বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩১ অপরাহ্ন
বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: হবিগেঞ্জর বাহুবল উপজেলার মহাসড়কের করাঙ্গী ব্রীজের পাশ থেকে ৩ ছাগল চোরকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটে গতকাল রবিবার বিকাল ৫টারদিকে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও ছাগল মালিক সূত্রে জানা যায়, বিকাল ৫টারদিকে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের করাঙ্গী ব্রীজের পাশে স্থানীয় বাসিন্দা রাবিয়া খাতুনের একটি ছাগল ঘাস খাচ্ছিল। এ সময় ৩ যুবক ওই ছাগলটি সিএনজি অটোরিক্সায় তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে ছাগলের মালিক রাবেয়া খাতুন শোর চিৎকার শুরু করলে লোকজন এগিয়ে এসে তিন যুবককে হাতে নাতে পাকড়াও করে। ।
আটক তিন যুবক হচ্ছে, ৩নং সাতকাপন ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি খরিয়া গ্রামের বাসিন্দা তোফায়েল আহমদের পুত্র ইমন মিয়া (১৯), একই গ্রামের হাফিজ মিয়ার পুত্র তাজুল হক (২৪) ও সিএনজি চালক। খবর পেয়ে বাহুবল থানার এসআই ভজন দাসের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গিয়ে ছাগলসহ ৩ চোরকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। থানায় ২৩ ঘন্টা আটক রাখার পর ধারাবাহিক তদবিরের মুখে পরদিন সোমবার বিকাল ৪টারদিকে চোরদের ছেড়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় মানুষের মন্তব্য, আওয়ামীলীগ নেতার পুত্র ধরা পড়ায় চোরদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। অথচ অভিযোগ দিলেও পুলিশ একটা চোর ধরতে পারেনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাহুবল মডেল থানার ওসি রাকিবুল ইসলাম খান বলেন, ৩ চোরকে জিম্মায় দেয়া হয়েছে। ওয়ার্ড মেম্বার শফিকুল ইসলাম বলেন- চোরেরা বলে তারা অপরাধ করেনি, পাবলিক ধরিয়ে দিয়েছে। বারবার ধরা পড়লেও তাদের পাবলিক ধরিয়ে দিয়েছে বলে জানায়।
ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিক মিয়া বলেন-, ওরা অনেক চুরির সাথে জড়িত এবং বারবার ধরা পড়ে, কতিপয় নেতা তাদের ছাড়িয়ে নেন, এটা খুবই দুঃখজনক। বিগত নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী ছায়েদ আহমেদ বলেন- ছাগলসহ যেখানে পুলিশ চোর ধরে থানায় নিয়ে এসেছে তা ছেড়ে দেয়ায় বা জিম্মায় দেয়া অপরাধীকে আরো সাহসী করে তুলবে।