শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ০৯:১৯ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি: হবিগঞ্জরে বাহুবল উপজেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপিট মিরপুর আলিফ সোবহান চৌধুরী সরকারি কলেজে ‘শুদ্ধি অভিযান’ শুরু করেছেন বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়েশা হক। শুদ্ধি অভিযানের ফলে শিক্ষকদের দলাদলি ও কোন্দল এবং শিক্ষক রাজনীতি বন্ধ হচ্ছে। লাগাম টেনে ধরা হচ্ছে ছাত্র রাজনীতির। এছাড়া নির্বাচনী পরীক্ষায় সববিষয়ে উত্তীর্ণ না হলে এইচএসসি পরীক্ষাও দিতে পারবে না সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী। পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হলে সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষকদেরকে জবাবদিহি করতে হবে। উল্লেখ্য,কলেজটি সরকারি হওয়ার পর পরিচালনা পরিষদ ভেঙ্গে দিয়ে ইউএনওকে দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।
কলেজের নানা অরাজকতা নিয়ে সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) করাঙ্গীনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সংবাদ প্রকাশের পর প্রশাসনের টনক নড়ে।
ওই সংবাদে বলা হয়েছিল, কলেজে সিনিয়রদের সঙ্গে জুনিয়র শিক্ষকদের নোংরামির কারণে শিক্ষার পরিবেশসহ পড়াশুনা ‘লাটে’ উঠছে। অনার্সের ২৫ জন শিক্ষকের ‘অসভ্যতার’ কারণে কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ সিনিয়র শিক্ষকরা রীতিমত দিশেহারা। গত ১৫দিন ধরে কলেজের পাঠদান কার্যক্রমই বন্ধ ছিল। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১২ জন জুনিয়র শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছিল। অবশ্য সোমবার থেকে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
কলেজের সার্বিক বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়েশা হক বলেন, কলেজে শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে। সমস্যা নিরসনে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) থেকে কলেজের বিভাগওয়ারী বৈঠক শুরু হয়েছে। এসব বৈঠকে বিভাগের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধান করা হবে। সবমিলিয়ে পড়াশুনায় জোর দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- শিক্ষক ও ছাত্র রাজনীতি থাকবে না। তবে দেশ ও শিক্ষার স্বার্থে কোনো আন্দোলনের দরকার হলে সেটি করা যাবে। খুব তাড়াতাড়ি কলেজের সব শিক্ষার্থীদেরকে পরিচয়পত্র দেয়া হবে। ওই পরিচয়পত্র গলায় ঝুলিয়ে শিক্ষার্থীদের কলেজে আসতে হবে। সকাল ১০টার পরে কোনো শিক্ষার্থী কলেজে ঢুকতে পারবে না। পৌনে ১০টার মধ্যে কলেজে ঢুকে প্রাত্যাহিক সমাবেশে যোগ দিতে হবে শিক্ষার্থীদের। এখন থেকে নির্বাচনী পরীক্ষায় সববিষয়ে পাস করলেই কেবল এইচএসসি পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পাবে শিক্ষার্থীরা। নির্বাচনী পরীক্ষায় একবিষয়ে ফেল করলেও সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষা দিতে পারবে না। শিক্ষকদের মধ্যে যে কোন্দল ও দলাদলি রয়েছে তা আগামী কিছুদিনের মধ্যেই সমাধান করা হবে। তবুও যদি কোনো শিক্ষক পরিস্থিতি ঘোলাটে করেন করেন তবে সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়া হবে। ডিজিটাল হাজিরার আওতায় হচ্ছে শিক্ষকদের।
আলিফ সোবহান চৌধুরী সরকারি কলেজের ময়নাতদন্ত: ১২ জনকে শোক: পড়াশুনা ‘লাটে’ আগের নিউজটি পড়তে ক্লিক করুন-https://www.koranginews24.com/news/6927