তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করা এবং অভিযোগকারী নারীকে না জানিয়ে তার নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে সেখানে লাখ লাখ টাকা লেনদেনের অভিযোগ উঠে।
এ সংক্রান্ত গঠিত তদন্ত কমিটি সত্যতা পাওয়ায় তাকে তথ্য-প্রযুক্তি যোগাযোগ বিভাগের ইলেকট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে বদলি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। নতুন কার্যালয়ে সহকারী নিয়ন্ত্রক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আসিফ ইমতিয়াজ। তাকে রোববার ওই পদে যোগ দিতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
সূত্রে আরো জানা যায়, সরকারের একজন দায়িত্বশালী কর্মকর্তার এ ধরনের কর্মকাণ্ডের ফলে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলে মতামত দেওয়া হয় তদন্ত প্রতিবেদনে। এরপর ইউএনও আসিফ ইমতিয়াজকে বদলির প্রজ্ঞাপন দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
জেলা প্রশাসক আব্দুল আহাদ বলেন, ‘তাহিরপুরের ইউএনওকে আজকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়েছে। তবে তাকে কোনও পদায়ন করা হয় নি। তার ব্যপারে সিদ্ধান্ত নিবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বা মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ। এর বেশি আমরা কিছু বলতে পারবও না।’
প্রসঙ্গত, ময়মনসিংহের এক নারী ইউএনও আসিফ ইমতিয়াজের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন, হত্যার হুমকি, ব্যাংকে অবৈধ লেনদেন ও সন্তানের স্বীকৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ‘লোক লাগিয়ে’ হামলা চালিয়ে গর্ভের সন্তান নষ্ট করে দেয়ার অভিযোগ করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে।
এরপর মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. হারুন অর রশীদকে এ কমিটির আহবায়ক করা হয়। তিনি গত ১৪ আগস্ট জেলা প্রশাসকের কাছে বিস্তারিত উল্লেখ করে একটি প্রতিবেদন জমা দেন।