বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৫:৫১ পূর্বাহ্ন
ভোটার হতে কোন টাকা লাগেনা,আপনারা কোন দালাল চক্রের সাথে লেনদেন করবেন না
জসিম উদ্দিন, বাহুবল প্রতিনিধি: বাহুবল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাহনাজ আক্তার সরকারী অফিসে প্রিন্ট করে দেয়ালে সাটিয়ে দেয় কয়েকটি সততার সাইনবোর্ড দিয়ে সাধারন জনগণের প্রশসংসায় ভাসছেন তিনি।
সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে নির্বাচন অফিসে প্রবেশ করতেই চোঁখে পড়ে দেয়ালে সাজানো তিনটি সাইনবোর্ড। সাইনবোর্ড পড়েই স্বস্থি বোধ করে সাধারন জনগণ। সিড়ি বেয়ে উপরে উঠে গিয়ে আবারো মিলে কয়েকটি সাইনবোর্ড। বারান্দায় সিরিয়ালি দাড়িয়ে সেবা নিচ্ছে গ্রাহকরা। ভিতরে অফিসে ল্যাপটপে বসে সেবা দিচ্ছেন নির্বাচন কর্মকর্তা শাহনাজ আক্তার।
তিনটি কাগজে লিখে রেখেছেন “ভোটার হতে কোন টাকা লাগেনা,আপনারা কোন দালাল চক্রের সাথে লেনদেন করবেন না। যে কোন অভিযোগ জানতে কল করুন ০১৫৫০-০৪২৬৭১ অন্যটিতে লিখা “বিনামূল্যে সেবা নিন,কোন প্রকার আর্থিক লেনদেন করবেন না।দুষ্ঠু চক্রকে ধরিয়ে দেন”। অন্য আরেকটিতে লিখা ” সংশোধনের জন্য সরকারী ফি ২৩০ টাকা ছাড়া কোন টাকা পয়সা দিবেন না।বিনামূল্যে সংশোধন পাওয়ার জন্য শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিন।কোন প্রকার আর্থিক লেনদেন করবেন না”
রসূলপুর গ্রাম থেকে সেবা নিতে আসা কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী জেসমিন আক্তার বলেন, কম্পিউটার দোকান থেকে ৩শ টাকা দিয়ে নাম সংশোধনের জন্য আবেদন করেছি। কম্পিউটার দোকানে আবেদনের সময় এক লোক আমাকে তিন হাজার টাকা চেয়েছিল। পরে অফিসে এসে দেখি কাগজে লেখা দালাল ধরবেন না।তাই দালাল না ধরে কাগজপত্র নিয়ে লাইনে আছি।
সেবা নিয়ে আসা পশ্চিম জয়পুর গ্রামের মিলন আহমদ বলেন, সর্বশেষ দালাল দুই হাজার বলছিল পরে নিজেই কাগজপত্র জমা দেই, ম্যাডাম জমা নিয়েছেন।
জাঙ্গালিয়া গ্রামের রফিক মিয়া নামের এক ব্যক্তি বলেন, শুনেছি ম্যাডাম পরহেজগার মানুষ। তবে ম্যাডাম ঘুষ না নিলেও তার অফিসে কর্মরত ব্যক্তিরা ঠিকই নিচ্ছে। তাদের সাথে চুক্তি না করলে ফাইলই ম্যাডামের কাছে তারা পৌছায় না। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে কামরুল ও কাদির অফিসে রামরাজত্ব কায়েম করে যাচ্ছে।
অফিসে কর্মরত সবুজ নামের এক কর্মচারী জানান, ম্যাডাম গত ফেব্রুয়ারীতে অফিসে যোগদান করেছেন। অফিসকে দুর্নীতিমুক্ত করতে স্যার শুক্র শনিবারও অফিস করেন। অফিসের কাজের চাপে অনেক সময় বাসায় যেতে পারেন না, উপবাস থেকেও গ্রাহকদের সেবা দেন। এমনও হয়েছে দুপুরে বাসায় যেতে পারবেন না ভেবে স্যার রোজা রেখেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসার শাহনাজ আক্তার বলেন, এটা আমার দায়িত্ব, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসাবে আমি জনগনের কাজ করতে এসেছি, আমি যতদিন বাহুবলে থাকব ততদিন সরকারী ফি ছাড়া কোন টাকা পয়সা লাগবে না। ডকুমেন্টস নিয়ে আসবেন। অফিসের কেউ কোন টাকা পয়সা নেয় বিষয়টি জানা নেই, কোন অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নিব।