এছাড়া -পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন ( পিকেএসএফ) , সমাজ কল্যাণ, সমবায়, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর , মহিলা উন্নয়ন অধিদপ্তর, ট্রাস্টি আইন আওতাধীন, জয়েন্ট স্টক কোম্পানি, বিভিন্ন ক্লাব, এলাকাভিত্তিক সমাজ উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানসহ আরো অনেক ধরনের সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে সব মিলিয়ে ১৫ লাখের বেশি কর্মী এই মহান সেবায় নিয়োজিত।
আশির দশক থেকে গ্রামীণ অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে এককভাবে এনজিওরাই যাবতীয় কর্মকাণ্ড এখনো পরিচালনা করে যাচ্ছে । শিক্ষিত বিশাল এই কর্মী বাহিনী যখন কর্মরত অবস্থায় থাকে কখন রাত কখন দিন অনেক সময় হিসেবেও থাকে না কোনো কর্মী মারা গেলে খুবই সামান্য আর্থিক অনুদান হয়ত মিলে। কিন্তু সেটা এতই নগণ্য বলাতে লজ্জা লাগে, আবার চাকারিরত অবস্থায় কোনো কোনো নির্বাহী নিজেদের মালিক বলেও দাবি করতে শুরু করেন- আপনাদের অবগতির জন্য বলি, যে কোনো এনজিওর মালিক হচ্ছে জনগণ- আমরা হচ্ছি ওই সম্পত্তির আমানত রক্ষাকারী । আমাদের ও দুঃখ বেদনা আছে কিন্তু আমরা ভুলে থাকার চেষ্টা করি কাজের মাধ্যমে, বয়সসীমা শেষ হয়ে গেলে কিংবা চাকরি চলে গেলে এদের জীবনে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার – কেউ কেউ সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী যৎসামান্য কিছু পায় অনেকেই আবার শূন্য হাতে ফিরে – তখন ওই পরিবারের কী অবস্থা হয় কেউ আর তার খোঁজখবর রাখে না।
এমতাবস্থায় আমদের প্রাণের দাবি সকল পর্যায়ের এনজিওকর্মীদের বীমার আওতায় এনে কিছুটা হলেও স্বস্থিদায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করার ব্যবস্থা করুন ।
মোস্তফা কামাল আকন্দ, উন্নয়ন কর্মী
ইমেইল: kamal@coastbd.net