• Youtube
  • English Version
  • শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ন

করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

হবিগঞ্জে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্টিত

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: বৃহস্পতিবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৮

 

নিজস্ব প্রতিনিধি, হবিগঞ্জ ॥ ২১শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দকে ফরমায়েশী রায়ের মাধ্যমে সাজা দেয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি।

বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১১টায় শায়েস্তানগরস্থ বিএনপির কার্যালয়ে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা বিএনপির সহ সভাপতি এডভোকেট মঞ্জুর উদ্দিন শাহীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ।

সমাবেশে মেয়র জি কে গউছ বলেন- অনির্বাচিত অবৈধ আওয়ামীলীগ সরকারের ফরমায়েশী রায়কে বাংলাদেশের মানুষ ঘৃনাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। এই আওয়ামীলীগ সরকার যেমন অবৈধ, রায়ও অবৈধ, ভবিষ্যতে এই অবৈধ সরকার যখন থাকবে না, অবৈধ রায়ও থাকবে না। তাই এই রায়কে নিয়ে বাংলাদেশের মানুষ এতটা বিচলিত নয়।

মেয়র বলেন- আওয়ামীলীগ সরকার বিচার বিভাগকে কুক্ষিগত করে রেখেছে। একের পর এক অবৈধ রায় দিয়ে বিএনপির আন্দোলনকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ এই বিষয়ে অবগত রয়েছে, ব্যালটের মাধ্যমেই সরকারের এই দুঃশাসন ও জুলুম নির্যাতনের জবাব দিবে।

তিনি বলেন- আওয়ামীলীগ চেয়েছিল ২১ শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলার মামলার রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপি রাজপথে নামবে, আর আওয়ামীলীগ গাড়ী পুড়িয়ে, প্রেট্রোল বোমা মেরে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করবে। কিন্তু বিএনপি আওয়ামীলীগের পাথানো ফাঁদে পা না দিয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করছে। আগামী কর্মসূচীগুলোও শান্তিপূর্ণভাবে পালন করবে বিএনপি। আওয়ামীলীগের কোনো উস্কানীতে কান দিবে না বিএনপি।

মেয়র জি কে গউছ বলেন- আওয়ামীলীগ সরকার মনে করেছিল, গায়েবী মামলা দিলেই বিএনপিকে আর খোঁজে পাওয়া যাবে না। কিন্তু আওয়ামীলীগের এই অপকৌশল ধরা খেয়েছে, দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে শুরু করে দেশবাসী আওয়ামীলীগকে ঘৃণাভরে ধিক্কার দিচ্ছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপিকে মাঠ ছাড়া করা যাবে না। সরকার যত মিথ্যা মামলা দিচ্ছে বিএনপি নেতাকর্মীরা ততই গর্জে উঠছে। আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বর্তমান বিএনপি অনেক শক্তিশালী। সময় সুযোগ হলেই সরকারের দুঃশাসনের জবাব দিবে বিএনপি।

জি কে গউছ বলেন- বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ্য। বিএনপির পক্ষ থেকে বার বার বেগম খালেদা জিয়ার সু-চিকিৎসা ও মুক্তির দাবী জানিয়ে আসছিল। কিন্তু আওয়ামীলীগ সরকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে তালবাহানা করে আসছে। এখন মেডিকেল বোর্ড দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গুরুতর অসুস্থতার বিষয়টি স্বীকার করেছে। কিন্তু ইতিমধ্যেই বেগম খালেদা জিয়ার হাত, পা অবস হয়ে যাচ্ছে। একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাথে আওয়ামীলীগ যে আচরণ করছে তা ক্ষমা করবে না দেশবাসী। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে দায়ভার আওয়ামীলীগ সরকারকেই নিতে হবে।

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা গোলাম মোস্তফা রফিক, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হাজী নুরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ হাজী এনামুল হক, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হাশিম, সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুর রহমান কাজল, পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম নানু, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ, জেলা যুবদলের সভাপতি মিয়া মোঃ ইলিয়াছ, সাধারণ সম্পাদক জালাল আহমেদ, সহ সভাপতি কুহিনুর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মুশফিক আহমেদ, সহ সভাপতি জহিরুল হক শরীফ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এমদাদুল হক ইমরান, সাধারণ সম্পাদক রুবেল আহমেদ চৌধুরী, জেলা মৎস্যজীবিদলের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ, জেলা শ্রমিকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল এ চৌধুরী, জেলা জাসাসের সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শাহ ফারুক আহমেদ, বিএনপি নেতা এম জি মওলা, আজম উদ্দিন, নাজমুল হোসেন বাচ্চু, মর্তুজা আহমেদ রিপন, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সফিকুর রহমান সিতু, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বাবুল, জেলা মহিলাদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দা লাভলী সুলতানা, জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি জিল্লুর রহমান, আরিফে রাব্বানী টিটু, আব্দুল মোহাইমিন চৌধুরী ফুয়াদ, শাহ রাজীব আহমেদ রিংগন, জেলা জাসাসের সাংগঠনিক সম্পাদক আলী হোসেন সোহাগ, জেলা তারেক পরিষদের সভাপতি সাইদুর রহমান কুটি, হাজী মতিন, হাফিজুল ইসলাম, মতিউর রহমান, এডভোকেট মইনুল হাসান দুলাল, বাবর আলী, সদর উপজেলা যুবদলের সভাপতি শাহ মশিউর রহমান কামাল, জেলা কৃষকদলের দপ্তর সম্পাদক আবু ছালেক, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মুর্শেদ আলম সাজন ও শেখ মামুন, পৌর কৃষকদলের সভাপতি আশরাফুল আলম সবুজ, সদর উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি কামরুল হাসান কাজল, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সফিক, মিজানুর রহমান সুমন, মীর দুলাল, এডভোকেট কুতুব উদ্দিন জুয়েল, এডভোকেট শাহ আঙ্গুর আলী, এডভোকেট ফখরুদ্দিন আহমেদ, এডভোকেট গুলজার খান, এডভোকেট সৈয়দ আদিল উদ্দিন, এডভোকেট মোজাম্মেল হক, লুৎফুর রহমান, আলাউদ্দিন আহমেদ, জয়নাল আবেদীন, টেনু মিয়া, ফারুক মিয়া, কামাল মিয়া, কামরুজ্জামান কদ্দুস প্রমুখ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ