শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ১১:৩২ অপরাহ্ন
ইসলাম ডেস্ক:
প্রতিটি মানুষের আচার-ব্যবহারের মাধ্যমে প্রকৃত মনুষ্যত্ববোধের পরিচয় ফুটে ওঠে। তাই মানবজীবনে সুন্দর ব্যবহারের গুরুত্ব অপরিসীম। সেজন্য সবার সঙ্গে সদ্ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে কোরআন। এ প্রসঙ্গে কোরআনে আল্লাহ ঘোষণা করেছেন, ‘তোমরা মানুষের সঙ্গে উত্তম ও সুন্দর কথা বল।
’ সুরা বাকারা, আয়াত ৮৩।
একে অন্যের সঙ্গে সাক্ষাতের সময়ও সুন্দর আচরণ করতে হবে। অসৌজন্যমূলক কথাবার্তা ও আচরণ করা যাবে না। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন, ‘কেউ যখন তোমাকে সৌজন্যমূলক সম্ভাষণ জানাবে প্রতি-উত্তরে তুমি তাকে তার চেয়ে সুন্দর ধরনের সম্ভাষণ জানাও, কিংবা অন্তত ততটুকুই জানাও।
’ সুরা নিসা, আয়াত ৮৬।
বিশেষ করে ফ্যামিলি মেম্বারদের সঙ্গে সুন্দর ব্যবহারের গুরুত্ব বোঝাতে কোরআনে আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজন, এতিম, অভাবগ্রস্ত, নিকটতম প্রতিবেশী, দূরবর্তী প্রতিবেশী, সঙ্গী, পথচারী এবং তোমাদের অধিকারভুক্ত দাস-দাসীদের প্রতি সদ্ব্যবহার করবে। ’ সুরা নিসা, আয়াত ৩৬।
সুন্দর আচরণের শিক্ষা নবী দিয়ে গেছেন আমাদের।
তিনি মানুষের সঙ্গে সুন্দর আচরণ করতেন। এ প্রসঙ্গে কোরআনে অনেক আয়াত এসেছে। আল্লাহ নবীকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আল্লাহর রহমতেই আপনি তাদের জন্য কোমল হৃদয় হয়েছেন, পক্ষান্তরে আপনি যদি রূঢ় ও কঠিন হৃদয় হতেন তাহলে তারা আপনার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত। কাজেই আপনি তাদের ক্ষমা করে দিন এবং তাদের জন্য মাগফিরাত কামনা করুন। ’ সুরা আলে ইমরান, আয়াত ১৫৯।
কোমল আচরণের শিক্ষা আল্লাহ সর্বপ্রথম নবীকে দিয়েছেন। তাঁর থেকে পর্যায়ক্রমে আমাদের পর্যন্ত এ শিক্ষা চলে আসছে। এ প্রসঙ্গে কোরআনে এসেছে, ‘মুমিনদের জন্য আপনি আপনার ডানা অবনমিত করুন। ’ অর্থাৎ কোমল আচরণ করুন। সুরা হিজর, আয়াত ৮৮।
আমাদের নবী সব সময় মানুষের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলতেন। কাউকে বুঝতে হলে সর্বোত্তম পন্থায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করতেন। এ প্রসঙ্গে কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তুমি মানুষকে তোমার প্রতিপালকের পথে আহ্বান কর হিকমত (প্রজ্ঞা) ও সদুপদেশ দ্বারা এবং তাদের সঙ্গে আলোচনা কর সদ্ভাবে। ’ সুরা নাহল, আয়াত ১২৫।
সুন্দর আচার-ব্যবহার শিখতে হলে আমাদের রসুল (সা.)-এর জীবনী থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। কারণ তিনি হলেন মুমিনের আদর্শের প্রতীক। কোরআনে আল্লাহ রসুলকে উদ্দেশ করে বলেন, অ‘র নিশ্চয়ই আপনি সুন্দর চরিত্রের অধিকারী। ’ সুরা কলাম, আয়াত ৪।
অন্য আয়াতে আরও এসেছে, ‘হে মানুষ! তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও পরকালকে ভয় করে (মুত্তাকি মুসলমান) এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে (মুমিন মুসলমান) তাদের জন্য রসুলুল্লাহর (সর্বোত্তম চরিত্র) মধ্যে রয়েছে তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ। ’ সুরা আহজাব, আয়াত ২১।