রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন
করাঙ্গীনিউজ: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ‘তূর্ণা নিশীথা’ ও ‘উদয়ন এক্সপ্রেস’ ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় হবিগঞ্জেরই ১০ জন মারা গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে নারীসহ দুজন শিশুও রয়েছে।
নিহতরা হলেন- হবিগঞ্জ শহরতলীর আনোয়ারপুরের আলী মো. ইউনুছ (৩০), বহুলা গ্রামের আলমগীর আলমের ছেলে ইয়াছিন আলম (১২), চুনারুঘাট উপজেলার উলুকান্দি পশ্চিম তালুকদার বাড়ির ফটিক মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া (২২), একই উপজেলার পীরের গাঁওয়ের আব্দুল হাসিমের ছেলে সুজন মিয়া (২৫) তার সম্পর্কে খালা কুলসুমা বেগম (৪৫), বানিয়াচং উপজেলার মর্দন মুরত গ্রামের ইউসুফ মিয়ার ছেলে আল আমিন মিয়া (৩৪) ও একই উপজেলার টাম্বলী টুলা গ্রামের সোহেল মিয়ার মেয়ে শিশু আদিবা আক্তার সোহা (৪), একই উপজেলার ছোয়া মনি (৫), চুনারুঘাট উপজেলার আহম্মাদাবাদ ইউনিয়নের আব্দুস ছালামের স্ত্রী পেয়ারা বেগম (৬২), নবীগঞ্জ উপজেলার বনগাঁও গ্রামের হারুন মিয়ার পুত্র নজরুল ইসলাম (২৬) । তারা সবাই উদয়ন ট্রেনের যাত্রী ছিলেন।
এদিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পেয়ারা বেগমের বাড়ি চুনারুঘাটের কোন গ্রামে খুজে পাওয়া যায়নি।এদিকে সকালে নিহতের বাড়িতে খোজ নিয়ে ও ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এ তথ্যগুলি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বানিয়াচংয়ের নিহত আল-আমিনের চাচাতো ভাই ফুল মিয়া জানান, চাচা মনু মিয়া ও ভাই শামীমকে সঙ্গে নিয়ে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে চট্টগ্রাম যাচ্ছিলেন আল-আমিন। পথে ট্রেন দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান আল-আমিন। বাকি দুইজনকে আহত অবস্থায় হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চুনারুঘাটের নিহত রুবেলের চাচাতো ভাই ফুল মিয়া বলেন, স্থানীয় শানখলা মাদ্রাসার দাখিল পড়ুয়া ছাত্র ছিলেন রুবেল। ৫ বন্ধু মিলে কক্সবাজার বেড়াতে যাচ্ছিলেন। পথে দুর্ঘটনায় লাশ হয়ে ফিরতে হলে তাকে।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত নিহত সবার নাম অফিসিয়ালি শনাক্ত করা হয়নি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ১৫ হাজার টাকা করে সহায়তা করা হবে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) রাত ৩টার দিকে উপজেলার মন্দবাগ এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা অভিমুখী ‘তূর্ণা নিশীথা’র সঙ্গে সিলেট থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে যাত্রা করা ‘উদয়ন এক্সপ্রেস’ ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১৬ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে শতাধিক।