• Youtube
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৯:২০ অপরাহ্ন

করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

নবীগঞ্জে সন্ত্রাসী মুছার সহযোগি ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত ও এসআইকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় এজাহারভুক্ত আসামী সন্ত্রাসী মুছার একান্ত সহযোগী ছাত্রলীগ নেতা হাবিবুর রহমান কাশেম ও ভগ্নিপতি কামাল হোসেন কে গ্রেফতার করেছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বানিয়াচং উপজেলার ঈদগাহ বাজার এলাকা থেকে কাশেমকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত হাবিবুর রহমান কাশেম নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি ও নবীগঞ্জ পৌর এলাকার গন্ধ্যা গ্রামের আব্দুস শহীদের পুত্র। এছাড়াও কাশেম নবীগঞ্জের আলোচিত ছাত্রলীগ নেতা হেভেন হত্যা মামলার অন্যতম আসামী। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নবীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন নেতৃত্বে ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই সামছুল ইসলাম,এস আই কাওছার আহমেদ সহকারে একদল পুলিশ বানিয়াচং উপজেলার ঈদগাহ বাজার যাতুকর্ন পাড়া এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় এক ওই বাজার থেকে কাশেমকে গ্রেফতার করা হয়।

নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন গ্রেফতার এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃত কাশেম পুলিশের উপর হামলার ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত। সে সন্ত্রাসী মুছার একান্ত সহযোগী।

তিনি আরো বলেন, হাবিবুর রহমান কাশেম নবীগঞ্জের আলোচিত ছাত্রলীগ নেতা হেভেন হত্যা মামলার অন্যতম আসামী। এছাড়াও কাশেম বিভিন্ন অপকর্মের হোতা। শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে। মুছাকে গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

এদিকে সন্ত্রাসী সোহান আহমেদ মুসা’র মা-বোনের পর এবার গ্রেফতার হয়েছে তার ভগ্নিপতি কামাল হোসেন (৩৯)। গত বুধবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার বড়চর গ্রামের কামালকে গ্রেফতার করা হয়। সে ওইগ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে। কামাল পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় এজাহার ভুক্ত আসামী। গত বুধবার কামালকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ১২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় পৌর এলাকায় তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সোহান আহমেদ মুছা ও তার লোকজন শহরের সালামতপুর এলাকায় পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপর হামলা করে ওসি (তদন্ত) উত্তম কুমার এবং এসআই ফখরুজ্জামানকে কুপিয়ে পালিয়ে যায় মুছা।

এ ঘটনার পরদিন নবীগঞ্জ থানার এসআই ফিরোজ আহমেদ ১৫ জনকে আসামী করে নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মুছার মুছার মা সামছুন্নাহার (৫০), বোন মৌসুমী আক্তার (২৬), শাম্মী আক্তার (২২) ও তন্নী আক্তার (১৯) ও মুছার সহযোগি আহমদ হোসেনকে গ্রেফতার করে। এ নিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত এজাহারভুক্ত ৭জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ