনীতি হলো এখন ব্যবসার মাধ্যম। আলু-বেগুনের ব্যবসা করে অনেক ব্যবসায়ী যেমন অনেক টাকার মালিক হয়ে যায়, ঠিক তেমনি দেশের এক শ্রেণীর রাজনীতিবিদরা রাজনীতির আড়ালে কিংবা নীতিহীন রাজনীতির মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় প্রভাব খাটিয়ে অনেক অর্থ বিত্তের মালিক হয়ে থাকেন। এই শ্রেণীর রাজনীতিবিদরা দেশের মানুষের চরম সর্বনাশ ঘটিয়ে নিজেদের লাভের পাল্লা ভারী করে থাকেন।

করোনা ভাইরাস নিয়ে দেশের মাঝে এখন নোংরা রাজনীতি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। কেউ কেউ অর্থাৎ একশ্রেণীর দায়িত্বহীন রাজনীতিবিদরা অভিযোগ করছেন সরকার দেশের মানুষকে এই করোনা ভাইরাসের ব্যাপারে অন্ধকারে রাখছে। সরকার নিজেদের স্বার্থে করোনা ভাইরাসের রোগী দেশে থাকা সত্তেও শনাক্ত করছে না। মুজিব বর্ষে বিদেশী অতিথীরা আসবে তাই সরকার করোনা ভাইরাস নিয়ে সক্রিয় হচ্ছে না। কিন্তু যখন দেখা গেলো সরকার করোনা ভাইরাসের মত ভয়ঙ্কর ভাইরাসের যাতে প্রাদুর্ভাব না ঘটে, সে ব্যাপারে তাদের দায় দায়িত্ব পালন করতে শুরু করলো, দেশের মানুষকে বিভিন্ন ভাবে করোনা ভাইরাসের ব্যাপারে সচেতন হবার পরামর্শ দিতে লাগলো, তখনি বিরোধী রাজনীতিবিদরা এই বলে চিৎকার শুরু করলেন যে, মুজিববর্ষে বিদেশী অতিথীরা আসবেন না তাই সরকার এখন করোনা ভাইরাস নিয়ে সক্রিয় হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের রোগীদের ব্যাপারে খবরা-খবর নিচ্ছে। এতো দিন নিজেদের স্বার্থে সরকার জীবনঘাতী করোনা ভাইরাস নিয়ে কথাবার্তা বলতে চায়নি।

পাঠক/পাঠিকা আমার একবার চিন্তা করে দেখুন এই সব আত্মঘাতী রাজনীতিবিদরা নিজেদের স্বার্থে দেশের ভাবমূর্তিটুকু কোন পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের নীতিহীন রাজনীতিবিদদের অভিযোগটার যদি আমরা বিচার বিশ্লেষণ করতে যাই, তাহলে দেখব তাদের এসব অভিযোগ প্রলাপ ছাড়া আর কিছুই নয়। কথায় বলে না নিজের নাক কেটে অন্যের যাত্রা ভঙ্গ করা একশ্রেণীর লোকের স্বভাব। আমাদের দেউলিয়া রাজনীতিবিদদের অবস্থাও দাঁড়িয়েছে সেই রকম। তারাও চান নিজেদেরকে অন্যের কাছে ছোট করে সরকার ও দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে। সরকার যদি বিদেশী অতিথীদের কাছে গোপন করার জন্য করোনা ভাইরাসের ব্যাপারে নিরব থাকেন। আর পরে যদি বিদেশী অতিথীদের কাছে প্রতিয়মান হতো সরকার ইচ্ছে করে করোনা ভাইরাসের ব্যাপারে নিরব থেকেছে, তাহলে কি আগত বিদেশী অতিথীরা সরকারের করোনা ভাইরাসের ব্যাপারে নিরবতাকে ভালো চোখে দেখত! তারপর কি আমাদের দেশের সাথে সেসব দেশের সম্পর্ক মধুর থাকতো।

সরকারকি এতো বোকা যে, কিংবা সরকারের কর্তা ব্যাক্তিরা কি জেনে বুঝে এমন কাজ করতে পারে। বিজ্ঞজনরা বলেন, যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা। আমাদের দেশের বিবেকহীন রাজনীতিবিদদের অবস্থাও এমনই দাঁড়িয়েছে। যার ব্যাখ্যা সচেতন পাঠক/পাঠিকার কাছে দেবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। তারা ঠিকই বুঝবেন জ্ঞান বুদ্ধিহীন রাজনীতিবিদরা কোন মনোবেদনা নিয়ে রাজনীতি করছেন।

আমরা দেশের মানুষ ভালো থাকতে চাই। আমরা দেশের মানুষ নোংরা রাজনীতি থেকে মুক্তি চাই। ক্ষমতার রাজনীতি করতে গিয়ে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এমন কর্মকান্ড আমরা দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের কাছ থেকে আশা করি না। আমাদের নেতাদের মনে রাখতে হবে ব্যাক্তি,দল এবং ক্ষমতার রাজনীতি থেকে আমার এই মাতৃভূমির অবস্থান অনেক উপরে। এ কথাতো সবাই স্বীকার করবো মাতৃদুগ্ধ পান করতে গেলে মা’কে বেঁচে থাকতে হবে। ঠিক তেমনি দেশে সুস্থ রাজনীতির ধারা প্রবাহিত হলেই দেশের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি দেশ এবং দেশের বাইরে অধিক থেকে অধিকতর উজ্জ্বল হবে। দেশের মানুষ এমনিতেই অনেক সমস্যার যাঁতা কলে পিষ্ট হচ্ছে। দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার নিয়ে যদি আমাদের নেতারা কথা বলেন তাহলেই কেবলমাত্র দেশের মানুষ তাদেরকে সাধুবাদ জানাবে। করোনা ভাইরাসের মত জীবনঘাতী ভাইরাস নিয়ে নোংরা পঁচা রাজনীতি করে শুধুমাত্র দেশের মান-সম্মানই নষ্ট করা যাবে। দেশের জন্য তা কোন রকম সু-খবর নিয়ে আসবে না।

তাই বলছিলাম, এক শ্রেণীর বিরোধী রাজনীতিবিদদের উচিৎ হবে করোনা ভাইরাস নিয়ে নেতিবাচক রাজনীতি না করে দেশের বিভিন্ন অফিস চত্বরে যে দূর্নীতির বাজার বসছে তা নিয়ে কথা বলা। অবশ্য যে দূর্নীতির বাজার আমাদের বিরোধী রাজনীতিবিদরা যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখনও ছিল। আমরা দেশের মানুষ রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে ইতিবাচক রাজনীতি কামনা করি। করোনা ভাইরাস নিয়ে নোংরা পঁচা রাজনীতি আশা করি না। কেননা করোনা ভাইরাস নিয়ে নোংরা রাজনীতি দেশের রাজনীতির মাঝে রাজনৈতিক করোনা ভাইরাস ছড়াবে, যা দেশের মানুষের কাছে মঙ্গলজনক হবে না। কেবল অমঙ্গলই বয়ে আনবে।

লেখক:
আইনজীবি, কবি ও গল্পকার
কালীবাড়ী সড়ক, হবিগঞ্জ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ