শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন
নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন সরকারী কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও সিনিয়র সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে একের পর এক ফেসবুকে মানহানীকর মিথ্যা স্ট্যাটাস দেওয়ার অভিযোগে প্রতারনাকারী নারী ফরজুন আক্তার মনিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার বিকেলে শহরতলীর জেকে উচ্চ বিদ্যালয় পয়েন্ট থেকে নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ ডিজিটাল নিরাপত্তা ও তথ্য প্রযুক্তি আইনের মামলায় গ্রেফতার করা হয়।
সে দীর্ঘদিন যাবত সাংবাদিক ও মানবাধীকার কর্মী পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজনের সাথে প্রতারণা করে আসছিল। কেউ প্রতিবাদ করলে মনির ফেইসবুক আইডিতে বিভিন্ন রকম হুমকি ধমকি মূলক ও মানহানীকর স্ট্যাটাস(পোস্ট) দিয়ে অপদস্ত করতো।
কিছুদিন পূর্বে নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সমকাল প্রতিনিধি এম এ আহমদ আজাদ এর বিরুদ্ধে তার ফেইসবুক আইডিতে একাধিক মানহানীকর স্ট্যাটাস দিলে সংবাদিক আজাদ বাদী হয়ে পুলিশ ডিজিটাল নিরাপত্তা ও তথ্য প্রযুক্তি আইনে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ উক্ত অভিযোগের সত্যতা পেলে রবিবার তাকে গ্রেফতার করা হয়।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,গ্রেফতারকৃত মনির বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ সম্মানীত ব্যক্তি ও সুশীল সমাজ এবং সরকারী কর্মকর্তাদের সম্মানহানী করেছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, প্রতারক ফয়জুন আক্তার মনি পুরুষ সেজে নবীগঞ্জ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগম ও সাবেক মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সেলিনা পারভিন সহ আরও অনেককে অশ্লীল ম্যাসেজ পাঠিয়ে যৌন হয়রানি করে আসছিল।
সে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে অনেকের সাথে সংখ্যতা গড়ে তোলে। পরবর্তীতে যৌন হয়রানী করতো।
এ বিষয়টি ভুক্তভোগীরা সিনিয়র সাংবাদিক আজাদকে অবগত করেন। তিনি কিছুদিন পূর্বে মনিবে ডেকে বিষয়গুলো সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন এবং এ ধরনের কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার জন্য পরামর্শ দেন। এতে সে ক্ষুব্ধ হয়ে সাংবাদিক আজাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। মনি সাংবাদিক আজাদের বিরুদ্ধে তার ফেইসবুক আইডিতে নানারকম মানহানিকর স্ট্যাটাস দিয়ে তার ও তার পরিবারের মান সম্মান হানি করে আসছিল।
ফরজুন আক্তার মনি বিভিন্ন স্থানে ভিন্ন ভিন্ন নাম ব্যবহার করে প্রতারণা করে আসছিল এবং এমন কী ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের শীর্ষ নেতা ও প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করছিল। দাদন ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল। এর ফলে অল্প সময়ে সে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যায়।
তার নানা অপকর্মের বিষয় মানুষ জানলেও তার এসব পরিচয়ের কারনে ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস করতেন না।
অবশেষে নানা অপকর্মের হুতা ও একি অঙ্গে বহুরূপী ফয়জুন আক্তার মনি পুলিশের খাচাঁয় বন্দি হওয়ায় সাদারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইসবুকেও অনেকই আনন্দ উল্লাস করে পোস্ট দিতে দেখা গেছে।