শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ০৪:৩৭ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি, সিলেট: সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ফের পিছিয়েছে। আদালতে সাক্ষী হাজির না থাকায় সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মকবুল আহসান সাক্ষ্যগ্রহণ করেননি। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১১ মে নির্ধারণ করা হয়েছে।
সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি কিশোর কুমার কর জানান, আজ বৃহস্পতিবার আদালতে আসামিরা উপস্থিত থাকলেও সাক্ষী হাজির ছিলেন না। এজন্য সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।
তিনি আরো জানান, কিবরিয়া হত্যা মামলার ৩২ আসামির মধ্যে ৮ জন জামিনে, ১৪ জন কারাগারে ও ১০ জন পলাতক রয়েছেন।
এর আগে গত ১১ মার্চ, ১৬ মার্চ, ৩১ মার্চ, ৭ এপ্রিল ও ২৮ এপ্রিল আলোচিত এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।
এরও আগে গত ২৪ ডিসেম্বর সাক্ষী না আসায়, ২৩ ডিসেম্বর সাক্ষী না আসায় ও পর্যাপ্ত আসামি আদালতে হাজির না থাকায়, ৯ ডিসেম্বর সাক্ষী না আসায় ও আসামি হাজির না থাকায়, ৩ ডিসেম্বর পর্যাপ্ত আসামি উপস্থিত না হওয়ায়, ২ ডিসেম্বর সাক্ষী উপস্থিত না থাকায় ও পর্যাপ্ত আসামি আদালতে হাজির না থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।
গত ২৬ নভেম্বর আদালতে দু’জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। ২৫ নভেম্বর আদালতে পর্যাপ্ত আসামি হাজির না থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। গত ১৮ নভেম্বর সাক্ষ্য দেন ২ জন। ১৯ নভেম্বর আদালতে আসামি ও সাক্ষীরা হাজির হতে না পারায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। গত ১২ নভেম্বর সাক্ষী হাজির না হওয়ায়, ১১ নভেম্বর পর্যাপ্ত আসামি হাজির না থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। গত ৫ নভেম্বর আদালতে সাক্ষ্য দেন দুইজন। এরও আগে গত ৪ নভেম্বর এবং ২৮ ও ২৯ অক্টোবর আদালতে পর্যাপ্ত আসামি উপস্থিত না থাকায় মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।
গত ২১ অক্টোবর আদালতে সাক্ষ্য দেন তিন জন। এর আগে ২১ সেপ্টেম্বর সাক্ষী হাজির না পারায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে সাক্ষ্য দেন হবিগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যের বাজারে এক জনসভায় গ্রেণেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। এ ঘটনায় হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন। টানা নয় দফা পেছানোর পর গতবছরের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জ (অভিযোগ) গঠন করা হয়। মামলার কারান্তরীণ ও জামিনে থাকা সকল আসামির উপস্থিতিতে মোট ৩২ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জ গঠন করা হয়।