• Youtube
  • English Version
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:৫১ অপরাহ্ন

করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

বাহুবলে টাকা আত্নসাৎ অভিযোগ ধামাচাপা দিতে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২২

নিজস্ব প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার বাহুবল মিরপুর ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার রহিমা খাতুন চম্পার বিরুদ্ধে ভিজিডি কার্ড, বয়স্ক ভাতা, বিধবা,প্রতিবন্ধী,হত দরিদ্র কার্ড ও টিউবওয়েল দেওয়ার কথা বলে টাকা আত্নসাৎতের অভিযোগ ধামাচাপা দিতে তুলেছেন মিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ।

বুধবার ২৩ নভেম্বর মিরপুর ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার রহিমা খাতুন চম্পা হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে ধর্ষণের চেষ্টা অভিযোগ দায়ের করেন।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ২২ নভেম্বর জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ অভিযোগ উঠায় তাকে মিরপুর ইউনিয়ন পরিষদে অবাঞ্ছিত ঘোষনা করেছে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সহ সকল সদস্য বৃন্দ।

স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মিরপুর ইউনিয়নের মহিলা মেম্বার রহিমা খাতুন চম্পা নিজের ওয়ার্ড ছাড়াও ইউনিয়ন তথা উপজেলার বিভিন্ন জনগণের কাছ থেকে সরকারের দেয়া চাউল, ভিজিডি কার্ড, বয়স্ক ভাতা, বিধবা,প্রতিবন্ধী,হত দরিদ্র কার্ড ও টিউবওয়েল দেয়ার কথা বলে দুই হাজার তিন হাজার করে টাকা নিয়ে আত্নসাৎ করেছে। কার্ড বা চাল না পেয়ে ভুক্তভোগীরা মিরপুর ইউনিয়ন পরিষদে তাকে আটক করে টাকা আদায়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এমনকি তাকে মারতে তেড়ে আসে। এ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে ৭/৮ টি বিচারও হয়। সেই বিচারে টাকা নেয়ার প্রমানও পান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সদস্য সদস্যাবৃন্দ।

এ বিষয়ে তাকে বার বার সতর্ক করলেও সে অসহায় মানুষকে প্রলোবন দেখিয়ে টাকা আদায় করছেই। গত রবিবার বানিয়াগাঁও গ্রামের এক মহিলাকে চাউলের কার্ড করে দিবে বলে ২ হাজার টাকা নিয়ে আসে। তারা চাল না পেয়ে ওই মহিলা মেম্বারের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে ইউনিয়ন পরিষদে এক হযরলব অবস্থার সৃষ্টি হয়।

তার এমন অন্যায় অনিয়ম দুর্নীতি থেকে বাঁচতে ইউপি চেয়ারম্যান সদস্য সদস্যাবৃন্দ জেলা প্রশাসক বরাবের একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

উক্ত অভিযোগ ধামাচাপা দিতে মহিলা মেম্বার তুলেছেন মিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামীম মিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ।

এ ব্যাপারে নাম না প্রকাশ করার শর্তে রাজেন্দ্রপুর এলাকার কয়েকজন বলেন, মহিলা মেম্বার রহিমা খাতুন চম্পা নিজের ওয়ার্ড ছাড়াও ইউনিয়ন তথা উপজেলার বিভিন্ন জনগণের কাছ থেকে সরকারের দেয়া চাউল, ভিজিডি কার্ড, বয়স্ক ভাতা, বিধবা,প্রতিবন্ধী,হত দরিদ্র কার্ড ও টিউবওয়েল দেয়ার কথা বলে দুই হাজার তিন হাজার করে টাকা নিয়ে আত্নসাৎ করে। কেউ কিছু বললে তাহার বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার ও বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমা ভয় দেখানো হয়। সে একজন মেম্বার হয়ে এলাকার নিরীহ মানুষের উপর বিভিন্ন ভাবে জোর জবরদস্তি করে বিভিন্ন বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলে অবৈধ ভাবে লাখ লাখ টাকার মালিক হচ্ছে।

এ বিষয়ে ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার ফুল মিয়া বলেন, তার দুই নং ওয়ার্ড রেখে ৪ নং ওয়ার্ডে এসে টিউবওয়েল দেয়ার কথা বলে ১০ হাজার টাকা নিয়ে যায় একটি পরিবারের কাছ থেকে। এ অভিযোগ ধামাচাপা দিতে মহিলা মেম্বার তুলেছেন মিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামীম মিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ।

 

এ ব্যাপারে মিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামীম আহমদ বলেন, মহিলা মেম্বার চম্পা সরকারের দেয়া বিভিন্ন কার্ড করে দিবে বলে বিভিন্ন গরীব মানুষদের কাছ থেকে টাকা নেয়,তারা আমার কাছে এসে বিচার দেয়। আমরা তাকে নিয়ে ৭/৮ বার বিচারে বসেছি, সে আমাদের অবাধ্য হয়ে টাকা নিয়েই যাচ্ছে। তাই আমরা তাকে ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্য সদস্যেরা অবাঞ্ছিত ঘোষনা করেছি। এর জের ধরে ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার রহিমা খাতুন চম্পা আমার বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে ধর্ষণের চেষ্টা অভিযোগ দায়ের করে । যাহা সম্পন্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমার জীবনে ছোট থেকে আজ অবধি এমন কোন রেকর্ড নাই। আমি এর সঠিক বিচার চাই।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ