• Youtube
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১০ পূর্বাহ্ন

করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

খোয়াই নদীর উপর নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু আজ

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

নিজস্ব প্রতিনিধি, হবিগঞ্জ:  হবিগঞ্জ শহরের পুরাতন খোয়াই নদীর উপর নির্মিত সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম আজ সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবির মুরাদ।

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে আয়োজিত সাংবাদিকদের সাথে এক প্রেস কনফারেন্সে এ তথ্য জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবির মুরাদ।

এসময় তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে হবিগঞ্জ শহরের পুরাতন খোয়াই নদীর উপর নির্মিত সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ঘোষনা দেয়ার পর অনেকেই নিজ উদ্যোগে তাদের অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করেছেন। মাছুলিয়া থেকে শুরু করে হরিপুর পর্যন্ত— খোয়াই নদীর উপর নির্মিত সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে’।

ইতিমধ্যে উচ্ছেদ অভিযানের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আজ সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ উচ্ছেদ অভিযানে জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সহকারী কমিশনার ভূমি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ বিদ্যুৎ ও গ্যাস অফিসের কর্মচারীরাও উপস্থিত থেকে সহযোগিতা করবে। যতদিন পর্যন্ত এ উচ্ছেদ অভিযান চলবে ততদিন পর্যন্ত হবিগঞ্জ পৌরসভা জেলা প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।

ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক সরেজমিনে সরকারী জায়গা পরিমাপ করে ৬শ’ দখলদারের নাম তালিকাভূক্ত করেছেন। এর মধ্যে অনেকেরই অফিস, বিল্ডিং, মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসা ও বাগান বাড়ি রয়েছে। নদীর উপর নির্মিত অনেক অবৈধ দখলদারদের বিভিন্ন বাসা বাড়িতে লাল চিহ্ন দিয়েছেন তিনি। পর্যায়ক্রমে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে এবং বাগানের গাছ কেটে ফেলা হবে। তবে মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসা ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্থাপনা উচ্ছেদের ক্ষেত্রে পর্যালোচনা করা হবে। অনেক স্থাপনা উচ্ছেদের ক্ষেত্রে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলে কাগজপত্র দেখে সঠিক হলে বিবেচনা করা হবে। ডায়াবেটিক হাসপাতাল ও জেলা পরিষদ সরকারী ভাবে বন্দোবস্ত দেয়া। সেটা আইনী প্রক্রিয়ায় দেখা হবে।

তিনি বলেন, ‘নদী ও খালের জায়গা সরকারী ভাবে কোন বন্দোবস্ত দেয়া হয় না। যদি কোন ব্যক্তি লীজ নিয়ে থাকেন তাহলে সেটা অবৈধ। শ্রেণী পরিবর্তন বৈধ নয়, যে গুলো শ্রেনী পরিবর্তন করা হয়েছিল সে গুলো আইনী প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেয়া হবে। মৌখিকভাবে কোন পূণর্বাসন করা যায় না। খোয়াই নদীর খননের সময় যাদেরকে পূণর্বাসন করা হয়েছিলো তাদের মধ্যে গরীব ছিন্নমূল মানুষদের পরবর্তিতে সরকারী প্রকল্পের মাধ্যমে পূণর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। নদীর উপর অবৈধ স্থাপনা দখলদারদের কাউকেই ছাড় দেয়া হবেনা।

সম্প্রতি, হবিগঞ্জ শহরের বাইপাস সড়ক এলাকায় বড় বড় স্থাপনা ও গরুর বাজার এলাকায় অনেক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। প্রায় ১ মাস ব্যাপী এ উচ্ছেদ অভিযানে অনেক বাধা এসেছে। আগামীতেও অন্যান্য অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে বাধা আসতে পারে। এ বাধার সম্মুখিন হয়েই এগিয়ে যেতে হবে। হবিগঞ্জ শহরের সৌন্দর্য্য বর্ধনে সকলকেই কাজ করা উচিত। এক্ষেত্রে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে সাংবাদিকসহ সকল মহলের সহযোগিতা প্রয়োজন’। এ সময় প্রেস কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক নুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) অমিতাভ পরাগ তালুকদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মোঃ শামছুজ্জামানসহ ইলেকট্রনিক-প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ