রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ০১:০৭ পূর্বাহ্ন
রোকন উদ্দিন লস্কর:
গ্রামীন সংবাকর্মীদের শতকরা ৮০জনই অস্বচ্ছল। তাদের জীবন চলে টানা পড়েনের মাঝে। এর পর ও আত্বসম্মান নিয়ে চলতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। কারও কাছে কোন কিছু চাইতে ,লজ্জা লাগে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গ্রামীন জনপদের, ঘটনা,দুর্ঘটনা,অনিয়ম,দুনীর্তি,স্বজন প্রীতি, তুলে এনে, সংবাদপএ ,মিডিয়াতে ,প্রচার,সম্প্রচার করে থাকেন।
সংবাদ সংগ্রহের প্রতিটি মুহুর্তই গ্রামীন সাংবাদিকদের জীবনের ঝুঁকি থাকে। ছোট পরিধির মধ্যে সীমাবদ্ধ । সবাই সবাই কে চিনেন। সংবাদ কোন গোষ্ট, বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে গেলেও নেমে আসে তাদের ওপর, শারিরীক, মানুষিক নির্যাতন।হুমধামকি তো নিত্যকার ঘটনা। মিথ্যা ও যড়যন্ত মামলায় জড়ানো হয়। এর পর ও দায়িত্ব পালনে অবিচল থাকে অধিকাংশ গ্রামীন সাংবাদিক। প্রানঘাতি করোনা ভাইরাস সংক্রমনের ঝুঁকির মধ্যেও গ্রামীণ সাংবাদিকরা ঘরে বসে নেই। দায়বব্ধতা থেকে দেশের মানুষের জন্য কাজ করছেন তারা।
প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্হার পাশা পাশি গ্রামীণ সাংবাদিকরা করোনা সম্পর্কে জনগনকে সচেতন করতে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাঠে আছেন।ইতোমধ্যে দেশের কয়েক জন গ্রামীণ সাংবাদিকের শরীরে করোনা পজেটিভ ধরা পরেছে। তাদের দায়িত্ব নেবে কে? সরকার ঘোষনা দিছে কোন সরকারী কর্মচারী ,করোনা পজিটিভ হলে ১০ লাখ ও করোনায মারা গেলে ৫০ লাখ টাকা পাবেন। কিন্তুু সমাজের জন্য দেশের জন্য কাজ করলেও গ্রামীণ সাংবাদিক দের নিজের দায়িত্ব নিজের, পরিবারকে ই নিতে হবে এটা বাস্তবতা।
হয়তো আমার নিজের প্রচারের জন্য কোন দানশীন, নেতা এগিয়ে আসতেও পারে। বৈশ্বিক এ করোনা মহামারী তে দেশের বিভিন্ন স্হানে সরকারী চাল,চুরি ও চলছে। মহামারীর সাথে পাল্লা দিয়ে। এখানে ও গ্রামীন সাংবাদিকরা দায় এড়িয়ে যাননি। গ্রামীন সাংবাদিকদের কারণেই চাল চোরদের কাহিনী উঠে এসেছে জাতীয় গনমাধ্যম গুলোতে। একারণে দেশের বিভিন্ন স্হানে অন্তত ২০ জন গ্রামীন সাংবাদিক,হামলা ,মামলা, সহ নানা ভাবে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। অনেক কে বানানো হয়েছে চাঁদাবাজ। নারী নির্যাতন মামলার আসামী।
ভোলা জেলা চাল চুরি সংবাদ কে কেন্দ্র করে গ্রামীন সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা শুরু হয়ে সব শেষ নরসিংদী তে জনপ্রতিনিধির লোকজনের হাতে এক সাংবাদিক রক্তাক্ত হন প্রকাশ্য।মাথা থেকে রক্ত গড়িয়ে পা পড়ছিল। যাক এসব কথা। দেশের অধিকাংশ পিন্টও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গ্রামীন সাংবাদিক নিয়োগ দেন অবৈতনিক। হাতে গুনা কয়েকটি প্রিন্ট পত্রিকায়, টিভি, অনলাইন পোর্টাল তাদের প্রতিনিধিদের সম্মানী দেন। যেকারণে সখের বসে মুলত গ্রামীন সাংবাদিকতায় যুক্ত হন অনেক মেধাবীরা। আবার অনেকের চিন্তা ভিন্ন।
ইদানিং অনেক মিডিয়া টাকার বিনিময়ে গ্রামীন সাংবাদিক নিয়োগ দিয়ে কার্ড একটা দিয়ে মাঠে ছেড়ে দেন। তারা নীতি নৈতিকতা নিয়ে চিন্তা করেন না। যে কারণে গ্রামীণ সাংবাদিকতা অশনি সংকেতময় । নীতি নৈতিকতা মেনে যারা চলেন ,সাংবাদিকতার পাশা পাশি অন্য পেশায় যুক্ত হন। এর মধ্যে ৮০ ভাগ ই অসচ্ছল।বাইরে খোব ভোগ বিলাসী হলে ঘরে তাদের নিদারুন কষ্ট। দেশের বর্তমান পরিস্হতিতে দেশে বিপর্যয় নেমে এসেছে।
করোনা মহামারীতে নকডাউন,অর্থনৈতিক অচলাবস্হা, গ্রাহক সংখ্যা,হ্রাস পাওয়া, কর্মীসংকট, হকার পত্রিকা বিক্রতে অনিহা, সহ নানা কারনে সংবাদ পএ গুলো ব্যাপক ক্ষতির সম্মখীন। একারনে জাতীয় অনের পত্রিকা সহ আঞ্চলিক পত্রিকার মুদ্রণ বন্ধ রেখেছে। কিছু এলাকা ভিত্তিক পত্রিকা মুদ্রন হলেও অনেকটা অফিস পর্যন্ত সীমা বব্ধ। গ্রামীন সাংবাদিকদের আয়ের একটা বড় উৎস হচ্ছে বিজ্ঞাপন। সরকারী অফিস আদালত বন্ধ।লকডাউন।
মানুষের মধ্যে আতংক বিরাজ করায় , পএিকা মুদ্রন বন্ধ থাকায়। ব্যক্তি, কিংবা প্রতিষ্টান ,সরকারী বিজ্ঞাপন ও নেই। এঅবস্হায় গ্রামীণ সাংবাদিকদে অধিকাংশই পরিবার পরিজন নিয়ে ভাল নেই। ব্যক্তিত্বের কারণে এাণের তালিকাও তাদের নাম নেই। করোনা পরিস্হিতিতে প্রেসকাউন্সিল থেকে গ্রামীণ সাংবাদিকদের প্রনোদনা দেয়ার ব্যাপারে প্রত্যেক জেলা প্রশাসক কে চিঠি দেয়া হয় এই মর্মে গনমাধ্যমে প্রচার করা হয়। এর কয়েক দিন পর ই গনমাধ্যমে প্রচার হয়। গ্রামীন সাংবাদিকদের প্রনোদনা দেয়ার বিষয় টি স্হগিত করা হয়েছে।
প্রনোদনা পাওয়া যাবে এমন খবরে গ্রামীন সাংবাদিকরা আশার আলো দেখে। কিন্তুু স্হগিতদের খবর টি পেয়ে হতাশ ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ,বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জাতীর উদ্দ্যেশে দেয়া ভাষণে স্পষ্ট ভাবে বলেছেন। কে আমারে ভোট দিল ,কোন দল,কার, এবিবেচনায় নয়, যার প্রযোজন তাকেই সরকারী সাহায্য দিতে হবে। প্রধান মন্ত্রীর এ বক্তব্য দল মত,নির্বিশেষে সকল শ্রেণী,পেশার মানুষের কাছে প্রশংসিত হয়। কিন্তুু গ্রামীণ সংবাদ কর্মীদের ক্ষেএে এবৈষম্য কেন? জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের গনমাধ্যম কর্মীদের তালিকা প্রনয়ন করে তাদের সরকারী প্রনোদনা সহায়তার আওতায় আনার জন্য বংগবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সদয় দৃষ্টি চাই।
লেখক
দৈনিক যুগান্তর,মাধবপুর প্রতিনিধি ও সাবেক সভাপতি মাধবপুর প্রেসক্লাব।