শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ১২:৪৫ অপরাহ্ন
দেলোয়ার ফারুক তালুকদার শাহজাহান: নির্বাচন একটি প্রক্রিয়া এ প্রক্রিয়ায় জনগণের ভোটের মাধ্যমেকে দেশ পরিচালনা করবে কোন সংস্থা পরিচালনা করবে সে বিষয়ে নির্ধারণের জন্য ভোট প্রক্রিয়ার নাম নির্বাচন। নিঃসন্দেহে ভোটের গ্রহণ একটি আইনানুগ ও নিরপেক্ষ পদ্ধতিতে হওয়া উচিত। কিন্তু কোন মানুষের পক্ষে নিরপেক্ষ হওয়া কঠিন। তাহলে নিরপেক্ষ নির্বাচন বলতে আমরা কি বুঝাইলাম?
বিষয়টা সহজ একটি নির্দিষ্ট আইন যা সবাই চলবে এবং দেশ ও জনগণের কল্যাণে রচিত হবে এবং দিতে নির্বাচন ও পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা হবে। আর সেটা যদি ন্যায় ভিত্তিক হয় অথবা রচিত আইন ভিত্তিক হয় তবে সেটা নিশ্চিত একটা সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য হবে। হুঙ্কার একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের সব রাজনৈতিক দলের মোটামুটি এই এই আবদার। তবে সেটা আবদারের পর্যায়ে নেই সেটা হুন্কারে চলে গেছে।
একটা বিষয় নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে যতগুলা নির্বাচন সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে তারপর যারা নির্বাচিত হয়েছে এবং তাদের নির্দিষ্ট সময়ের পর তারা কিন্তু ক্ষমতা ছাড়তে চায়নি। তারা কোন না কোন ভাবে যে দেখে ক্ষমতায় রাখতে চেষ্টা করেছে। তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচনের ফল কি দাঁড়ালো? আর তার জন্যই দরকার সংস্কার।
রাজনৈতিক দলগুলো দেশের সেবা করতে চায় জনগণের সেবা করতে চায়, সাথে নিজেদের সেবা করতে চায় কিন্তু তারা কোন ধরনের আইন তাদের বিপক্ষে যাক সেটা তারা মানতে রাজি হয় না বা কোন বিরোধী মতামত বা ভাল মতামত দিলেও তারা সেটা মানতে চায় না। তোমার তো রাজনৈতিক নেতারা তাদের কোথায় আবু আইন কে ভালো মনে করে আর সেই কারণে হলো বিপত্তি।
তাই আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের উচিত সংষ্কার কাজে অংশ নেওয়া এবং কি কি সংস্কার করলে তারা নিজেরা ভালো থাকবেন। আইন ভাঙবেন না এবং নিজেদের ক্ষতি করবেন না।তারা কি কি সংস্কার করা উচিত তারা তা জাতির সামনে প্রকাশ করুক, নিজেরা কি কি সংস্কার করেছে সেটা প্রকাশ করুক।
যেহেতুু তারা সেবা করতে চায় সেহেতু আইনের ভিত্তিতে সমতার ভিত্তিতে সংস্কার করোক তারপর সেবা করুক এবং নিজেরা ভালো থাকুক। একটা বিষয় বুঝতে হবে সবাই দেশের সেবা করতে আসলে কি তাই?
তাই হুংকার না দিয়ে নিজেদের অতীত চিন্তা করে এবং দেখে ভবিষ্যতে কিভাবে চলবেন এ ধরনের সংস্কার করেছেন এবং করবেন তা জাতিসংঘ প্রকাশ করুন এবং সহযোগিতা করুন এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়াজাত এবং নির্বাচনের পরে ক্ষমতায় আসীন হয়ে নিজেরা রূপ বদলাবেন এই বিষয়ে শপথ দিন এবং আইনের বত্যয় ঘটাবেন না সে বিষয়ে নিশ্চয়তা দিন এবং তার জন্য যে ধরণের ক্ষতিপূরণ আইনে আছে তা দিতে বাধ্য থাকবেন। আর তা না হলে নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হয়ে কি লাভ?
রাজনীতি এটা অনেক বড় বিষয়। রাজনীতির মুখ্য বিষয় দেশ ও জাতির কল্যাণ। আর যারা এ কাজ করেন তারা সেবা করবেন বলেই প্রচার করেন।
কিন্তু সে সেবার জন্য যে ধরনের রাজনীতি বা নীতি থাকা দরকার তা কি বর্তমানে আছে যদি না থাকে তবে কেন এ ধরনের রাজনীতি আর কেনই বা লোকদেরকে বোকা বানানো। তাই দয়া করে নিজেরা এখন নিজেদের মঙ্গল করুক এবং দেশ ও জাতীর ভাল করুন। প্রথমে নিজেদের তারপর দেশের। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়েত দান করুন এবং দেশ ও জাতির অনলাইনে কাজ করার তৌফিক দিন। আর নিজেরা আইন মানার নিয়ম নীতি মানার আর তৌফিক আল্লাহ আমাদেরকে দান করুন।
লেখক: সাংবাদিক ও আইনজীবী