নিজস্ব প্রতিনিধি, হবিগঞ্জ: বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন- বিনাচ্যালেঞ্জে আওয়ামীলীগকে আর ছাড় দেয়া হবে না। দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটাধিকার ফিরে আনার আন্দোলনের অংশ হিসেবেই বিএনপি নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছে। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়েই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে। তারেক রহমানের সাজা প্রত্যাহার করা হবে। দেশে আবারও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হবে।

তিনি মঙ্গলবার রাতে শায়েস্তানগরস্থ বিএনপির কার্যালয়ে এক মতমিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় মেয়র জি কে গউছ আরও বলেন- বিএনপি বাংলাদেশের একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল। বিএনপি বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং নির্বাচনমুখি একটি রাজনৈতিক দল। কিন্তু আওয়ামীলীগ বার বার দেশের গণতন্ত্র হরণ করেছে। বাকশাল কায়েম করে দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করেছিল এই আওয়ামীলীগ। আর বিএনপি এ দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিল। ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামীলীগ আবারও মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে। আর বিএনপি দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষের ভোটাধিকার ফিরে আনতে আন্দোলন করে যাচ্ছে। এ জন্য মিথ্যা মামলায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে সাজা দেয়া হয়েছে। সরকারের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে বেগম খালেদা জিয়া আজ একটি পরিত্যক্ত কারাগারে রয়েছেন। আওয়ামীলীগ চায় বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপিকে নির্বাচনের বাহিরে রাখতে। কিন্তু আওয়ামীলীগকে আর সেই সুযোগ দিবে না বিএনপি। ব্যালটের মাধ্যমেই এই সরকারের পতন নিশ্চিত করা হবে।

জেলা বিএনপির সহ সভাপতি এডভোকেট শামছু মিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হাজী নুরুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সফিকুর রহমান ফারছু, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি এডভোকেট মঞ্জুর উদ্দিন আহমেদ শাহীন, এডভোকেট আফতাব উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক সরদার মোঃ আইয়ুব আলী পোদ্দার, জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ হাজী এনামুল হক, হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হাশিম, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী বেলাল, শায়েস্তাগঞ্জ পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মেয়র ফরিদ আহমেদ অলি, জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এস এম বজলুর রহমান, জেলা বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট এস এম আলী আজগর, লাখাই উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি হাবিবুল্লাহ বাহার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ তালুকদার আব্দাল, সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুর রহমান কাজল, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম সানু, হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম নানু, জেলা মৎস্যজীবি দলের সভাপতি এডভোকেট মুদ্দত আলী, সৈয়দ রিয়াজ, মোজাম্মেল হক লিটন, জেলা যুবদলের সভাপতি মিয়া মোঃ ইলিয়াছ, সাধারণ সম্পাদক জালাল আহমেদ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ মুশফিক আহমেদ, সফিকুর রহমান সিতু, আমিনুল ইসলাম বাবুল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এমদাদুল হক ইমরান, জেলা জাসাসের সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী, জেলা মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফাতেমা ইয়াসমিন, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রুবেল আহমেদ চৌধুরী, আজম উদ্দিন, শামছুদ্দিন আহমেদ, আসম আফজল আলী, এডভোকেট আফজাল হোসেন, জিল্লুর রহমান, হাবিবুর রহমান, মফিজুর রহমান বাচ্চু, নাজমুল হোসেন বাচ্চু, আব্দুল হক, মাহবুবুল হক হেলাল, হাজী মতিন, ডাঃ বকুল, সাইদুর রহমান কুটি, আব্দুল আউয়াল, সোহেল এ চৌধুরী, আব্দুল মোহাইমিন চৌধুরী ফুয়াদ, সৈয়দা লাভলী সুলতানা, মুজিবুর রহমান মুজিব, মর্তুজা আহমেদ রিপন, এডভোকেট মইনুল হক দুলাল, এডভোকেট মতিউর রহমান সানু, মতিউর রহমান, আব্দুল কাইয়ম, আব্দুল হাই, আব্বাস উদ্দিন, মর্তুজ সরদার, আবু লাল, হাজী সফিকুল ইসলাম, তুহিন খান, আলী হোসেন সোহাগ, আব্দুল মান্নান, সিরাজুল ইসলাম, আবুল কালাম, মশিউর রহমান কামাল, মুর্শেদ আলম সাজন, কামরুল হাসান রিপন, আশরাফুল আলম সবুজ, শেখ মামুন, তাজুল ইসলাম, কামরুল হাসান কাজল, আবু তাহের ওপু, গিয়াস উদ্দিন মেম্বার, মিজানুর রহমান সুমন, আইরিন আক্তার, সুরাইয়া আক্তার রাখি, সাইদুল ইসলাম, আল আমিন সোহাগ প্রমুখ।