রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ১২:৫৬ পূর্বাহ্ন
বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার মুরাদপুর এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপদে বহাল থেকেও আড়াই বৎসর যাবৎ বেতন পাচ্ছেন না। শুধূ বেতন বন্ধই না ঐ শিক্ষককে স্বপদ ফিরিয়ে দিয়ে দায়িত্বও বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছেনা। ফলে স্ত্রী সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তিনি।
ঘটনাটি বানিয়াচং উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের মুরাদপুর এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের।
সম্পূর্নভাবে সরকারী অর্থে প্রতিষ্টিত সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ডেভলাপমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় মুরাদপুর এসইএসডিপি মডেল স্কুলটি প্রতিষ্টিত করা হয়। আর ঐ বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষককে বেতন-ভাতা বন্ধ রেখে মানবেতর জীবন কাটাতে বাধ্য করছেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির একাংশ, সহকারী শিক্ষক ও উপজেলা(ভারপ্রাপ্ত) মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
এব্যাপারে ভূক্তভোগী প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন জানান আড়াই বছর পূর্বে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিঠির লোকজনের সাথে মনোমালিন্যের সুযোগে একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলে শিক্ষাবোর্ডে অভিযোগ প্রদান করেন। পরবর্তীতে শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক তদন্তে আমাকে সম্পূর্ণভাবে নির্দোষ প্রমান করে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে বলা হয়।
আমি আমার দায়িত্ব সমজিয়ে নিতে চাইলে এলাকার প্রভাবশালী সহকারী শিক্ষক আবু সালেখ চৌধুরী আমার দায়িত্ব সমজিয়ে দিতে অস্বীকার করেন।
পরবর্তীতে ঐ সহকারী শিক্ষক আমার দায়িত্ব সমজিয়ে দিতে চাইলেও কমিঠির সাবেক সদস্য জাফর আহমেদ চৌধুরী আমাকে বাধাও হুমকি প্রদান করেন।
এছাড়াও ভারপ্রাপ্ত মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাওসার শোকরানা ও বাধা প্রদান করছেন। বোর্ড আমাকে স্বপদে বহাল রাখা স্বত্তেও আমার বেতন-ভাতা আড়াই বৎসর যাবৎ বন্ধ। কিন্তু কর্মরত অন্যান্য শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ঠিকই চালু আছে। যে কারনে আমার স্বাক্ষর ব্যাতিত কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ রাখার আবেদন জানালে ব্যাংক কর্র্তৃপক্ষ আইনগতভাবে আমার আবেদনটি গ্রহন করেন।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিঠি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ করেন।
আমি পুনরায় সিলেট শিক্ষাবোর্ডকে বিষয়টি অবগত করলে শিক্ষাবোর্ডের মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয়ের নির্দেশে বিদ্যালয় পরিদর্শক জনাব মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম বানিয়াচং সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে আবারও আমার স্বপদে বহাল থাকার বিষয়টি ১৬জানুয়ারী পত্র মারফত জানিয়েছেন।
জাকির হোসেন আরো জানান, একমাত্র চাকুরী ব্যাতিত আমার আর কোন আর্থিক ব্যাবস্থা না থাকায় বৃদ্ধ মা, স্ত্রী ও সন্তানদেরকে নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাতে হচ্ছে। আমি আমার বকেয়া বেতনসহ আমার স্বপদে দায়িত্ব পালন করতে চাই।
এব্যাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিঠির সাবেক সদস্য ও বিএনপি নেতা জাফর আহমেদ চৌধুরী জানান, ঐ প্রধান শিক্ষককে ছাত্র-ছাত্রীরা পছন্দ করে না। আমরা তাকে আর চাই না।
এব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাওসার শোকরানা জানান, ঐ প্রধান শিক্ষকের যোগ্যতা নাই ঐ বিদ্যালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার।