• Youtube
  • English Version
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:৫৫ অপরাহ্ন

করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

বাহুবলে হিলালপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার গ্রেফতার

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৬

বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার হিলালপুর শাহজালাল (রঃ) সুন্নীয়া দাখিলা মাদরাসার বরখাস্তকৃত সুপার হারুনুর রশীদ গোলাপকে অবশেষে গ্রেফতার করেছে দুদক।

 

 

গত রবিবার রাত ৯টার দিকে বাহুবল হাসাপতাল এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে দুদকের লোকজন গ্রেফতার করে বাহুবল থানায় সোপর্দ করেন।

 

 

তার বিরুদ্ধে মাদরাসায় অনুপস্থিত থেকে অবৈধ বেতন ভাতা উত্তোলন, প্রতিষ্ঠানের ও শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টিউশন ফি বাবদ মিলিয়ে প্রায় ১২ লাখ টাকার দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

 

সুপার হারুন বিগত ২০১২ সালের ১৪ এপ্রিল থেকে অদ্যাবদি পর্যন্ত এই দীর্ঘ সময় মাদরাসায় অনুপস্থিত থাকা সত্ত্বেও গোপনে বিতর্কিত ম্যানেজিং কমিটির ছত্রছায়ায় উল্লেখিত দুর্নীতির কর্মকান্ডে তিনি জড়িয়ে পড়েন। ওই সময় থেকে কমিটি সভাপতি ছিলেন কামরুজ্জামান জিতু মিয়া ও পরের সেশনে সাবেক মেম্বার অনু মিয়া। আর সদস্য ছিলেন আ’লীগ নেতা মুহিবুর রহমান চৌধুরী সোহেল। তারা শুরুতেই সুপার হারুনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে হয়ত আজকের পরিণতি সুপার হারুনের হত না বলেই মন্তব্য করেন এলাকার লোকজন।

মাদরাসায় অনুপস্থিতির নেপথ্য কারণ: ২০১২ সালের শুরুর দিকে সুপার হারুণের বিরুদ্ধে নিজ মাদরাসার জনৈক ছাত্রের সাথে বলৎকারের অভিযোগ চাউর হয়ে উঠলে ছাত্র ঘটনার সত্যতা স্বীকারও করে। এলাকাবাসী ও প্রশাসনের লোকজনও তদন্ত করে অতীতের আরো এরকম ঘটনা নজির পান। এর জের ধরেই এলাকার লোকজন সুপার হারুনের বিরুদ্ধে ফুসে উঠে। এমনকি তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী মহাসড়কে প্রতিবাদ সভা বিক্ষোভ করেন।

 

এর পর থেকেই জনরোষ থেকে বাঁচতে সুপার প্রতিষ্ঠানের অনুমতি ছাড়াই অনুপস্থিত থাকেন। কিন্তু কমিটি তার বেতন ভাতা উত্তোলনের সুযোগ করে দেন। এতে প্রতিয়মান হয়, কর্ম ছাড়া বেতন ভাতা দেয়া যে বেআইনী এবং দুর্নীতি তা যেন কমিটির জানাই ছিল না। ফলে এর পাপের ফসল ভোগী হচ্ছেন সুপার হারুন। তাদের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের বিভিন্ন দফতরে এলাকাবাসী দফায় দফায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে প্রতিটি অভিযোগেরই তদন্তে সত্যতা মেলে। ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশও দেয়া হয়। কিন্তু কমিটি তা আমলে নেয়নি। দুর্নীতি অব্যাহত থাকে।

পরবর্তী ব্যবস্থা: গত বছরের ৩০ নভেম্বর মাদরাসার এডহক কমিটি গঠিত হয়। কমিটির সভাপতি হন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। তিনি ইতিমধ্যে মাদরাসার হাল অবস্থা দেখে সুপার হারুনকে শোকজ করেন। শোকজের জবাব যথাযথ না হওয়ায় গত ১১ এপ্রিল সুপার হারুনুর রশীদকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।

 

এদিকে দুদকে দাখিল করা অভিযোগের সত্যতা পেয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে সুপার হারুনুর রশীদ গোলাপের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। এরই অংশ হিসেবে গত রবিবার তার বাসা থেকে গ্রেফতার করে বাহুবল মডেল থানায় সোপর্দ ও সাথে সাথে মামলা দায়ের করা হয়। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ