রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন
বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার বড়ইউড়ি আবিদা এতিমখানা মাদ্রাসার ইবতেদায়ী ক্লাসের শিশু শিক্ষার্থীরা এখনও সরকারি বই পায় নাই।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় থেকে এতিমখানার ইবতেদায়ী ক্লাসের পাঠ্যবই সরবরাহের দায়িত্ব থাকলেও সময়মতো ঐ মাদ্রসার শিক্ষার্থীদেরকে এখনও পাঠ্যবই সরবরাহ করা হচ্ছেনা। জানুয়ারী মাস
পেরিয়ে গেলেও ঐ মাদ্রাসার প্রথম শ্রেনী থেকে পঞ্চম শ্রেনীর মোট ১১৩জন শিক্ষার্থী সময়মতো বই না পাওয়ায় তাদের পড়ালেখার ব্যাপারে শংকা দেখো দিয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়,বড়ইউড়ি আবিদা এতিমখানার পক্ষ থেকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠ্যবইয়ের জন্য যোগাযোগ করা হলে তাদেরকে বই দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
গত ২২জানুয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাঠ্যবই সরবরাহের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানানো হলেও ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত পাঠ্যবই সরবরাহ করা হয়নাই।
এব্যাপারে বড়ইউড়ি আবিদা এতিমখানার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ শাহবুদ্দিন জানান, বই নেওয়ার সময় অফিসের লোকজন অতিরিক্ত টাকা দাবি করে। এব্যাপারে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে আমি
গত বৎসর তর্ক করেছিলাম এর পর থেকে আমাকে দেখে নেবেন বলে হুমকি দিয়েছিলেন তিনি।
চলতি বছর বইয়ের জন্য যোগাযোগ করা হলে বই দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়। হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ জানালে পরবর্তীতে বই দেওয়া হবে বলে সময়ক্ষেপন করলেও বই দেওয়া হচ্ছেনা।এতে করে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিবাভকগন শংকার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
এব্যাপারে বড়ইউড়ি আবিদা এতিমখানার ভারপ্রাপাপপ্ত প্রধান শিক্ষক মাবিয়া খাতুন জানান, সব জায়গায় ক্লাস শুরু হয়ে গেছে। আমরা এখনও এই এতিম মাদ্রাসায় বইয়ের অভাবে ক্লাস শুরু করতে পারি নাই। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে বারবার যোগাযোগ করা হলেও বই দেওয়া হবে বলে শুধু শুধু সময় ক্ষেপন করা হচ্ছে।
এব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) কাওসার শোকরানা জানান, আমি বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করেছি। মাদ্রাসা আছে কিছু শিক্ষার্থীও আছে। তবে এতিমখানা নাই। আমি বই দিয়েদিয়েছি। বড়ইউড়ি গ্রামের সাবেক ও বর্তমান মেম্বার এবং বিশিষ্ট ব্যাক্তিদের জিম্মায়।
বই কেন জনপ্রতিনিধির জিম্মায় এরকম প্রশ্নের জবাবে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জানান পরিচালনা কমিঠির সভাপতি মোঃ শাহবুদ্দিন ও তার আরেক ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ থাকায় ৩০জানুয়ারী(বহস্পতিবার ) জনপ্রতিনিধি ও সমাজপতিদের জিম্মায় বই দেওয়া হয়েছে।