• Youtube
  • English Version
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০৮ পূর্বাহ্ন

করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

শীতে ঠাণ্ডা-জ্বর কাশি থেকে দূরে থাকতে

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২২

করাঙ্গীনিউজ:
কিছু অভ্যাস রপ্ত করতে পারলে ছোঁয়াচে রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমানো যায়।

কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে আমাদের বেশ কিছু ভালো অভ্যাস গড়ে উঠেছিল। নিয়মিত হাত ধোয়া, মাস্ক পরা, হাঁচি কাশি দেওয়ার ক্ষেত্রে মুখ ঢাকা।

মহামারীর প্রকোপ কমে যাওয়াতে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় সেসব অভ্যাস থেকে আমরা দূরে সরে এসেছি। তবে এই ধরনের অভ্যাসগুলো শুধু করোনাভাইরাস থেকে রক্ষার ক্ষেত্রেই নয়, অন্যান্য ভাইরাস-জনিত রোগ থেকেও দূরে রাখতে সাহায্য করে।

এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াতে অবস্থিত ‘প্রভিডেন্স সেন্ট জোসেফ অ্যান্ড প্রভিডেন্স মিশন হসপিটাল’য়ের ছোঁয়াচে রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. চার্সল বেইলি বলেন, “কোভিড-১৯ একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। আর করোনাভাইরাস ছাড়াও এই শীতের সময়ে নানান ধরনে ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আরও বাড়ে।”

ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও বলেন, “ঠাণ্ডা-জ্বর, কাশি, সর্দি এই সময়ের সাধারণ রোগ। পাশাপাশি ‘ইনফ্লুয়েঞ্জা’ বা ‘ফ্লু’তে ভোগার সম্ভাবনাও থাকে। তাই কোনো এলাকায় হাঁচি-কাশি দেখা দিলে অবশ্যই সাবধান হতে হবে। এতে অন্তত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমবে।”

ফ্লু ও কোভিড ১৯’য়ের ভ্যাকসিন নেওয়া

ভ্যাকসিন গ্রহণের ক্ষেত্রে অবহেলা করা যাবে না।

ডা. বেইলি বলেন, “করোনভাইরাসের টিকা নেওয়ার পাশাপাশি সুযোগ থাকলে ইনফ্লুয়েঞ্জা’র টিকাও নেওয়া উচিত। মনে রাখতে হবে যে কোনো ভ্যাকসিন বা টিকা দেহে পুরোপুরি কার্যকর হতে অন্তত দুই সপ্তাহ সময় লাগে।”

হাত ধোয়ার অভ্যাস ছাড়া যাবে না

ফ্লু-সহ যে কোনো ধরনের জীবাণুর আক্রমণের ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত হাত ধোয়ার কোনো বিকল্প নেই। আর এজন্য সঠিক নিয়ম মানার চেষ্টা করতে হবে।

হাত ধোয়ার ক্ষেত্রে কুসুম গরম পানি ও সাবান ব্যবহার করতে হবে।

আঙ্গুল থেকে শুরু করে কব্জি পর্যন্ত ভালোমতো ১৫ থেকে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে ঘষে ধুতে হবে।

শুধু আঙ্গুলের ফাঁকেই নয়, নখের ভেতরেও পরিষ্কার করতে হবে।

হাত ধোয়ার উপায় না থাকলে অ্যালকোহল-ভিত্তিক স্যানিটাইজার ব্যবহারের চেষ্টা করতে হবে।

পরিষ্কারের পরেও মুখে ও নাঁকে বারবার হাত দেওয়ার অভ্যাস কমাতে হবে।

ফোন ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ জীবাণুমুক্ত করা

মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, হেডফোন, ইয়ার বাডস- এরকম যতরকম যন্ত্র এই সময়ে ব্যবহার করা হয় সবগুলোতেই জীবাণু আস্তানা গেড়ে থাকে।

তাই দিনে অন্তত একবার হলেও এসব জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

মসৃণ কাপড় সাবান-পানিতে হালকা ভিজিয়ে ভালোমতো এসব যন্ত্র পরিষ্কার করা যায়। খেয়াল রাখতে হবে চার্জ বা বিদ্যুতে সংযোগ থাকা অবস্থায় এই পরিষ্কারের কাজ করা যাবে না।

যতটা সম্ভব ভীড় এড়ানো

এই সময়ে ভীড় এড়ানো সহজ কথা নয়।

তাই ডা. বেইলি পরামর্শ দেন, “বদ্ধ জায়গা এড়ানোই হবে ভালো বুদ্ধি। শীতের এই সময়ে বাইরে খেতে গেলে খোলামেলা পরিবেশের রেস্তোরাঁয় যাওয়া, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মার্কেটের চাইতে খোলা আকাশের নিচে বসা দোকান বেছে নেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।”

সন্দেহ থাকলে মাস্ক পরা

সবসময় লোকজন এড়ানো সম্ভব হয় না। ভীড় বাস, মার্কেট বা সিনেমা হলে- এই ধরনের জায়গায় মাস্ক পরার পরামর্শ দেন ডা. বেইলি।

তার কথায়, “মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা উঠে গেলেও ব্যাগে বা পকেটে অন্তত মাস্ক রাখুন। আশপাশে কেউ ক্রমাগত কাশছে কিংবা ভীড় বাসে ওঠা- এরকম অবস্থায় মাস্ক পরুন।”

ছোট এই অভ্যাস শুধু নিজের নয়, প্রিয়জনদের অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাও কমাবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ