শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ০৮:৩২ অপরাহ্ন
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়াশুনার মান দিন দিন নি¤œগামী হচ্ছে। ২০১৬, ২০১৭, ২০১৮ তিন বছরে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কোন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ এবং ট্যান্টেপুলে বৃত্তি পাই নি।
ওই বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক দীর্ঘদিন যাবত একই কর্মস্থলে থাকায় পরিচালনা কমিটির সঙ্গে তাদের সু সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তাই বিদ্যালয়ের পড়াশুনার মান নি¤œগামী হলেও এ নিয়ে পরিচালনা কমিটির কোন মাথাব্যাথা নেই।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হালিমা খানম ২০১৫ সালের ২২ ফ্রেরুয়ারী এই বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। সহকারী শিক্ষিকা জ্যোতি রানি সরকার ২০০৪ সালের জানুয়ারী মাসের ৩ তারিখ যোগদান করেন। সহকারী শিক্ষিকা সাবিত্রি রানি রায় ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ২৯ তারিখ যোগদান করেন।
বিদ্যালয়ের একজন আইসিটি শিক্ষক ও আইসিটি সরঞ্জাম থাকলেও একদিনও শিক্ষার্থীদের আইসিটি ক্লাস দেওয়া হয়নি। সহকারী শিক্ষিকা আমিনা রহমান আইসিটি শিক্ষক হিসাবে ২০১৬ সালের ফ্রেরুয়ারী মাসের ২৩ তারিখ যোগদান করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালা কমিটির সভাপতি মজিবুর রহমান (আবু মিয়া)র মেয়ে মাধবপুর পৌর সদরের ফুলকলি পৌর কিন্ডার গার্টেনে পড়াশুনা করেন। সচেতন লোকজন জানান, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বাচ্চা যখন কিন্ডার গার্টেনে পড়াশুনা করেন তখন সহজে বুজা যায় বিদ্যালয়ের পড়াশুনার মান কোন পর্যায়ে। স্কুল শিক্ষার মান উন্নত পর্যায়ে না হওয়ায় ওই গ্রামের প্রায় ২০/৩০ জন শিক্ষার্থী কে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে মাধবপর উপজেলা সদরের বিভিন্ন কিন্ডার গার্টেনে পড়াশুনা করানো হয়।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হালিমা খানমের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি গ্রামের ইউপি সদস্য। তিনি পদাধিকার বলে স্কুলের সদস্য হয়ে সভাপতি হয়েছেন। তবে উনার বাচ্চা ফুলকলি পৌর কিন্ডারগার্টেনে পড়ে।
মাধবপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দ্বিজেন্দ্র চন্দ্র আচার্য জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিল না।