বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৬:০০ পূর্বাহ্ন
শাহ মোস্তুফা কামাল, শায়েস্তাগঞ্জ থেকে: রমজান শুরুতেই শায়েস্তাগঞ্জের ইফতারি বাজারে ভেজাল ও নি¤œমানের খাবারে সয়লাব। প্রথম রমজান থেকেই খোলা আকাশের নিচে রাস্তার পাশে ও রেলওয়ে স্টেশনে খোলামেলা বিক্রি হচ্ছে এসব ইফতার সামগ্রী।
শনি ও রবিবার পৌর শহর ঘুরে দেখা গেছে হোটেল রেস্তরাঁয়, ইফতার সামগ্রী বিক্রির ব্যাপক আয়োজন করা হয়েছে। আবার অনেকে রাস্তার পাশে দোকান দিয়ে খোলা আকাশের নিচে ইফতার সামগ্রীর মান নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে। তারপরও সারা দিনের রোজাদাররা বাধ্য হয়ে ওইসব ইফতার সামগ্রী ক্রয় করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ী জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ইফতারির জন্য যেসব আয়োজন তারা করে থাকেন এবারও তেমনই আয়োজন করেন। এ বছর ইফতারিতে তেমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই। সচরাচর যেগুলো বেশি বিক্রি হয়ে তাকে সেগুলোই তারা তৈরি করেছেন।
শায়েস্তাগঞ্জ পৌর শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সাধারণ মানুষ প্রতি বছরের মতো আলুর চপ, বেগুনি চপ, পেয়াজু, ডালের বড়া, সবজির বড়া, ডিমের ছপ, শাহী জিলাপি, পোলাউ, খিচুরি, মাংস, আখনি পোলাউ ইত্যাদি প্রতিবেশী ঝুঁকছে না। ক্রেতাদের নানান অভিযোগ ইফতার সামগ্রী তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে নি¤œমানের উপকরণ।
পবিত্র মাহে রমজানকে পুঁজি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক মুনফার আশায় এই অপকর্ম করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোজাদাররা বাধ্য হয়েই এসব কিনছেন। পৌর শহরের দাউদনগর বাজারে ইফতার সামগ্রীর মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। যদিও প্রয়োজনের তাগিদেই তাদের এসব খাবার কিনতে হয়। পৌর শহরের বাজারে ইফতার সামগ্রী কিনতে আসা রিকশাচালক বলেন, আমাদের মতো মানুষের জন্য এই ইফতারিই যথেষ্ট। ইফতারি সামগ্রী বিক্রি নিয়ে বাজারগুলোর বিক্রেতাদের মধ্যে বাগবিত-া লক্ষ্য করা গেছে। ইফতার সামগ্রীর বিক্রেতাদের অনেকে তাহাদের দোকানের পেছনে বাসা বাড়িতে তৈরি ইফতার সামগ্রীর নানা বর্ণের রাসায়নিক রং, কষ্টিক সোডা ও বেসন ব্যবহার করছেন। যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এর চেয়ে ভালো কিছু কেনার সামর্থ্য নেই। তিনি ১০ টাকা পিচ আলুর চপ, বেগুনি ১০ টাকায় ১০০ গ্রাম ছোলার চানা ও মুড়ি কিনেই সন্তুষ্ট।
শুধু মোঃ কিতই মিঠাই নন তার মতো অনেকেই বাধ্য হয়ে ভেজাল ও নি¤œমানের ইফতার সামগ্রী কিনছেন। একাধিক ক্রেতার অভিযোগ রমজানের শুরুতেই ভেজালচক্র প্রকাশ্য হলেও প্রশাসনের কোনো ধরনের নজরদারি নেই চললেই চলে।
শায়েস্তাগঞ্জ দাউদনগর বাজারের জনৈক হোটেলের সবুজ মিয়া জানান, প্রতি বছরের মতো এবারও তারা ইফতার সামগ্রী তৈরি করেছেন। উপকরণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ইফতারির মূল্যও বেড়েছে। দাউদনগর আরেক ইফতারি বিক্রেতা ইকবাল মিয়া জানান ক্রেতার চাপ বেশি। তাই জিনিসের মূল্য স্বাভাবিক তবে ভেজাল উপকরণে ইফতার সামগ্রী তৈরি অভিযোগ ব্যবসায়ীরা মানতে নারাজ।#
শাহ মোস্তুফা কামাল
শায়েস্তাগঞ্জ থেকে:
০১৭৭২৭৬৯৮৬৬।