শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ০১:৩৬ অপরাহ্ন
চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: হবিগঞ্জ চুনারুঘাট উপজেলার মুছিকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এডিপি প্রকল্পের ৯ লক্ষ টাকার টেন্ডার প্রাপ্ত এক ঠিকাদার লিন্টারে রডের বদলে বাঁশ ও কাঁঠ ব্যবহার করেছে। এনিয়ে উপজেলা জেলা জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, এই ব্রিজে রড ব্যবহারের কথা থাকলেও ব্যবহার করা হয়েছে বাঁশ। এছাড়াও এর সাথে সকল প্রয়োজনীয় নির্মাণ সামগ্রী ছিল নিম্নমানের যা সম্পূর্ন নিয়ম বর্হিভূত কাজ। যার ফলে ওয়ালটি হেলে পড়েছে ও ফাটল দেখা দিয়েছে। অনিয়মের বিষয়ে স্থানীয় লোকজন ব্রীজ নির্মানের সময় নির্মাণকারীদের বার বার বলার পরও তারা কর্ণপাত করেন নি। তারা তাদের মত করে কাজ করেছে।
এ ঘটনায় এলাকাবাসী গত ববুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এলাকার অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি গত বৃহস্পতিবার সরজমিন তদন্তে যান উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আবু তাহের ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মঈন উদ্দিন ইকবাল। উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার, উপজেলা শিক্ষা অফিসারসহ নেতৃবৃন্দ। এসময় জনসাধারনের উপস্থিতে লিন্টার ভাঙ্গা হয়। এতে নির্মাণের প্রায় অংশে রডের বদলে বাঁশের অংশ বিশেষ বের হয়, বিষয়টি দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন উপস্থিত নেতৃবৃন্দ।
স্থানীয়দের অভিযোগ উক্ত কাজের দায়িত্ব প্রাপ্ত এএসইউ মর্তুজ আলীকে একাধিকবার জানালেও তিনি এবিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করেননি। স্থানীয়রা জানান এএসইউ মর্তুজ আলীকে ম্যানেজ করেই ঠিকাদার উক্ত অনিয়মের কাজটি করেছে। এলাকাবাসী অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবী জানান।
সুত্রে জানা যায়, এই ওয়ালের নির্মাণ কাজের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কেবি কনট্রাকশন মোঃ রিফন আহমেদ । অভিযোগ রয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী সঠিক পরিমানে ভাল মানের বালু, সিমেন্ট ব্যবহারের কথা থাকলেও ঐ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের বালু, সিমেন্ট ব্যবহার করেছেন। তিনি নামমাত্র কাজ করেছে। ফলে সবার চোখের আড়ালেই রডের বদলে বাঁশের ফলা ও ছোট ছোট বাশঁ, ময়লা বালু, পাথর দিয়ে নির্মাণ কাজ করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজন এর প্রতিবাদ করলেও কোন কাজে আসেনি।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সত্যতা নিশ্চিত করে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ঠিকাদারদের প্রতি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মঈন উদ্দিন ইকবাল জানান তদন্ত করে নির্মাণের অনিয়মের বিষয়টি দেখেছি ঘটনা সত্য পুনরায় কাজটি অন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কে দেয়া হবে, আর ঠিকাদারের বিরোদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করে তার লাইসেন্স বাতিলের জন্য কথা বলেছি।
পূর্নবাসন কর্মকর্তা বলেন অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।