করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

বিয়ানীবাজারে তৃণমূলের রায় বহাল রেখেছে আ’লীগ

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: বুধবার, ৪ মে, ২০১৬

বিয়ানীবাজার (সিলেট) প্রতিনিধি: সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী নির্ধারণে উপজেলার তৃণমূলের দেয়া রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ।

বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীলদের সাথে জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীলদের আলোচনা শেষে সম্প্রতি তৃণমূলের রায়ে নির্বাচিতদের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করা হয়। উল্লেখ্য, গত ২৪ এপ্রিল জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ তৃণমূলের ভোটগ্রহণ করেছিল।

১নং আলীনগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম, ২নং চারখাই ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মাহমদ আলী একক প্রার্থী হওয়ায় এ দুই ইউনিয়নে তৃণমূলের ভোট অনুষ্ঠিত হয়নি।

অপর ইউনিয়নে তৃণমূলের ভোটে নির্বাচিত নৌকার মাঝিরা হলেন- উপজেলার ৩নং দুবাগ ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুস সালাম ৪নং শেওলা ইউনিয়নে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি জহুর উদ্দিন, ৫নং কুড়ারবাজার ইউনিয়নের প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মাহমদ আলী, ৭নং মাথিউরা ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সিহাব উদ্দিন, ৮নং তিলপাড়া ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান এমাদ উদ্দিন, ৯নং মোল্লাপুর ইউনিয়নে উপজেলা ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম ও ১০নং মুড়িয়া ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সামসুদ্দিন মাখন। এছাড়া ভোটার জটিলতা থাকায় ১১নং লাউতা ইউনিয়নে তৃণমূল ভোট অনুষ্ঠিত হয়নি। এ ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান এম এ জলিলকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিয়ানীবাজার উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান খান বলেন- তৃণমূলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়েছে।

এর আগে গত ২৪ এপ্রিল জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ গৃহীত তৃণমূলের ভোটে ৭টি ইউনিয়নের সভাপতি, সম্পাদক এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ওয়ার্ড সভাপতি ও সম্পাদক নিজস্ব মতামত দেন। গৃহিত ভোটে ৩নং দুবাগ ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুস সালাম ১২ ও সাবেক চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন ৭ ভোট পান। ২০ ভোটরের মধ্যে একজেন ভোটার অনুপস্থিত ছিলেন। ৪নং শেওলা ইউনিয়নে জহুর উদ্দিন ৮, সাবেক চেয়ারম্যান সামসুদ্দিন ৬ ও মাসুদ খান ৬ ভোট পেয়েছেন।

৫নং কুড়ারবাজার ইউনিয়নের মাহমদ আলী ৭, তুতিউর রহমান তুতা ৬, খালেদ আহমদ ৬ ও আবদুল মোমিত ১ ভোট পান। ৭নং মাথিউরা ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সিহাব উদ্দিন ১৫ ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক বেলাল আহমদ ৫ ভোট পান। ৮নং তিলপাড়া ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান এমাদ উদ্দিন ৯, সাবেক মেম্বার ইসলাম উদ্দিন ৬, মুছলেহ উদ্দিন ৩ ও আবদুল লতিফ ২ ভোট পান।

৯নং মোল্লাপুর ইউনিয়নে উপজেলা ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম ১২, শামীম আহমদ ৫ ও এম এ কাদির ৩ ভোট পান। ১০নং মুড়িয়া ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সামসুদ্দিন মাখন ৬, আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুন কবির ৫, সাব উদ্দিন ৪, শাব্বির উদ্দিন ৪ ও অহিদুর রেজা মাছুম ১ ভোট পান।

ভোটগ্রহণের পর তাৎক্ষণিক প্রার্থীর নাম ঘোষণা না করায় অনেকেই ধারণা করেছিলেন যে তদবিরের ফলে তৃণমূলের দেয়া রায়ের প্রতিফলন না হতে পারে। এ নিয়ে জোর লবিংও চলেছিল বলে জানা গেছে। তবে শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের রায় বহাল রাখে জেলা আওয়ামী লীগ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ