করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

নাসিরনগরে স্বাক্ষী থেকে আসামী আলমগীর মেম্বার

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: মঙ্গলবার, ১৫ জুন, ২০২১

আকতার হোসেন ভুঁইয়া, নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার বুড়িশ্বর গ্রামের রহমত আলী (৪৫) হত্যার অভিযোগের তীর এখন মামলার স্বাক্ষী ও সাবেক ইউপি সদস্য আলমগীর চৌধুরীর (৫০) দিকে।

তার সংশ্লিষ্টতা বুঝতে পেরে নিহতের পরিবার গত ৯ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জজ আদালতে স্বাক্ষী আলমগীর চৌধুরীসহ দুইজনকে আসামী হিসেবে অন্তভূক্ত করার জন্য নিহতের ভাই মহব্বত আলী আবেদন করে।

বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত আলমগীর চৌধুরী ও আমরুল চৌধুরীকে মামলায় শ্রেণীভূক্ত করার বিষয়টি আমলে নেন ।

বাদী ও গ্রামবাসী বলছেন এ হত্যাকান্ডের মূলহোতাই আলমগীর। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই আলমগীর নিজের সহকারিকে কৌশলে হত্যা করেছেন। মামলায় আসামী করার পরামর্শের তালিকাও আলমগীর নিজ হাতে তৈরী করে দিয়েছেন ।

মামলার খসড়া তৈরী করে নিজেই ৮ নম্বর স্বাক্ষী হয়েছেন । বাদী মহব্বত আলী জানায় মামলার বিষয় বস্তু আমি পড়িনি। আমি শুধু স্বাক্ষরকরেছি। আলমগীরের কূটকৌশলেই নিহতের ছোট ভাই লিয়াকত দুই ধরণের বক্তব্য দিয়েছেন। ২৪ মে
গ্রাসবাসী আলমগীরকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় জেলা সদর হাসপাতাল থেকে তিনি পালিয়ে যায়।

স্থানীয়রা ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানায় আলমগীর পেশায় জায়গা জমি পরিমাপ করা (আমীনতি)। আর তার সহকারি হিসেবে রহমত আলী দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন । আলমগীরের সাথে প্রতিবেশী ও স্বজনদের দীর্ঘদিন ধরে জায়গা
সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। একাধিক মামলা মোকদ্দমাও রয়েছে । পক্ষদ্বয় একে অপরকে ঘায়েলের খেলায় মত্ত। গত ২০ মে রাতে বুড়িশ্বর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আলমগীর চৌধুরীর বাড়ির পুকুর পাড় থেকে জবাই করা অবস্থায় ৩ সন্তানের জনক রহমত আলীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

২১ মে লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়। মামলার খসড়া থেকে শুরু করে সব কিছইু করেন আলমগীর। নিজের হাতে তার প্রতিপক্ষ ১৫ জনের নামের একটি তালিকাও করেন। তারা প্রায় সবাই-
ই তার নিকটাত্মীয় ও প্রতিবেশি। তাদের সাথে আলমগীরের রয়েছে পারিবারিক বিরোধ। ওই তালিকায় ৭ জনকে যুক্ত করে মোট ২২ জনের বিরুদ্ধে নিহতের ছোট ভাই মহব্বত আলী বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। মামলায় বলা হয়েছে রহমত আলী আলমগীরের চাচাত ভাগিনা। আলী আজম চৌধুরীর সাথে আলমগীরের বিরোধ দীর্ঘদিনের। আসামীরা আলমগীরকে প্রাণে মারার সুযোগ খুঁজছিল। রহমত আলী এমন অন্যায় কাজে আসামীদের বাঁধা দিয়েছিল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা রহমতকে হত্যা করে। ২১ মে ৫ নম্বর আসামী রকিব চৌধুরী গ্রেপ্তার হয়। এরপর বের হতে থাকে হত্যাকান্ডের বিভিন্ন রহস্য।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (বিশেষ শাখা)সুভন কুমার সাহা জানান, রহমত আলী হত্যা মামলাটি তদন্ত চলছে। প্রযুক্তির মাধ্যমে মূলহোতাকে ধরতে পারলেই হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটন হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ