সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ০৫:৩৩ অপরাহ্ন
করাঙ্গীনিউজ: হবিগঞ্জে বিউটিকে ধর্ষণের পর হত্যা, চট্টগ্রামে এক বছর দশ মাস বয়সী শিশু ধর্ষণের শিকার, নরসিংদীতে নববধূকে ধর্ষণ- এ খবরগুলো পত্রিকায় নিয়মিত সংবাদে পরিণত হয়েছে। এতে দেখা যায়, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতার দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়নি। বরং ভয়াবহতা ও নৃশংসতা ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে।
এ প্রসঙ্গে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সদস্য ড. হামিদা হোসেন বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে নারী-পুরুষের সম্পর্ক সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে। ফলে ছেলেমেয়ের সম্পর্ক সম্পর্কে তাদের মনে যে কৌতূহল রয়েছে, জানার আগ্রহ রয়েছে সে সম্পর্কে ধারণা পাবে। সমাজ থেকে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতার ঘটনাগুলো কমাতে ভূমিকা রাখবে। অনেক সময় দেখা যায়, নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালে দীর্ঘদিন বিচারক নেই। বিচারকের অনুপস্থিতির কারণে বিচার কার্যক্রম গতি হারায়। এ সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আদালতে আবেদন করা নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালে বিচারক নেই। এ আবেদনের অনুলিপি মিডিয়ায় দেয়া। মিডিয়ায় এ সংবাদ প্রকাশ পেলে সমস্যাগুলো জনসমক্ষে চলে আসবে। ফলে এর দ্রুত সমাধানও হবে।
কেসস্টাডি
১. পার্বতীপুরের তকেয়াপাড়া
পার্বতীপুর উপজেলার জমিরহাট তকেয়াপাড়ার পাঁচ বছরের মেয়ে আশা (আসল নাম নয়)। ২০১৭ সালের অক্টোবরে সকাল এগারোটার দিকে খেলার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। সেখান থেকে তাকে সাইফুল নামে এক ব্যক্তি তুলে নিয়ে যায়। মেয়েকে না পেয়ে গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে, ক্ষেত-খামারে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও বাবা-কাকারা আশার কোনো হদিস পায় না। এই খোঁজাখুঁজির মধ্যে আসামি সাইফুল মেয়ের বাবাকে ফোন করে নানা ধরনের কথা বলে।
এ প্রসঙ্গে আশার বাবা বলেন, রাত আটটা-নয়টার দিকে সাইফুল আমাকে ডেকে নিয়ে বলে, তোর মেয়েকে পেতে পারিস তবে আমার সঙ্গে তোর একা যাইতে হবে। আমি তোকে যেখানে নিয়ে যাব সেখান থেকে এসে কাউকে কিছু বলবি না, তাহলে তোর মেয়ের ক্ষতি হবে। মেয়ের যাতে ক্ষতি না হয় এই ভয়ে আমি একা সাইফুলের সঙ্গে পাশের গ্রামের আফজাল কবিরাজের বাড়িতে যাই। সেখান থেকে আফজাল কবিরাজসহ আমরা গ্রামের নদীর ধারে যাই। সেখানে গিয়ে মেয়েকে পাই না। আফজাল কবিরাজও সাইফুলের কথার পুনরাবৃত্তি করে। এও বলে তুই রাতে অথবা সকালে মেয়েকে পেয়ে যাবি। পরের দিন সকালে পাশের বাড়ির এক ভাইয়ের চিৎকার শুনে হলুদ ক্ষেতে দৌড়ে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি মেয়েকে ওই ভাই কোলে নিয়ে আছেন। তাড়াতাড়ি মেয়েকে নিয়ে স্থানীয় ল্যাম্ব হাসপাতালে যাই। সেখানকার ডাক্তাররা বলেন, ওর উন্নতমানের চিকিৎসা দরকার। ওকে এখনই রংপুরে নিয়ে যেতে হবে। সেখান থেকে ওকে রংপুর মেডিক্যালে ভর্তি করি। সেখানে চিকিৎসায় মেয়ের অবস্থার উন্নতি না হলে মহাজন, বড়ভাই পরামর্শ দেন মেয়েকে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা করানোর। রংপুর মেডিকেল কলেজে দু’দিন থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে নিয়ে আসি।
আশার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের প্রধান ফেরদৌসী ইসলামের নেতৃত্বে বোর্ড গঠন করা হয়। বোর্ডের সদস্য শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান আশরাফ উল হক কাজলের মতে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে মেয়েশিশুটির প্রজনন অঙ্গ ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে। ওর প্রজনন অঙ্গের ক্ষত হাড় পর্যন্ত পৌঁছেছে।
আশা এখনও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেনি। ওর মামলাটি দিনাজপুর নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে। পুলিশ চার্জশিট দিয়েছে। এখনও চার্জ গঠন হয়নি। চার্জ গঠনের পর সাক্ষীদের ডাকা হবে। মামলার বিচার প্রক্রিয়া আইনানুযায়ী এগোচ্ছে। মামলার মূল আসামি সাইফুল হাজতে থাকলেও সহযোগী দুই আসামি আফজাল কবিরাজ ও আরেকজন গ্রেফতার হওয়ার পর হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছে।
২. শায়েস্তাগঞ্জের ব্রাহ্মণডোরা
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের ব্রাহ্মণডোরা গ্রামের বিউটি আক্তারকে চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি অপহরণ করে ধর্ষণ করে। ওর বাবা বাদী হয়ে প্রতিবেশী বাবুল মিয়া (৩৫) ও তার মা ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্য কমল চান বিবিকে আসামি করে ৪ মার্চ হবিগঞ্জ আদালতে মামলা করেন। মামলা প্রত্যাহারের জন্য বিউটির পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দেয় আসামিরা। ১২ মার্চ হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে বিউটির মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়। মেয়ের নিরাপত্তার কথা ভেবে ১৩ মার্চ ওকে হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার গনিপুর গ্রামে নানাবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরও শেষরক্ষা হয়নি। ১৭ মার্চ বেলা বারোটার দিকে শায়েস্তাগঞ্জের ছাতাগর্ত হাওরে বিউটির মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় বিউটির বাবা সায়েদ আলী ১৮ মার্চ অভিযুক্ত বাবুল মিয়া, তার মা কমল চান বিবিসহ ছয়জনের নামে এবং অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। প্রধান আসামি বাবুল মিয়াকে র্যাব-৯ সিলেটের বিয়ানিবাজার থেকে গ্রেফতার করে।
ধর্ষণ মামলার আট দিন পর বিউটির মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়। জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. বজলুর রহমান জানান, মেডিকেল পরীক্ষার সপ্তাখানেক পরই তারা প্রতিবেদন আদালত ও শায়েস্তাগঞ্জ থানায় ডাকযোগে পাঠিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু এ ব্যাপারে বিউটির বাবা সায়েদ আলী জানান, বিউটির মামলার অগ্রগতির বিষয়ে খোঁজ নিতে গেলেই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন ডাক্তারের প্রতিবেদন আসেনি। যে কারণে তদন্ত কাজ এগোচ্ছে না।
টু ফিঙ্গার টেস্ট নিষিদ্ধ
দুই আঙ্গুলের মাধ্যমে ধর্ষণ পরীক্ষা পদ্ধতির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৩ সালের ৮ অক্টোবর আইনগত সহায়তা সংস্থা ব্লাস্ট, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, ব্র্যাক, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, নারী পক্ষ ও দু’জন চিকিৎসক রিট করেন। এতে দুই আঙ্গুলের মাধ্যমে ধর্ষণ পরীক্ষা পদ্ধতি সংবিধানের ২৭, ২৮, ৩১, ৩২ ও ৩৫(৫) ও সাক্ষ্য আইনের ১৫৫ ধারার পরিপন্থী দাবি করা হয়। রিট আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ধর্ষণের শিকার নারী ও মেয়েশিশুর (ভিকটিম) শারীরিক পরীক্ষায় টু ফিঙ্গার টেস্ট বা দু আঙ্গুলি পরীক্ষা অবৈজ্ঞানিক অভিহিত এবং নিষিদ্ধ করে চলতি বছরের ১২ এপ্রিল রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, এক্ষেত্রে টু ফিঙ্গার বা ম্যানুয়াল পরীক্ষা করা যাবে না। এ সম্পর্কে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম বলেন, টু ফিঙ্গার টেস্ট প্রসঙ্গে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে, তা নারী ও মানবাধিকার আন্দোলনের একটি ইতিবাচক ফল। আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে এই ফল অর্জিত হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় করণীয় ১. সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে এই রায়ের ব্যাপক প্রচার প্রয়োজন। বিশেষ করে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত সকল নারী মানবাধিকার কর্মী, আইনজীবী, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তথা বিচারিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের এই রায়টি জানা প্রয়োজন। ২. এখন একান্ত প্রয়োজন রাজধানী থেকে উপজেলা পর্যায়ে এসব কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোতে একটি বিশেষ ইউনিট গঠন করা। এই ইউনিটে বিশেষ পরীক্ষায় দক্ষ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স এবং একজন সেবাকর্মী থাকবেন। নার্স এবং সেবাকর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আভ্যন্তরীণ সহযোগিতা থাকা প্রয়োজন এই রায়কে বাস্তবে কার্যকরী করার জন্য। নারী ও মানবাধিকার আন্দোলনকে স্ব স্ব ভূমিকা রাখতে হবে। ধর্ষণের শিকার নারীদের সুবিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে এই রায়টি যথাযথভাবে কার্যকর হলে বিশেষ সহায়ক ভূমিকা রাখবে। পূর্বের বিচারিক প্রক্রিয়ার হয়রানিমূলক অবস্থা থেকে ভিকটিম কিছুটা মুক্তি পাবেন।
একনজরে
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের এ বছরের মার্চ মাসে মোট ৩৯৩ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে মোট ৮৮ টি তন্মধ্যে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ১২ জন, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৩ জনকে, এছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ৮ জনকে। শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে ৯ জন। যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১১ জন। এসিডদগ্ধের শিকার হয়েছে ১ জন, এসিডদগ্ধের কারণে মৃত্যু ১ জন ও অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে ৪ জন তন্মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। অপহরণের ঘটনা ঘটেছে মোট ১০টি। নারী ও কন্যাশিশু পাচারের শিকার হয়েছে ১ জন। বিভিন্ন কারণে ৫০ জন নারী ও কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২০ জন, তন্মধ্যে হত্যা করা হয়েছে ৮ জনকে। গৃহপরিচারিকা নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৩ জন ও গৃহপরিচারিকা কর্তৃক নির্যাতনের কারণে আত্মহত্যা করেছে ১ জন। উত্ত্যক্ত করা হয়েছে ১৩ জনকে ও উত্ত্যক্তকরণের কারণে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে ১ জন। ফতোয়া শিকার ২ জন ও পুলিশী নির্যাতনের শিকার ১ জন। বিভিন্ন নির্যাতনের কারণে ৩১ জন আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে এবং ৩৪ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করা হয়েছে ২৫টি। শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে ৬৪ জনকে। এছাড়া অন্যান্যরা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন, ২০০৩ যা বলা হয়েছে
যৌনপীড়ন ইত্যাদির দণ্ড নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন, ২০০৩-এর ধারা ১০ ‘ধারা ১০(১) বলে অভিহিত হইবে’ এবং অতঃপর ১০(২) ধারা সংযোজন হইবে- ‘১০(২) যদি কোন ব্যক্তি অবৈধভাবে তাহার যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে কোন নারীকে-
(ক) শারীরিকভাবে স্পর্শ বা চাপ প্রয়োগ ইত্যাদি করিলে তাহার এই কাজ হইবে যৌন হয়রানি এবং তজ্জন্য উক্ত ব্যক্তি অনধিক সাত বৎসর বা দুই বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবে।
(খ) মিথ্যা আশ্বাস বা প্রলোভনের মাধ্যমে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা/ উদ্যোগ ইত্যাদি করিলে তাহার এই কাজ হইবে যৌন হয়রানি এবং তজ্জন্য উক্ত ব্যক্তি অনধিক সাত বৎসর বা দুই বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবে।
(গ) যৌন ইঙ্গিত পূর্ণ ভাষা বা অঙ্গভঙ্গি ইত্যাদি করিলে তাহার এই আচরণ হইবে যৌন হয়রানি এবং তজ্জন্য উক্ত ব্যক্তি অনধিক সাত বৎসর দুই বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবে।
(ঘ) প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখানের কারণে হুমকি প্রদান ইত্যাদি করিলে তাহার এই কাজ হইবে যৌন হয়রানি এবং তজ্জন্য উক্ত ব্যক্তি অনধিক সাত বৎসর বা দুই বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবে।
(ঙ) যৌন সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব প্রত্যাখানের কারণে হুমকি প্রদান ইত্যাদি করিলে তাহার এই কাজ হইবে যৌন হয়রানি এবং তজ্জন্য উক্ত ব্যক্তি অনধিক সাত বৎসর বা দুই বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবে।’
ধর্ষণের কারণে জন্মলাভকারী, শিশু সংক্রান্ত বিধান-এ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন, ২০০৩ এ বলা হয়েছে-
২০০৩ সালের ৩০ নং আইনের ধারা ১৩ মোতাবেক ধর্ষণের ফলশ্রুতিতে জন্মলাভকারী শিশুর ভরণপোষণ নির্ধারণে অনতিবিলম্বে ১৩ ধারার ২ উপধারা মোতাবেক বিধিমালা প্রণয়ন করা। সূত্র: যুগান্তর অনলাইন