শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ১১:৫১ অপরাহ্ন
পিন্টু দেবনাথ, মৌলভীবাজার: বাংলাদেশের চায়ের রাজধানী মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলকে বলা হয়ে থাকে। কারণ সবচেয়ে বেশি চা বাগান শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত। তাই সবুজ অরণ্য ঘেরা মায়াবী প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি শ্রীমঙ্গল। যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই শুধু সৌন্দর্যের হাতছানি। বর্তমানে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে এর নাম উঠে এসেছে। ছোটবড় মিলিয়ে নাম না জানা অনেক পর্যটন স্থান রয়েছে এখানে। প্রায় প্রতিদিনই শ্রীমঙ্গলের পর্যটন স্থানগুলোতে হাজারও দেশী-বিদেশী পর্যটকদের মিলনমেলা দেখা যায়।
শ্রীমঙ্গলের একটি বিশেষ পর্যটন স্থান হলো ভাড়াউড়া চা বাগানের শংকর টিলা লেক। লেকটি শ্রীমঙ্গল শহর থেকে প্রায় ছয়-সাত কিলোমিটার দূরে ভাড়াউড়া চা বাগানে অবস্থিত। সবুজে ঘেড়া চারপাশে চা বাগান আর মাঝখানে এই বিশাল লেক। ইতোমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ওঠে আসছে লেকটির সৌন্দর্যের কথা। স্থানীয় লোকজনসহ অনেক পর্যটকরা এখন এই লেকটিতে বেড়াতে আসেন প্রতিনিয়ত। ঘন সবুজের বুকে অবস্থিত এই লেক। লেকের দুধারে যতদূর চোখ যায় দেখা যায় শুধু চা বাগান। ভৌগোলিক অবস্থান অনুসারে, লেকের দক্ষিণ-পূর্বে পাঁচ তারকা মানের হোটেল গ্যান্ড সুলতানের সীমানা, পশ্চিমে মূল ভাড়াউড়া চা বাগান, উত্তরে রেললাইন ও পূর্বে কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান। লেকের একেবারে টিলার মাথায় বামে সনাতন ধর্মালম্বীদের পরমেশ্বর শিব এর মন্দির। এরই নামানুসারে একে ‘শংকর টিলা’ও বলা হয়ে থাকে।
টিলার চূড়ায় দাঁড়িয়ে প্রায় দুই একরের হ্রদ পুরোটা দেখা যায় না। সামান্য কষ্ট করে শেষ পর্যন্ত গেলে বাড়তি পাওনা হিসেবে মিলবে আরও খানিকটা মিঠে পানির অভিনন্দন। চারদিকে চা পাতার অবাধ্য ইশারা। পানিতে বাতাসের দোলায় ঝিরিঝিরি কারুময় ঢেউ। সব মিলিয়ে এই লেকটি (হ্রদ) হয়ে উঠছে অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন স্থান।
বেড়াতে আসা সবুজবাগ ম্যারাথন গ্রুপের মৃনাল কান্তি দাশ, ননী গোপাল চৌধুরী, কিশোর কর মান্না, সুমন দাশ, পুলক বর্ধন, রাজ দীপ রায়, বিকাশ সাহা, কৃষ্ণ দাশ বলেন, আসলেই সৌন্দর্যের ভান্ডার নিয়ে যেন দাঁড়িয়ে আছে এই লেকটি। চারদিকে সবুজের সমারোহ সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে দ্বিগুণ। চমৎকার এই স্থানে না আসলে সৌন্দর্য্যে উপভোগ থেকে বঞ্চিত হওয়া যাবপ। সকল পর্যটকদের জন্য ভাল লাগার মতো একটি জায়গা এটি।
বৃহত্তর সিলেটের বেশ কিছু দর্শনীয় স্থানের সঙ্গে শ্রীমঙ্গলের মনোরম পরিবেশে নয়নাভিরাম সৌন্দর্য নিয়ে ভাড়াউড়া চা বাগানের শংকরটিলা লেক একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। চা বাগানের পাদদেশে অবস্থিত এই লেকটি দেশী-বিদেশী পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াচ্ছে। এখন এই পর্যটন স্থানটির ‘শ্রী’ বৃদ্ধিকরণে সরকারী নজরদারি বাড়ানো হলে দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি রাজস্ব আদায় দ্বিগুণ হবে। https://betsforcrypto.com
শংকরটিলায় শিব কে পুজা দিতে আসা একজন পুজারী বলেন, এই মন্দিরের সম্মুখে একটি নাট মণ্ডপ হলে পুজারীরা বা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আগমনে আরো আকর্ষনীয় হয়ে উঠবে। শংকর টিলার এই লেকটি মাধুর্য আরো বৃদ্ধি পাবে।
শরীর ও মনের সকল ক্লান্তি দূর করতে প্রকৃতির ছোঁয়া এবং প্রশান্তি পেতে ঘুরে যেতে পারেন শ্রীমঙ্গলের ভাড়াউড়া চা বাগানের শংকর টিলা লেক।