এস এম টিপু সুলতান: হবিগঞ্জের বাহুবলে সংঘর্ষে গুরুতর আহত আউলিয়া বেগম (৫৫) নামে এক নারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮ দিন পর মৃত্যুবরণ করেছেন।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) ভোর ৫ টার দিকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।
জানা যায়, বাহুবল উপজেলার ১নং স্নানঘাট ইউনিয়নের চক হায়দর গ্রামের দিনমজুর হাবিব উল্লাহ নিজ বসতবাড়িতে গত ১৭ নভেম্বর বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে গেলে প্রতিবেশী রিংকু দাশ ও ফজল মিয়া তাদের লোকজন নিয়ে বাঁধা দেয়। হাবিব উল্লাহ তাদের কাছে বাঁধা নিষেধের কারণ জানতে চাইলে রিংকু দাশ ও ফজল মিয়াসহ তাদের লোকজন হাবিব উল্লাহ ও তার স্ত্রী আউলিয়া বেগম (৫০) এর উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় রিংকু দাশ ও ফজল মিয়ার মারপিঠে হাবিব উল্লাহ’র স্ত্রী আউলিয়া বেগম গুরুতর আহত হন। আহত অবস্থায় আউলিয়া বেগমকে উদ্ধার করে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক আউলিয়া বেগমকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
আউলিয়া বেগম সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে শুক্রবার ভোর ৫ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় আউলিয়া বেগমের স্বামী হাবিব উল্লাহ বাদী হয়ে গত ১৮ নভেম্বর রিংকু দাশ ও ফজল মিয়াকে আসামী বাহুবল মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় পুটিজুরী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এস আই নাজমুল হোসেনকে। এসআই নাজমুল হোসেন তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত মামলার প্রধান আসামী রিংকু দাশকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নাজমুল হোসেন জানান, আমরা তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত রিংকু দাশকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছি। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।