বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৬:২৬ পূর্বাহ্ন
শাহ মোস্তফা কামাল, শায়েস্তাগঞ্জ থেকে: শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ও পৌর এলাকার হাট বাজারগুলোতে গবাদি পশু জবাই এবং মাংস বিক্রিয় ক্ষেত্রে সরকারী বিধিনিষেধ মানা হচ্ছে না। কসাইখানা থাকার পরেও পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই যত্রতত্র নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ রোগাক্রান্ত গরু, মহিষ, ছাগল জবাই করা হচ্ছে। কোন কোন সময় সড়কের উপর জবাই করা হচ্ছে গবাদিপশু। পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই গবাদিপশু জবাই এর ফলে নোংরা পরিবেশের কারণে জনস্বাস্থ্যর উপর বিরুপ প্রভাব পড়ছে।
অভিযোগ উঠেছে, সরকারী বিধিবিধানের তোয়াক্কা না করে প্রশাননের কতিপয় অসাধু কর্মচারীকে হাত করে কসাই ও মাংস বিক্রেতারা প্রতিদিন এ অনিয়ম করে যাচ্ছে। অথচ সরকারী বিধান আছে মাংস বিক্রির উদ্দেশ্যে কোন পশু জবাই করতে হলে সেটি জবাই করার আগে সম্পূর্ণ রোগমুক্ত কিনা এবং মাংস স্বাস্থ্যসম্মত কিনা তা একজন সরকারী পশু ডাক্তার দ্বারা পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। পরীক্ষা করা পশু জবাই ও খাওয়ার উপযোগী বিবেচিত হলে তবেই সেটি আনুমোদিত কোন কসাইখানায় নিয়ে জবাই করতে হবে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিয়ম মোতাবেক মাংসের উপর সিল মেরে তা বাজারে বিক্রির অনুমতি প্রদান করবে। কিন্তু শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভাসহ উপজেলার কোথাও এর কোনটিই মানা হচ্ছে না। এছাড়া বাচ্চা, চাষাবাদযোগ্য বলদ ও দুধের গাভী জবাই না করার নির্দেশও মানা হচ্ছে না প্রতিনিয়ত।
তবে শোনা যায়, এসব দেখার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা নিয়মিত মাংস বিক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলে। আর তাই এরা গবাদিপশু জবাই আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নীরব ভূমিকা পালন করে থাকে। সরকারী বিধি মোতাবেক যারা মাংস বিক্রি করবে তাদের ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে সংশ্লিষ্ট জেলার সিভিল সার্জন থেকে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সনদপত্র কয়েকিিটি হাটবাজারের মাংসের দোকানে সরেজমিনে গিয়ে বিক্রেতাদের সঙ্গে স্বাস্থ্য সনদ সম্পর্কে কথা বলে জানা যায়, কোন মাংস বিক্রেতাই স্বাস্থ্য সনদ নেওয়ার বিষয়টিও অনেকেরই অজানা। গবাদিপশু জবাই এবং মাংস কাটার যাবতীয় সরঞ্জাম ব্যবহারের আগে জীবাণুমুক্ত করা, খোলা মাংস বিক্রি না করা এবং মাংসের দোকানে স্যানিটেশনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখার নির্দেশনা থাকলেও উপজেলার হাটবাজারগুলোর কোন মাংস দোকানে মানা হচ্ছে না এসব বিধি, বরং সকালে জবাই করা পশুর মাংস সারাদিন উমুক্ত স্থানে নোংরা পরিবেশ ঝুলিয়ে রেখে বিক্রি করা হয় রাত পর্যন্ত।