• Youtube
  • English Version
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:৩৯ অপরাহ্ন

করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

মাধবপুরে বইয়ের বোঝা সইতে পারছেনা শিক্ষার্থীরা

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

মোহা. অলিদ মিয়া, মাধবপুর (হবিগঞ্জ):
হবিগঞ্জে মাধবপুরে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সইতে পারছেনা শিক্ষকদের চাপিয়ে দেওয়া বইয়ের বোঝা। সরকার কর্তৃক বিনামূল্য পাঠ্যপুস্তক বিতরন করা হলেও এক শ্রেনীর লাইব্রেরী ব্যবসায়ী ও কতিপয় স্কুলের শিক্ষকের যোগসাজসে নিন্মমানের প্রকাশনীর অতিরিক্ত বই কিনতে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করা হচ্ছে। গাইড বই কিনে না দিয়ে রেহাই পাচ্ছেন না কোন অভিভাবকই। ধার দেনা করেও কোমনমতি শিক্ষার্থীকে গাইড বই কিনে দেওয়ার খরব পাওয়া গেছে। শিক্ষকদের এমন বাণিজ্যে রুখতে অনেক অভিভাবক সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে আবেদন জানিয়েছেন।

অভিভাবকদের অভিযোগ শিক্ষা ব্যবস্থা সৃজনশীল হলেও শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের নিরবতায় মাধবপুরে গাইডে সয়লাব হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা বছরের শুরু থেকেই অধিক লাভের নিন্মমানের প্রকাশনী গুলোর গাইড বই কিনতে ৬ষ্ট থেকে ৯ম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দিচ্ছে স্বয়ং শিক্ষকরা।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানাযায় মাধবপুরে ২২টি উচ্চ বিদ্যালয় ও ৫টি মাদ্রাসা রয়েছে।

তন্মধ্যে বহরা ইউনিয়নের অপরুপা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, তালিবপুর আহসানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, আওলিয়াবাদ আর কে উচ্চ বিদ্যালয়, ডাঃ জরিপ হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে একমাত্র একটি লাইব্রেরী থেকে তাদের সিলেক্ট করা বই কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে। গাইড বই নিষিদ্ধ হলেও প্রকাশনী গুলো শিক্ষক, শিক্ষা প্রতিষ্টান ও প্রতিষ্টানের নেতৃবৃন্দেকে ডোনেশনের মাধ্যমে গাইড বই বিক্রি করছে দেদারছে। শিক্ষক, প্রকাশক ও পুস্তক বিক্রেতার যৌথ কষাঘাতে নিষ্পেষিত হচ্ছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। বিরুপ মনোভাব তৈরী হচ্ছে বর্তমান সরকারের শিক্ষা কার্যক্রমের উপর।

একটি ইংরেজি ব্যাকারণ, বাংলা ব্যাকারণ, বিদ্যাশিক্ষা ও এবং অরজিন নামের বই দিয়ে প্যাকেজ করে চড়া মূল্যে বিক্রি করছে। ব্যক্তিগত মুনাফা লোভী শিক্ষকদের কার্যক্রমে বর্তমান সরকারের শিক্ষা কার্যক্রমের গৃহীত পদক্ষেপের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।

আওলিয়াবাদ আর কে উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ আসাদুজ্জামান জানান-তাদের তালিকাভুক্ত বিদ্যাশিক্ষা প্রকাশনীর বই গুলো একমাত্র মনতলা স্টেশন বাজার ফেমাস লাইব্রেরীতে পাওয়া যাবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা মধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেন জানান-সরকার বাংলা ও ইংরেজি ব্যাকারণ বই বিনা মূল্য শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করছে। তার পরও অতিরিক্ত বই চাপিয়ে দিয়ে বাণিজ্যকারীদের বিরুদ্ধে খোজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আয়েশা আক্তার জানান- প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে সৃজনশীল ব্যবস্থা প্রনয়ন করে মুখস্থ বিদ্যা, গাইড ও কোচিং বাণিজ্য বন্ধের পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। কোন লাইব্রেরী কিংবা স্কুলে গাইড বই পেলে তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ