• Youtube
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৮:১৮ অপরাহ্ন

করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

জর্দানে বন্দি চুনারুঘাটের খাদিজা উদ্ধার

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২০

চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার খাদিজা খাতুনকে উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার
জর্ডানে প্রবাসী এক সাংবাদিকের মাধ্যমে দূতাবাসের এক কর্মকর্তা তাকে
উদ্ধার করেন। তিনি এখন জর্ডানের রাজধানী আম্মানে বাংলাদেশ দূতাবাসের
তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। শিগরিরই তাকে বাংলাদেশে পাঠানো হবে বলে জর্ডান
দূতাবাস জানিয়েছে। জর্ডানে কর্মরত গৃহ-শ্রমিক খাদিজা আক্তার গত ২
জানুয়ারী বাথরুম থেকে ইমোতে ভিডিও কল করে তার বাবার সঙ্গে কান্নাজড়িত
কণ্ঠে তার উপর নির্যাতনের কথা এবং তাকে দ্রুত উদ্ধারের কথা জানিয়েছিল। এই
খবর পাওয়ার পর থেকে দুশ্চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন খাদিজার বাবা। বারবার
মূর্ছা যাচ্ছিলেন তার মা। এর মধ্যে দুই মাস আগে আরেক মেয়ে সৌদি আরবে
যাওয়ার পর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে শুরু হয়
কান্না আর আহাজারি। আশপাশের লোকজন এসে সান্তনা দিচ্ছিলেন। এ বিষয়ে
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় এবং দৈনিক যুগান্তরে ৬ জানুয়ারী
একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
বিষয়টি নজরে আসে জর্ডান প্রবাসী সাংবাদিক সেলিম আকাশ। তিনি
বিষয়টি জানান জর্ডান দূতাবাসের কর্মকর্তা প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান
মো. বশিরকে। তিনি দ্রুত তাকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করেন। মঙ্গলবার তাকে উদ্ধারের পর
রাখা হয়েছে দূতাবাসে।
খাদিজা আক্তার চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের আমতলা গ্রামের দিন
কাঠুরে মরম আলীর মেয়ে। রেমা কালেঙ্গা বনে লাকড়ি সংগ্রহ করে তা বিক্রি করাই
তাঁর প্রধান পেশা। তাঁর চার মেয়ে ও দুই ছেলে। ছেলে দুটি ছোট। চার মেয়েই
বিয়ের উপযুক্ত হওয়ার অবস্থায় তাদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে তিনি দুই মেয়েকে সৌদি
আরব ও জর্দানে পাঠান। সৌদি আরবে যাওয়া বড় মেয়ের নাম সুমি আক্তার (২০)।
খাদিজার পরিবার জানায়, উপজেলার আমুরোড গ্রামের দালাল সুন্দর আলীর ছেলে
আলফি মিয়া ঢাকার পুরানা পল্টনের রিক্রুটিং এজেন্সি ফোর স্টার ইন্টারন্যাশনাল
লিমিটেডের মাধ্যমে এক মাসে আগে খাদিজাকে জর্দান পাঠান। অভাব-অনটনের
সংসারে স্ত্রী, চার মেয়ে ও দুই ছেলেকে নিয়ে মরম আলী একটু সচ্ছলতার আশায়
দালালদের প্ররোচনায় পড়ে খাদিজাকে জর্দান ও বড় মেয়ে সুমিকে সৌদি আরবে
পাঠান। এর মধ্যে খাদিজা উদ্ধার হলেও অপর মেয়ে সুমির সঙ্গে এক মাস ধরে পরিবারের
কোনো যোগাযোগ নেই।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ