রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ০২:১৪ পূর্বাহ্ন
করাঙ্গীনিউজ:
কবি ও উদ্যােক্তা আইভী মামুন এর নতুন কাব্যগ্রন্থ “মেঘবালিকা”। বইটিতে কবি প্রেম, দ্রোহ ও সমসাময়িক বিষয় নান্দনিকভাবে তোলে ধরেছেন। বইটির দৃষ্টিনন্দন প্রচ্ছদ এঁকেছেন কথাসাহিত্যিক আখতার উজ্জামান সুমন। বইটি শব্দকথা প্রকাশনা সংস্থা থেকে প্রকাশিত হয়েছে।বইটি ২৫% ছাড়ে বিক্রির দায়িত্ব নিয়েছে দেশের বেশকিছু অনলাইন বুকশপ।
কবি আইভী মামুন এর পৈতৃক নিবাস কুমিল্লায়। জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকায়। কবি’র বাবা- সৈয়দ ফরহাদ হোসেন একজন সরকারি কর্মকর্তা ও
মাতা- হাসিনা ফরহাদ আদর্শ শিক্ষক ও লেখিকা। কবি বর্তমানে সংসারসঙ্গী অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মামুন আর রশিদ’কে নিয়ে স্থায়ীভাবে ঢাকা শহরের মিরপুর ডিওএইচএসে বসবাস করছেন।
অলীক স্বপ্নে বিভোর বৃত্তবন্দী জীবনের পূর্ণতা নিয়ে সুখী হতে চাননি। জাগতিক সুখ দুঃখ নিংড়ে পূর্ণতার স্বাদ আস্বাদনে তৃপ্তির স্নান করেছেন। অভিজ্ঞতা জীবনের শাখা-প্রশাখা গুলোকে সমৃদ্ধ করে। নাগরিক জীবনের কোলাহল, গহীন অরণ্যের মায়াময় নিস্তব্ধতার হাতছানি আর অনুসন্ধিৎসু মন ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও সুন্দরের সংমিশ্রণে মনের ভাবের আবেগকে প্রকাশ করার প্রয়াসে দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ মেঘবালিকা’র আত্মপ্রকাশ করছেন কবি। তাইতো সবকিছুর মিলনে মেঘবালিকা এক পূর্ণাঙ্গ অভিজ্ঞতার ফসল স্বরূপ লেখকের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ।
কবি’র মমতাময়ী মাতা হাসিনা ফরহাদ জোছনা স্বনামধন্য একজন লেখিকা। তাঁর অনুপ্রেরণায় প্রথম লিখতে শুরু করেন কবি আইভী মামুন। নিজের চারপাশে ঘিরে থাকা অজস্র চরিত্র ও ঘটনার মিশ্রণে ক্ষুদ্র জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে মনের ভাষায় রূপ দিলেন। এটি যদি পাঠক হৃদয়ে স্থান করে নিতে পারে, তবেই তার সার্থকতা।
শিক্ষকতা দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও দীর্ঘ বিরতির পর কবি বর্তমানে নিজেকে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন।
সংসারসঙ্গী লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মামুন আর রশিদ সবসময় কবিকে সাহিত্য চর্চায় উৎসাহ দিয়ে থাকেন। দুই কন্যা সন্তান নিয়ে ছোট্ট সাজানো সংসার তাঁর। সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে মানবতার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করছেন কবি। পাঠকের হৃদয় কোণে জমে থাকুক কবির দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ “মেঘবালিকা”।
বই নিয়ে আলাপচারিতায় কবি আইভী মামুন বলেন, সুখ কতটুকু সুখী করতে পারে? কিন্তু দুঃখ হীরের মতো স্বচ্ছ আর সোনার মতো খাঁটি করে। সুখের পিছনে ছুটে চলা জীবনে মানব মনের অপরিসীম চাওয়া পাওয়ার শেষ নেই বলেই ব্যর্থতা আর হতাশার দীর্ঘশ্বাস পিছু ছাড়ে না মানুষের। প্রেমের গল্প, বিপ্লবী স্লোগান, ভালোবাসার আকুতি, প্রাপ্তির তৃপ্তি, অসীমকে ছোঁয়ার দুর্নিবার আকর্ষণ, সামান্যকে অসামান্য করে তোলার উদারতা সবকিছুকে উপজীব্য করে গড়ে তুলেছেন নিজস্ব লিখনীর ধারা। তার সৃষ্টি সমাদৃত হোক এটি লক্ষ্য নয়। আবেগ অনুভূতিকে সাদামাটা কথায় ব্যক্ত করেছেন। লেখাকে কোন সূত্র, গতি বা ধারাবাহিকতায় না ফেলে অগণিত চরিত্র ঘিরে রাখা জীবনগুলোর কথকতা তার লেখায় উঠে এসেছে। কখনো চেয়েছেন অধরা স্বপ্নকে হাতের মুঠোয় আনতে, আবার কখনো চেয়েছেন দুঃস্বপ্নের বেড়াজাল ভেঙে বন্দিত্বকে মুক্তি দিতে।
সেই সাথে অযুত স্বপ্নে মানুষ কল্পনায় যে বসত গড়ে তাতে রং রূপ গন্ধ ঢেলে প্রেমাসক্ত হৃদয়কে প্রেমীও করেছেন। লেখকদের কলম সে চেষ্টায় সর্বদা অব্যাহত থাকবে।