রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ০২:২২ পূর্বাহ্ন
নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি : হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জে ৫ম ধাপে অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে।
অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বলি হয়েছেন বর্তমান ও সাবেক প্রভাবশালী ৫ চেয়ারম্যান। এ নিয়ে তৃণমূল বিএনপিতে হতাশা দেখা দিয়েছে। দু-একটি ছাড়া শক্তিশালী প্রার্থীর মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ।
বিপরীতে বিএনপি ব্যর্থতার নজির স্থাপন করেছে। আস্থার সংকটে নিমজ্জিত বিএনপির দৈন্যদশা নিয়ে আলোচনায় মুখরিত উপজেলার জনপদ। ১৩ ইউনিয়নের ৯টিতেই নৌকার জোয়ারে কুপোকাত বিএনপি। ১৩টি ইউনিয়নের ১২টিতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নির্বাচনী লড়াইয়ে মুখোমুখি।
দীঘলবাক ইউনিয়নে প্রার্থী মনোনয়নে ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি। দায়িত্বশীল সূত্রে প্রকাশ, আগামী ২৮শে মে উপজেলার ১৩ ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন নিয়ে বিএনপিতে মতানৈক্য দেখা দেয়।
আধিপত্য ও কর্তৃত্বের বলি হন ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী মো. আবদুল বাতেন। ওই ইউনিয়নে মনোনয়ন লাভ করেন বিএনপির অপরিচিত মুখ আকিকুর রহমান।
তার সঙ্গে স্থানীয় বিএনপির কোনো পরিচিতি নেই। সাবেক এমপি শেখ সুজাতের আশীর্বাদে তাকে মনোনয়ন দেয়া হয়। ৯নং বাউশা ইউনিয়নে বিগত দুবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. আনোয়ারুর রহমানকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি।
আনোয়ারের স্থলে থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি মজিদুল করিম মজিদকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। এছাড়া থানা বিএনপির সহ-সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান আশিকুর রহমানের মনোনয়ন বাতিল করে কেন্দ্রীয় বিএনপি।
২নং বড়বাকৈড় ইউনিয়নে প্রভাবশালী ওই নেতার পরিবর্তে মনোনয়ন লাভ করেন মো. হাবিবুর রহমান। ১৩নং পানিউমদা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আবদুর রহমানের পরিবর্তে মনোয়ন লাভ করেন ছাত্রদলের সাবেক নেতা শেখ মো. রুবেল মিয়া।
এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চালন হয়েছে। ৪ নং দীঘলবাক ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপি নেতা মো. ছালিক মিয়াকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়নি।
ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আবদুল বারিক রনিকে প্রাথমিকভাবে মনোনীত করে স্থানীয় বিএনপি। অজ্ঞাত কারণে নির্বাচনে অনিহা প্রকাশ করেন তিনি। ওই ইউনিয়নে ছালিক মিয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।