করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

বানিয়াচঙ্গের শায়খ আবু নছর কোরাইশী দাখিল মাদ্রাসার হিফজ বিভাগ এক অনন্য উচ্চতায়

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯

শিব্বির আহমদ আরজু, বানিয়াচং (হবিগঞ্জ): হবিগঞ্জের  বানিয়াচঙ্গের শায়খ আবু নছর কোরাইশী দাখিল মাদ্রাসার হিফজ বিভাগ এক অনন্য উচ্চতায় পৌছে গেছে। প্রতিষ্ঠার ১৬ বছরেই মাদ্রাসার দৃশ্যপট পাল্টে গেছে।

শৃংখলা,পরিপাটি,নিয়মাবর্তিতাসহ ধারাবাহিক ভালো ফলাফলে হবিগঞ্জের মধ্যে অন্যতম একটি মাদ্রাসা হিসেবে স্থান করে নিয়েছে এ প্রতিষ্ঠানটি। এর পেছনের কারিগর হচ্ছেন হিফজ বিভাগের সৃজনশীল মেধাবী শিক্ষক হাফেজ সুহাইল আহমদ।

তিনি সামাজিক সংগঠন বানিয়াচং তাহফিজুল কোরআন ফাউন্ডেশন ও বানিয়াচং গণগ্রন্থাগারের অর্থ সম্পাদকের পাশাপাশি হবিগঞ্জ অনলাইন এ্যক্টিভিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

২০০৩ সালে নিজস্ব অর্থায়নে বানিয়াচং উপজেলা সদরের ৩নং দক্ষিণ-পূর্ব ইউনিয়নে মিয়াখানী মহল্লায় শায়খ আবু নছর কোরাইশী দাখিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন বৃটেন প্রবাসী মো. আশিকুর রহমান কোরাইশী।

প্রথম থেকেই জেনারেল শিক্ষার পাশাপাশি হিফজ বিভাগও চালু করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালে এপ্রিল মাসে হাফেজ সুহাইল আহমদকে হিফজ বিভাগের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন ম্যানেজিং কমিটি। এর পর থেকে হিফজ বিভাগকে আর পেছনে তাকাতে হয়নি।

বর্তমানে শুধু হিফজ বিভাগের ছাত্র সংখ্যা হচ্ছে ৪৯ জন। শিক্ষক ১জন। গত বছর বেফাক কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় ৫জন ছাত্র অংশ গ্রহণ করে ২জন মুমতায (এ প্লাস) পেয়েছে। তা ছাড়া বানিয়াচং তাহফিজুল কোরআন ফাউন্ডেশন কতৃক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা ২০১৯ এ মাদ্রাসা থেকে ২জন ছাত্র এ্যওয়ার্ড পেয়েছিল।

হিফজ বিভাগের বোর্ডিংয়ে ৩৫জন ছাত্র রয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে জেনারেল বিভাগ এবং হিফজ বিভাগের সকল শিক্ষকের বেতন এককভাবে বহন করছেন বানিয়াচঙ্গের কৃতি সন্তান বৃটেন প্রবাসী মো. আশিকুর রহমার কোরাইশী। তিনি এ প্রতিষ্ঠানে ইতিমধ্যে কয়েক কোটি টাকা ব্যয় করেছেন। জেনারেল বিভাগের ফলাফলও খুব ঈর্ষণীয়। ১ম শ্রেণি থেকে দাখিল (১০ম শ্রেণি) পর্যন্ত ক্লাস রয়েছে। ইবতেদায়ী, জেডিসি ও দাখিল পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করছে এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

সুপার হিসেবে আছেন সৃজনশীল মেধাবী ব্যক্তিত্ব মাওলানা নজরুল ইসলাম। সহকারি সুপার হিসেবে আছেন মাওলানা হামিদুল ইসলাম। মাদ্রাসায় প্রবেশ করলেই যে কারো নজর কাটবে। খুব সুন্দর পরিবেশ, জেনারেল ও হিফজ বিভাগের দৃষ্টি নন্দন ড্রেস ও প্রতিটি কক্ষের পরিপাটি নজরকাড়ার মতো। এ পর্যন্ত ১৫/২০জন ছাত্র পূর্ণাঙ্গ হাফেজ সাহেব হিসেবে বিদায় নিয়েছে এবং তারা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ