• Youtube
  • English Version
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন

করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

আমন চাষ নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: বৃহস্পতিবার, ৪ আগস্ট, ২০২২

করাঙ্গীনিউজ:
গাজীপুরে আমন ধান লাগানোর সময় প্রায় পেরিয়ে গেলেও বর্ষার ভরা মৌসুমে বৃষ্টির দেখা না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। অন্যদিকে বৃষ্টির অভাবে মৌসুমি সবজি ক্ষেতে সেচ দেওয়া নিয়েও চাষিদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ।

খরিপ-২ মৌসুমে অর্থাৎ বাংলা আষাঢ় মাসের ১ তারিখ (১৬ জুলাই) থেকে আমন বুননের সময় থাকলেও এখন চলছে শ্রাবণ মাসের শেষ সপ্তাহ। এ সময়ে ভরা বর্ষার মৌসুম থাকলেও অন্য বছরের মতো স্বাভাবিক বৃষ্টির দেখা মিলছে না। কখনো কখনো দু-এক পশলা বৃষ্টি পড়লেও তা কৃষকদের কোনো কাজেই আসছে না। এতে জেলার প্রায় এক লাখ ৩৮ হাজার ৩৯৫ কৃষক আমন বুনন নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

গাজীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, এ বছর জেলায় আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪২ হাজার ৭৬৫ হেক্টর জমি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ১১৫ টন চাল, যা গত বছর ছিল ১ লাখ ২৫ হাজার ৮৭৪ টন। সে বছর আবাদ হয়েছিল ৪২ হাজার ৬১০ হেক্টর জমি।

জেলার সদর উপজেলা, কাপাসিয়া, শ্রীপুর ও কালীগঞ্জে গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় আমন ক্ষেতে সময়মতো হাল দিতে পারছেন না কৃষকরা। একই সঙ্গে প্রচণ্ড খরায় মাঠ পুড়ে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টিশূন্য আবহাওয়ায় রোদের তাপে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না কেউ। তীব্র তাপে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। খাঁ খাঁ করছে অন্যান্য সবজির ক্ষেত। বিদ্যুৎ খরচে সেচ দিতে গিয়ে চাষিদের কপালেও পড়েছে চিন্তার ভাঁজ।

চাষিরা বলছেন, আমনের চারা রোপণের উপযুক্ত সময় আষাঢ় মাস থেকে শ্রাবণের শেষ পর্যন্ত। এবার মৌসুমের শুরু থেকেই স্বাভাবিক বৃষ্টির দেখা না যাওয়ায় ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হলে ক্ষেতে সেচ দিতে কৃষকের বাড়তি খরচ হবে। এ ছাড়া ক্ষেতে আগাছা, রোগ ও পোকার আক্রমণ বেড়ে গেলে ফলন কমার বিষয়টিও কৃষকের দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে।

কাপাসিয়া উপজেলার বরুণ গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, বৃষ্টির অভাবে ক্ষরায় মাঠ পুড়ে চৌচির হয়ে গেছে। জমিতে হাল দেওয়া যাচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবে বৃষ্টি হলে এত দিন আমন বুননের জমি তৈরি হয়ে যেত। বৃষ্টি না হওয়াতে সময়মতো ধানের চাড়া রোপণ করা সম্ভব হচ্ছে না।

কালীগঞ্জ উপজেলার আজমতপুর গ্রামের আইননুদ্দিন বলেন, পানির অভাবে হাল চাষ তো দূরের কথা জমিতে ফাটল ধরেছে। এখন গভীর নলকূপের পানি দিয়ে জমি তৈরি করে আমন রোপণ করা ছাড়া আর কোনো পথ খুঁজে পাচ্ছি না।

গাজীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে কর্মকর্তা বলেন, অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি কোনোটাই কৃষিতে কাম্য নয়৷ এতে কৃষকের ক্ষেতে আগাছা, রোগ ও পোকার আক্রমণ বেড়ে গিয়ে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ব্যাহত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চাষিরা ক্ষতির মুখে পড়েন।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ