শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ০২:৫৪ অপরাহ্ন
করাঙ্গীনিউজ: রাত ৮ টায় দোকান বন্ধ করে, এশার নামাজ পড়ে খেয়ে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়বেন নিশ্চয়ই। তাড়াতাড়ি ঘুমানো শরীরের জন্য ভালো। আর তাড়াতাড়ি ঘুমালে নবী মোহাম্মদ (সাঃ) এর সুন্নাতও মানা হল।এতে নিশ্চয়ই সওয়াব পাওয়া যাবে।
তারপর গভীর রাতে উঠে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে আল্লাহর নৈকট্য প্রাপ্তদের সুযোগ সৃষ্টি হল। তাহাজ্জুদ নামাজের মাধ্যমে আপনার চাওয়া পাওয়া আল্লাহর কাছে একান্ত ভাবে বলতে পারেন। আর এ সময় আল্লাহ একদম নিম্নতম আকাশে এসে মানুষকে আহবান করেন কার কি দরকার বল, আমি দিব। আর এটা একটা সুযোগ আমাদের ব্যবসায়ী ভাইদের জন্য।এতে বিদ্যুৎ যাওয়াতে ব্যবসায়ীদের সুবিধা হল। তারপর ফজর নামাজ পড়ে বরকতময় সকালে চাশত নামাজ পড়ে কাজ শুরু করে দিলেন।চাশত নামাজ রিজিকের সহায়ক আর জ্ঞান বৃদ্ধির সহায়ক। চাশত নামাজ পড়লে ৩৬০ জোড়ার সদকা আদায় হল এতে কেয়ামতের দিন লাভ হবে নিশ্চিত। আর বরকতময় সকালে কাজ শুরু করলে সুন্নাতও মানা হল আর কাজে বরকতও পাবেন ইনশাআল্লাহ। আর আপনারা নিশ্চয়ই জানেন আমাদের নবী মোহাম্মদ (সাঃ) সকালে তার উম্মতের জন্য বরকতের দোয়া করেছেন। তাই আমরা এগুলো মেনে চলি আর দেশ ও জাতির উন্নতির জন্য দোয়া করি। আর সুদ,ঘুষ, দূর্নীতি, মিথ্যা আর অপব্যবহার ছেড়ে দেই। অবশ্যই ওজনে কমবেশি, ভেজাল করা থেকে বিরত থাকতে হবে। খাবার হালাল, পরনের কাপড় হালাল টাকার হতে হবে। আল্লাহর কসম যদি একাজগুলো করতে পারেন নিশ্চিত নিজের জীবনে বরকত নেমে আসবে।
লেখক: মোহাম্মদ দেলোয়ার ফারুক তালুকদার
এডভোকেট, জজ কোর্ট, হবিগঞ্জ ও
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।
adalour@gmail.com