শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ০৮:২৯ অপরাহ্ন
বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটেছিলো দিন দুপুরে। এরপর পেরিয়ে গেছে এক মাস। কিন্তু এক মাসেও সংঘটিত এই হত্যাকান্ডের কোনো ক্লু উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।
ফলে হবিগঞ্জের বাহুবলে জামায়াত নেত্রী ও শিক্ষিকা মিনারা আক্তারের হত্যা রহস্য এখনো থেকে গেছে অনুদঘাটিত।
অবশেষে এক মাসের মাথায় মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্তর করে পুলিশ।
গত ২১ ফেব্রুয়ারী দুপুরের পর যে কোন এক সময় নিজ বাসা বাহুবল উপজেলার মিরপুরই উনিয়নের পশ্চিমজয়পুর গ্রামের নিজ বাসায় শ্বাসরোধ করে হত্যার পর পেঠে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
ঘটনার দুইদিন পর অজ্ঞাত নামা কয়েক ব্যক্তির নামে বাহুবল মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন নিহতের স্বামী বাহুবল উপজেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারী ও উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুল আহাদ।
সাত মাসের শিশু সন্তানের সামনেই হত্যা করা হয় তার মাকে। সাত মাসের সন্তানসহ দুই সন্তানকে নিয়ে পড়েছেন বিপাকে।
এই মামলার দায়িত্ব পান বাহুবল মডেল থানার সাব ইন্সপেক্টর মঞ্জুরুল ইসলাম। প্রায় এক মাস তদন্ত করে কোন কিছু উদঘাটন করতে না পেরে মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়।
এক মাসেও কোন ক্লু উদঘাটন না হওয়ায় এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। আতংকে দিনকাটছে নিহতের স্বামীর। অবুঝ সন্তানআছে নানার বাড়ীতে। মামী লালন পালনকরছে শিশুটিকে।
তার হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে কয়েক দফে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে ছাত্র জনতা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ।
বাহুবল মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা চেষ্ঠা করেছি, এখনো করছি তবে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে দ্রুত আসামী সনাক্ত করতে পিবিআইয়ের কাছে মামলাটি হস্তান্তর করা হয়েছে।
পিবিআই হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার হায়াতুন্নবীবলেন, গতকাল মঙ্গলবার মাত্রমামলাটি পেয়েছি, আমাদের টিম মাঠে কাজ শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, গত ২১ ফেব্রুয়ারী বিকেলের যে কোন এক সময় মিনারা আক্তারকে শ্বাসরোধ করে পরে পেঠে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। স্বামী ওই দিন মিরপুর বাজারে মাগরিবের নামাজ আদায় করে বাড়িতে গিয়ে দেখেন এ অবস্থা। পরে শিশু সন্তানকে খাটের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার দুইদিন পর অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী করে বাহুবল মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।