শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:৩২ অপরাহ্ন
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:
হাওরে পানি নেই, মাছ ও কম। শুকনো হাওর জুড়ে জেগে উঠেছে সবুজ ঘাস আর বিভিন্ন লতা-পাতা, শাক সবজি। প্রাকৃতিক ভাবে বেড়ে উঠা এসব শাক ও কচুর লতা কুড়িয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন হাওর সংলগ্ন দরিদ্র বাসিন্দারা। তেমন একজন হাওর পাড়ের বাসিন্দা ছাদেক মিয়া। শ্রীমঙ্গল উপজেলার ইছুবপুর গ্রামের হাওর পাড়ের বাসিন্দা।
৬৩ বছরের ছাদেক মিয়া দুই সন্তানের জনক, ছেলে ক্লাস সেভেনে ও মেয়ে ক্লাস এইটে পড়ে। দুই সন্তাননের লেখা-পড়ার খরচ আর সংসার চলে হাওরের প্রকৃতিক শাক বিক্রি করে। ৪ বছর ধরে শুকনো মৌসুমে হাওর থেকে প্রাকৃতিক ও অন্যান্য সময়ে নিজের ফলানো শাক-সবজি বাইসাইকেলে সাজিয়ে শহরে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন ছাদেক মিয়া।
হাওরে প্রকৃতিক ভাবে বেড়ে উঠা শাক সবজি কুড়িয়ে বাইসাইকেলে করে শ্রীমঙ্গল শহরের বিভিন্ন স্থানে ফেরি করে বিক্রি করার ফলে শহরে বাইসাইকেল শাক ফেরিওয়ালা হিসেবে অনেকের কাছেই পরিচিত।
শনিবার দুপুরে ছাদেক মিয়ার সাথে দেখা হয়, হবিগঞ্জ সড়কের শাহী ঈদগাহ এলাকায় বাইসাইকেলে বিভিন্ন ধরণের শাক সাজিয়ে শাখ বিক্রি করছেন। কথা হয় বাইসাইকেলের শাখ বিক্রেতা ছাদেক মিয়ার সাথে। ছাদেক মিয়া জানান, শ্রীমঙ্গল হাইল হাওরের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় উপরি অংশে, বিভিন্ন শাখ, কচু ও কচুর লতা প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে উঠেছে। আর বিভিন্ন জাতের সেই সব সাক কুড়িয়ে তিনি বাইসাইকেলে করে শহরে এনে বিক্রি করে থাকেন।
তিনি জানান, তারমতো আরো অনেকে হাইল হাওরের শাক কুড়িয়ে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। এসব শাকের মধ্যে রয়েছে, পালং শাখ,কলমি, হেলেঞ্চা, বনঢুগী, ঢেকি, ক্ষুদ্রা, বাতুয়া, ধমকলস, মানব দেহের উপকারি টুনিমানকুনি ও কলমি শাক। প্রতিদিন ভোর থেকে এসব শাক তোলতে হাওড়ে ভিড় করেন হাওড় পাড়ের দরিদ্র পরিবারের নারী পুরুষ।