করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

শ্রীমঙ্গলের ঐতিহ্য ‘চা-কন্যা’

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: মঙ্গলবার, ৩ মে, ২০১৬

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি: দেশের বিখ্যাত পর্যটন নগরী হচ্ছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল। সুনীল আকাশ আর সবুজের সমারোহ আর অপরূপ সৌন্দর্য্য শোভিত চা শিল্পাঞ্চলের বিশাল গৌরব ও সুপ্রাচীন ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে শ্রীমঙ্গলে নির্মিত হয়েছে চা-কন্যা ভাস্কর্য। নারী ও চা শ্রমিক’ এ দু’টি বিষয়কে প্রতীক হিসেবে তুলে আনা হয়েছে এ ভাস্কর্যে।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আঁকাবাঁকা দীর্ঘ পথের দু’পাশে ছড়ানো রয়েছে ঘন সবুজ চায়ের বাগান। পাহাড়ের সমারোহও রয়েছে এর আশপাশজুড়ে। এমন মনোমুগ্ধকর পরিবেশে এক কোণে নীরবে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে রয়েছে ‘চা-কন্যা’। প্রতিদিন শত শত দেশি-বিদেশি পর্যটকরা একপলক দৃষ্টি ফেরান এই ভাস্কর্যের দিকে। চা-শিল্পাঞ্চলের দেড় শতাধিক বছরের প্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে আছে এই ভাস্কর্যটি।

চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলের প্রবেশদ্বারে স্থাপিত এক নারী চা শ্রমিকের চা-পাতা উত্তোলনের দৃশ্য সম্বলিত ‘চায়ের দেশে স্বাগতম’ শিরোনামের এ ভাস্কর্যটি দেশি-বিদেশি প্রকৃতিপ্রেমীসহ সবার দৃষ্টি কেড়েছে।

মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবং সাতগাঁও চা বাগানের অর্থায়নে প্রায় দশ লাখ টাকা ব্যয়ে চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলের সাতগাঁও চা বাগানে নির্মাণ করা হয়েছে এ দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্যটি। দেশের চট্টগ্রাম শিল্পকলা অ্যাকাডেমির সিনিয়র আর্ট টিচার সঞ্জিত রায় এই ভাস্কর্যটির নকশা প্রস্তুত করেন।

এক নারী চা-কন্যা ও চা গাছের আদলে তৈরি করা হয়েছে এ ভাস্কর্যটি। নিজ হাতে এ ভাস্কর্যটি নির্মাণ করতে তার সময় লাগে ১ মাস ২০ দিন। এ ভাস্কর্যটি নির্মাণ করতে ইট-সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। ইট-সিমেন্টের ঢালাই কেটে কেটে সযত্নে তৈরি করা হয়েছে এটিকে। এর উচ্চতা ২৪ ফিট এবং নিচের বেইজমেন্ট দৈর্ঘ্য ৮ ফিট এবং প্রস্থ ৮ ফিট।

দেশের সবচেয়ে বেশি চা বাগান রয়েছে শ্রীমঙ্গল উপজেলায়। প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক মানুষ ভীড় করেন এখানে। ভাস্কর্যটি এই পথের পথিকদের সৌন্দর্য্যরে আলাদা একটা অভিজ্ঞতা দেয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ