করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

ভুল মানুষকে জীবনসঙ্গী করেছি

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২০

বিনোদন ডেস্ক: নিজের ও পরিবারের সম্মানের কথা ভেবে এতদিন চুপ ছিলাম। কিন্তু ধৈর্যের বাধ ভেঙে গেছে। একজন মেয়ে হিসেবে অনেক কিছু সহ্য করেছি। বিয়ের কয়েকদিন না যেতেই বারবার অর্থের দাবি করাসহ আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন শুরু করে হিশাম। তার পরও সংসারটা টিকিয়ে রাখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু দিনের পর দিন অত্যাচারে আমি অতিষ্ঠ। বাধ্য হয়েই এই মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

স্বামী হিশাম চিশতির বিরুদ্ধে করা যৌতুক ও শারীরিক নির্যাতনের মামলার প্রসঙ্গে কথাগুলো বলছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনায়িকা তমা মির্জা। তিনি বলেন, ‘অনেকে হয়তো মনে করবেন হিশাম একজন ব্যবসায়ী, সে কেন যৌতুকের জন্য চাপ দেবে। আসলে কিছু মানুষের মন মানসিকতা এতটাই নিচু যে কল্পনাও করা যায় না। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম সংসার করার জন্য। কিন্তু একজন ভুল মানুষকে জীবনসঙ্গী করেছি।’

চলতি মাসের ৫ ডিসেম্বর রাজধানীর বাড্ডা থানায় স্বামী হিশামকে প্রধান আসামি করে যৌতুক ও হত্যাচেষ্টার মামলা করেন তমা মির্জা। নারী ও শিশু নির্যাতন আইন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার এজাহারে যৌতুকের জন্য মারপিট করে জখম, ইলেকট্রনিক মাধ্যম ব্যবহার করে বেআইনি প্রবেশ, ছদ্মবেশ ধারণ করে ব্যক্তি ক্ষতিসাধনসহ ফেসবুক ও ম্যাসেঞ্জারে সম্মান হানিকর মন্তব্য পুশ করে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন, বিরক্ত, অপমান, মারপিট ও হুমকি প্রদানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার বিষয়ে জেনে হিশাম নাকি ইতোমধ্যে কানাডায় পাড়ি জমিয়েছেন।

তবে দেশ ছাড়ার আগে গত ৬ ডিসেম্বর বাড্ডা থানায় তমার নামে পাল্টা হত্যাচেষ্টার মামলা করেন স্বামী হিশাম। সেখানে তমাকে এক নম্বর আসামি করা হয়। এছাড়া আসামি করা হয়েছে নায়িকার বাবা-মা, ভাই এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও একজনকে।

তবে হিশামের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন তমা। তিনি বলেন, ‘যেখানে আমার পরিবারের উপর হামলা করেছে সেখানে কীভাবে এমন অভিযোগ করে? আমার মায়ের গায়ে হাত পর্যন্ত তুলেছে হিশাম। একপর্যায়ে নিজেদের রক্ষার জন্য উপায় না পেয়ে ৯৯৯ এ কল করি। পরে পুলিশ এসে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ দায়িত্ব নিয়ে উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে পারিবারিক ভাবে বিষয়টি সমাধান করতে চেয়েছিল। কিন্তু তার আগেই হিশাম পালিয়ে গেছে।’

২০০৯ সালে শাহীন সুমন পরিচালিত ‘মনে বড় কষ্ট’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় তমা মির্জার। এরপর অনন্ত হীরার ‘ও আমার দেশের মাটি’, শাহাদাত হোসেন লিটনের ‘তোমার কাছে ঋণী’ ছবিগুলোতে অভিনয় করেন। ২০১৫ সালে শাহনেওয়াজ কাকলী পরিচালিত ‘নদীজন’ সিনেমায় অভিনয়ের সুবাদে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জেতেন তমা। অভিনয়ের পাশাপাশি এই নায়িকাকে মাঝেমধ্যে টিভি অনুষ্ঠান উপস্থাপনায়ও দেখা যায়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ